বিএন ডেস্কঃ চলচ্চিত্রের অধিনায়ক সেই ছবির পরিচালক। একটি ছবির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনিই সবকিছু দেখভাল করেন। ছবির শুটিংয়ে পরিচালক থাকবেন না, এমনটা ভাবাই যায় না। নায়িকা আর পরিচালকের ভুল বোঝাবুঝিতে এবার তা-ই হতে যাচ্ছে। পরিচালককে ছাড়াই ‘হৃদয় জুড়ে’ ছবির বাকি অংশের শুটিং হবে। ছবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এমনটাই জানিয়েছেন।
১১ মাস স্থগিত থাকার পর ‘হৃদয় জুড়ে’ ছবির শুটিং আবার শুরু হচ্ছে। ৬ জুলাই ভারতের কলকাতার বিভিন্ন লোকেশনে ছবিটির শুটিং শুরু হবে। চলবে চার দিন। এর মধ্যে জানা গেছে, নায়িকার আপত্তিতে নাকি পরিচালক কলকাতার অংশের শুটিংয়ের স্পটে থাকতে পারবেন না। ছবির কাজ শেষ করতে হবে, তা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন প্রযোজক—এমন ভাবনা থেকে পরিচালকও নায়িকার এই শর্ত মেনে নিয়েছেন।
কলকাতায় ‘হৃদয় জুড়ে’ ছবির একটি গান আর চারটি দৃশ্যের দৃশ্যায়ন করা হবে। ‘তুমিহীনা জীবন আমার গতিহীন, তাই তোমায় ভালোবাসি প্রতিদিন/ তুমি স্বপ্নে আমার, তুমি গল্পে আমার, তোমার আমার সম্পর্ক, একদম ক্ষতিহীন’—এমন কথার গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন কোনাল ও বেলাল খান। এই গানের কোরিওগ্রাফি করবেন পঙ্কজ। জানা গেছে, পরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী দৃশ্যগুলো ধারণের তত্ত্বাবধানে থাকবেন সহযোগী পরিচালক।
‘চিরদিনই তুমি যে আমার’, ‘ব্যোমকেশ বকশি’, ‘রাজকাহিনি’ ছবির নায়িকা প্রিয়াঙ্কা সরকার এবারই প্রথম বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় করবেন। তাঁর পূর্বপুরুষের বাড়ি ছিল বাংলাদেশের বিক্রমপুরে (বর্তমান মুন্সিগঞ্জ)। গত শতকের চল্লিশের দশকে তাঁরা ভারতের কলকাতায় গিয়ে স্থায়ী বসবাস শুরু করেন।
গত বছর ৭ মার্চ ঢাকার বিএফডিসিতে শুরু হয় ‘হৃদয় জুড়ে’ ছবির শুটিং। এই ছবিতে বাংলাদেশের নিরবের বিপরীতে জুটি বেঁধেছেন ভারতের বাংলা ছবির এই নায়িকা। টানা ১৮ দিনের কাজ শেষে কলকাতায় চলে যান তিনি।
১১ মাস স্থগিত থাকার পর ‘হৃদয় জুড়ে’ ছবির শুটিং আবার শুরু হচ্ছে। ৬ জুলাই ভারতের কলকাতার বিভিন্ন লোকেশনে ছবিটির শুটিং শুরু হবে। চলবে চার দিন। এর মধ্যে জানা গেছে, নায়িকার আপত্তিতে নাকি পরিচালক কলকাতার অংশের শুটিংয়ের স্পটে থাকতে পারবেন না। ছবির কাজ শেষ করতে হবে, তা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন প্রযোজক—এমন ভাবনা থেকে পরিচালকও নায়িকার এই শর্ত মেনে নিয়েছেন।
কলকাতায় ‘হৃদয় জুড়ে’ ছবির একটি গান আর চারটি দৃশ্যের দৃশ্যায়ন করা হবে। ‘তুমিহীনা জীবন আমার গতিহীন, তাই তোমায় ভালোবাসি প্রতিদিন/ তুমি স্বপ্নে আমার, তুমি গল্পে আমার, তোমার আমার সম্পর্ক, একদম ক্ষতিহীন’—এমন কথার গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন কোনাল ও বেলাল খান। এই গানের কোরিওগ্রাফি করবেন পঙ্কজ। জানা গেছে, পরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী দৃশ্যগুলো ধারণের তত্ত্বাবধানে থাকবেন সহযোগী পরিচালক।
‘চিরদিনই তুমি যে আমার’, ‘ব্যোমকেশ বকশি’, ‘রাজকাহিনি’ ছবির নায়িকা প্রিয়াঙ্কা সরকার এবারই প্রথম বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় করবেন। তাঁর পূর্বপুরুষের বাড়ি ছিল বাংলাদেশের বিক্রমপুরে (বর্তমান মুন্সিগঞ্জ)। গত শতকের চল্লিশের দশকে তাঁরা ভারতের কলকাতায় গিয়ে স্থায়ী বসবাস শুরু করেন।
গত বছর ৭ মার্চ ঢাকার বিএফডিসিতে শুরু হয় ‘হৃদয় জুড়ে’ ছবির শুটিং। এই ছবিতে বাংলাদেশের নিরবের বিপরীতে জুটি বেঁধেছেন ভারতের বাংলা ছবির এই নায়িকা। টানা ১৮ দিনের কাজ শেষে কলকাতায় চলে যান তিনি।
আজ রোববার দুপুরে ছবির পরিচালক রফিক শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার এখন
একটাই লক্ষ্য, ছবির কাজটা শেষ করা। তা না হলে প্রযোজক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
গত বছর ছবির শুটিংয়ের সময় নায়িকার সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। এরপর
থেকে নায়িকা আর আমার মধ্যে কথা হয়নি। তবে কাজটা শেষ হোক—এটাই ছিল চাওয়া।
শেষ পর্যন্ত শুটিং শেষ করার পরিস্থিতি তৈরি হলেও আমাদের দুজনের দেখা হওয়ার
মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আমিও চাই না, আবার আমাদের দেখা হোক। আমার সহযোগী
পরিচালককে সবকিছু বুঝিয়ে দিয়েছি। আমার নির্দেশনামতেই ছবিতে প্রিয়াঙ্কা
সরকারের অংশটুকুর কাজ শেষ করবেন।’
কলকাতার অংশের শুটিং শেষে ঢাকায় একটি আইটেম গানের কাজ হলেই ছবির পুরো
শুটিং শেষ হয়ে যাবে। পরিচালক আগামী ঈদে ছবিটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে
মুক্তি দিতে চান। সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
গত বছর মার্চ মাসে ঢাকা ছাড়ার আগে প্রিয়াঙ্কা সরকার তাঁর ফেসবুকে
লিখেছিলেন, ‘মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকা গিয়েছিলাম আমার প্রথম
বাংলাদেশি ছবি “হৃদয় জুড়ে”র শুটিং করতে। বাংলাদেশে আমার প্রযোজনা টিম,
সহশিল্পীসহ সবার আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। কিন্তু ছবির পরিচালক আমার
সঙ্গে কাজের বাইরে অন্যান্য বিষয় নিয়ে গল্প করতে চাইতেন। সময়ে-অসময়ে মেসেজ
করতেন নানা রকম। যেগুলো কাজসংক্রান্ত নয়! মানে বাড়তি অ্যাটেনশন পাওয়ার
চেষ্টা এবং অনেক সময়েই আমি এর প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু তিনি নিজেকে সংশোধন
করেননি। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি আমাকে বারবার মেসেজ করতেন। বলতেন,
তিনি নাকি আমাকে মিস করছেন! একসময় আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন!’
এ ব্যাপারে পরিচালক রফিক শিকদার বলেন, ‘আমি মনে করি, ভালোবাসা কোনো
অন্যায় নয়। তাঁকে আমি ভালোবেসেছি, সে কথা জানিয়েছি। কিন্তু ভালোবাসার জন্য
চাপ দিইনি।’
0 মন্তব্যসমূহ