বিএন ডেস্কঃ
ছাত্রলীগের হামলা ও নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে দেশব্যাপী কালো পতাকা ও
বিক্ষোভ মিছিলের অংশ হিসেবে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখার
আহবায়ক মাসুদ মোন্নাফ। সোমবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয়
গ্রন্থাগারের সামনে কালো পতাকা মিছিলের কথা থাকলেও ছাত্রলীগের অবস্থানের
সামনে আসতে পারেনি কোটা আন্দোলনকারীরা। তাছাড়া সকাল থেকে ক্যাম্পাসের
বিভিন্ন স্থানে মোটরসাইকেলে মহড়া দিতে দেখা যায় ছাত্রলীগের নেতাদের। ফলে
ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার জন্য পুলিশের ভূমিকায় অবস্থান নিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকেই তাদেরকে গ্রন্থাগারের সামনে
অবস্থান করতে দেখা যায়। এছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে
ছাত্রলীগের নেতারা। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর
সদস্যদেরও ক্যাম্পাসে টহল দিতে দেখা যায়। ছাত্রলীগের অবস্থান আর পুলিশের
টহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফলে অধিকাংশ বিভাগে
ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
এদিকে আন্দোলনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম আহবায়ক মোর্শেদুল ইসলাম
বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচির সাথে কালো পতাকা মিছিল
হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছাত্রলীগের অবস্থানের কারণে সেটি সম্ভব হয়নি।
তবে ছাত্রলীগের অবস্থানের কথা অস্বীকার করছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি
গোলাম কিবরিয়া। তিনি দাবি করেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ প্রতিদিন যেভাবে চলাচল
করে সেরকমই আছে। কোথাও অবস্থান করা হয়নি।
কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নেতাকর্মীরা লাইব্রেরীতে পড়ালেখা করতে গিয়েছিল।’
বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, কোটা সংস্কার
আন্দোলনকারীরা অনুমতি চেয়ে একটা লিখিত দিয়েছিল। তবে বিশ^বিদ্যালয়ের মধ্যে
কোনো ধরনের মিছিল মিটিং সমাবেশ করার সিন্ডিকেট আইনগত কোনো অনুমতি নেই বলে
তাদেরকে কিছুই বলিনি।
আর ছাত্রলীগের অবস্থান ও হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ
তো বিভিন্ন স্থানে থাকে। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চায় না ক্যাম্পাসের ভিতর
কোন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার সৃষ্টি হোক। যারা হামলা করেছে এ দায় তাদের। সামনে
যেন কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয় সেক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীসহ আমরা নজর
রাখছি।
0 মন্তব্যসমূহ