বিএন ডেস্কঃ
সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম সমাবেশে বলেছেন, কোটা সংস্কারের
যৌক্তিক ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে সরকারি দলের পক্ষ থেকে বিকৃতভাবে জাতির সামনে
উপস্থাপন করা হচ্ছে। এ আন্দোলনকে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী
আখ্যায়িত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের গুন্ডামি ৬০’র দশকের সরকারি
ছাত্র সংগঠন এনএসএফের গুন্ডামিকেও ছাড়িয়ে গেছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের নৃশংস
হামলা এবং কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে সিপিবি, বাসদ ও
গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা আহূত বিক্ষোভ সমাবেশে মঙ্গলবার তিনি একথা বলেন। এতে
সভাপতিত্ব করেন বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন সিপিবি
সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম, গণতান্ত্রিক
বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন
নান্নু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জিলানী
শুভ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন প্রিন্স।
সভা পরিচালনা করেন সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন।
সেলিম আরো বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মনে করি বর্তমানে সরকারি
চাকরিতে যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখা হয়েছে তার যৌক্তিক সংস্কার হওয়া উচিত।
তিনি বলেন নারী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা থাকা উচিত। তিনি কোটা
সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর ছাত্রলীগের বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি
বলেন, ছাত্রলীগের গুন্ডামিতে ছাত্র-ছাত্রীদের রক্তে শহীদ মিনার রঞ্জিত
হয়েছে। তিনি অবিলম্বে ছাত্রলীগের সান্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
তিনি অভিভাবক সমাবেশ থেকে গ্রেফতারকৃত তরুণ নেতা বাকী বিল্লাহ ও অধ্যাপিকা
রেহনুমা আহমেদের মুক্তি দাবি করেন।
গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক মোশাররফ হোসেন নান্নু উদ্বিগ্ন অভিভাবক
ও নাগরিক সমাজের সমাবেশ বানচাল করার জন্য পুলিশকে দায়ী করেন এবং
অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেন।
খালেকুজ্জমান বলেন, কোটা সংস্কার নিয়ে পরিস্থিতি জটিল করার জন্য দায়ী
সরকার এবং আমলারা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার সত্বেও কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনার
জন্য কমিটি গঠন করতে আড়াই মাস সময় নেয়া হয়েছে। এ কমিটিও গঠিত হতো না যদি
ছাত্র-ছাত্রীরা দ্বিতীয় দফায় আন্দোলন শুরু না করতো। তিনি আন্দোলনকারীদের
উপর আক্রমণকারীদের শাস্তি দাবি করেন। ছাত্রলীগের হামলা প্রতিরোধের জন্য
ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে গণপ্রতিরোধ কমিটি গঠন করার জন্য ছাত্র সমাজের প্রতি
আহ্বান জানান। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
0 মন্তব্যসমূহ