বিএন ডেস্কঃ
২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১ম বর্ষে (সম্মান)
ভর্তির অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া আগামী ৩১ জুলাই শুরু হবে। ৩১ জুলাই মঙ্গলবার
বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে শুরু হয়ে ২৬ আগস্ট রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন
প্রক্রিয়া চলবে।
সোমবার ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত
১ম বর্ষ স্নাতক সম্মান শ্রেনীতে ভর্তি বিষয়ক সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় এই
সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত এ
সভায় প্রোভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, প্রোভিসি (প্রশাসন)
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: কামাল উদ্দীন,
অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ, বিভিন্ন অনুষদের
ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক,
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, প্রক্টর এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৮ সেপ্টেম্বর
শুক্রবার, খ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার, গ-ইউনিটের
ভর্তি পরীক্ষা ১৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার, ঘ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১২ অক্টোবর
শুক্রবার, চ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান) ১৫ সেপ্টেম্বর শনিবার ও
চ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (অংকন) ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরবর্তীকালে বিস্তারিত জানিয়ে দেয়া হবে।
আরো পড়ুন :
‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ভালো লক্ষণ নয়’
বিভিন্ন ইস্যুতে সুযোগ পেলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর
হাততোলার সংস্কৃতি ভালো লক্ষণ নয় বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক
বিজ্ঞান অনুষদের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা এমন মন্তব্য করেন। ঢাবির
অর্থনীতি বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে এ
মানববন্ধনের আয়োজন করেছেন বিভাগটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় নিজেদের
দাবি আদায়ে ৭২ ঘণ্টা ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এতে
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ শফিকুজ্জামান, অধ্যাপক এম এম আকাশ,
অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হানসহ বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয়
বর্ষের দুই সহপাঠী আসাদুজ্জামান ও লীনা প্রশাসনিক ভবনের সামনে হাত ধরে
দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় সূর্যসেন হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদেরকে
পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন। তারা তাদের পরিচয়পত্র দেখান। পরে তারা তাদের সিনিয়র
হিসেবে পরিচয় দেয়ার পরও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের মারধর করেন। পরে তাদের
পরিচয় জানতে হলের সামনে গেলেও তাদের দ্বিতীয় দফায় লাঠি, স্ট্যাম্প নিয়ে
হামলা করা হয়। এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই তিনজনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে নির্যাতনকারীদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে বহিস্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ থেকে বাকি
জড়িতদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ
নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ সকল সাধারণ শিক্ষার্থীর ক্যাম্পাসে নিরাপদ অবস্থান
নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
নিজেদের দাবির পক্ষে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড বহন করেন শিক্ষার্থীরা। এগুলোতে লেখা ছিল, ‘আমার ভাই-বোনের ওপর হামলা কেন?’, ‘আমরা নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই’, ‘হামলা আমার ক্যাম্পাসে, বিচার চাইবো কোনখানে’ ইত্যাদি শ্লোগান।
নিজেদের দাবির পক্ষে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড বহন করেন শিক্ষার্থীরা। এগুলোতে লেখা ছিল, ‘আমার ভাই-বোনের ওপর হামলা কেন?’, ‘আমরা নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই’, ‘হামলা আমার ক্যাম্পাসে, বিচার চাইবো কোনখানে’ ইত্যাদি শ্লোগান।
এসময় কোন কর্তৃত্ববলে একজন সাধারণ শিক্ষার্থী আরেকজন শিক্ষার্থীর
পরিচয়পত্র দেখতে চায়? এই সাহস তাদের কে দিলো? সেই প্রশ্নও রাখেন বিভাগের
সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মানবন্ধনে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর হামলা কোনো ভালো লক্ষণ নয়। আমরা ভিসি স্যারের কাছে গিয়েছিলাম তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে তিনি জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবেন। আমরা তার প্রমাণ দেখতে চাই।
মানবন্ধনে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর হামলা কোনো ভালো লক্ষণ নয়। আমরা ভিসি স্যারের কাছে গিয়েছিলাম তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে তিনি জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবেন। আমরা তার প্রমাণ দেখতে চাই।
মানববন্ধনে হামলার শিকার দুই শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ ও রোকেয়া
গাজী লীনাও উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন, অন্যায়ভাবে তাদের ওপর হামলা করা
হয়েছে। তারা ট্রমায় ভুগছেন উল্লেখ করে আসাদ ও লীনা বলেন, ‘আমাদের
ক্যাম্পাসে আমাদের ওপর কেন হামলা করা হলো শুধু এটুকুর জবাব চাই।’
0 মন্তব্যসমূহ