বিএন ডেস্কঃ
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, ঈদ
উপলক্ষে যারা রাত্রিকালীন যাত্রা করবেন তাদেরকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়া
হবে। এ জন্য রাস্তায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা
রয়েছে। ঈদে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির বিরুদ্ধেও আইনশৃখলা বাহিনী যথেষ্ট
তৎপরতা রয়েছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু গ্যাং ধরা পড়েছে। তিনি যাত্রীদের
রাস্তাঘাটে অপরিচিত কারো কাছ থেকে কোন কিছু গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ
জানান।
তিনি বুধবার দুপুরে মহাসড়কে যানজট পরিস্থিতি এবং মহাসড়কে বেশ কয়েকটি
পুলিশ কন্ট্রোল রুম পরিদর্শনকালে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায়
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত পুরো রাস্তার অর্ধেক
ধরে ড্রেনের নোংরা পানি সয়লাব হয়ে আছে। ড্রেনেজ সিস্টেমটা আরো ভাল করা
দরকার বলে মনে হয়। অবশ্য কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছেন। তবে সেখানেও একটা ধারণ
ক্ষমতা আছে। যখন অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয় তখন তাড়াতাড়ি ভাবে এ ড্রেনেজ
সিস্টেমটা ঠিক মতো কাজ করতে পারে না বলে মনে হচ্ছে। এনফোর্সমেন্টের
দায়িত্বে সবগুলো সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করলে আর পানিটা যদি দ্রুতগতিতে
বেরিয়ে যেতে পারে তাহলে রাস্তাটি পুরোপুরি ব্যবহার করা যাবে। বর্তমানে
যেটুকু রাস্তা আছে এখন এর সবটুকু আমরা ব্যবহার করতে পারছি না বিভিন্ন কারণ।
পরিদর্শনকালে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাইওয়ে
পুলিশের ডিআইজি আতিকুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন)
আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, হাইওয়ে
পুলিশের পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলামসহ পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত
ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ঈদ যাত্রায় এখন সবাই গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
নরমাল সময়ে রাস্তায় যেটুকু গাড়ি থাকে এখন তার চাইতে অনেক বেশী গাড়ি রয়েছে।
রাস্তার একটা ধারণ ক্ষমতা থাকে। ধারণ ক্ষমতা যখন অতিরিক্ত হয়ে যায়
স্বাভাবিক ভাবেই একটা প্রেসার থাকবেই। এছাড়াও শুধুমাত্র রাস্তায়
ট্রাফিকিংটা একমাত্র পুলিশের উপরে নির্ভর করে না। এনফোর্সমেনন্টের উপর
নির্ভর করেনা। আরো অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখবেন রাস্তাজুড়ে মানুষ কিভাবে রাস্তা ব্যবহার করেন।
তারা রাস্তার কতটুকু অংশ কিভাবে ব্যবহার করছেন। এটা একটা বিষয় আছে। তার পর
রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং। রাস্তাটি কিভাবে তৈরী করা হয়েছে। রাস্তার
রক্ষনাবেক্ষণ ইত্যাদি বিষয় গুলোও রয়েছে। এর পর রয়েছে এনফোর্সমেন্ট। যেটা
আমরা একটা অংশ দেখি। বিআরটিএ তারা এনফোর্স করে। তারপর অন্যান্য সংস্থাও আছে
তারাও এনফোর্স করে। আমাদের এখানে হাইওয়ে আছে, জেলা পুলিশ আছে। আমরা নরমালি
হাইওয়েগুলোতে জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ মিলে এনফোর্স করার চেষ্টা করছি।
আমরা মনে করছি, আমরা যে পরিমাণ ডেপ্লয়মেন্ট দিয়েছি এর ঢাকা থেকে বেরিয়ে
যাওয়ার যে রাস্তাগুলো আছে ঢাকা- চট্টগ্রাম হাইওয়ে, ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে,
ঢাকা-টাঙ্গাইল হাইওয়ে। আমরা প্রত্যেকটা হাইওয়েতে স্পেশাল এরেজমেন্ট করেছি।
আমাদের নরমাল জনবলের অতিরিক্ত জনবল দিয়েছি এবং সমন্বিত ভাবে আমরা জেলা
পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, রেঞ্জের রিজার্ভ ফোর্স সবাই মিলেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।
আমরা বিভিন্ন জায়গায় কন্ট্রোল রুম করেছি। অন্যান্য যারা কাজ করছে তাদের
সঙ্গে যাতে আমরা সমন্বয় করতে পারি। এর বাইরে আমাদের কিছু ওয়াচ টাওয়ার আছে,
চেক পোষ্ট আছে। সব কিছু মিলিয়ে আমরা মনে করছি আমরা যে সব ব্যবস্থাগুলো
নিয়েছি নির্বিঘেœ মানুষ তাদের গ্রামে ফিরে যেতে পারবে। এই ঈদটা সঠিক ভাবে
করতে পারবে বলে আমরা মনে করছি।
পরে আইজিপি মহানগরীর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ি ও কালিয়াকৈরের
চন্দ্র এলাকায় যানজট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন
করেন।
0 মন্তব্যসমূহ