বিএন ডেস্কঃ
দু’টি অনলাইন নিউজ পোর্টালে জামায়াতে ইসলামী এবং বিএনপির মধ্যে বিরাজমান
সম্পর্ক নিয়ে যে সব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। গতকাল দলের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি
অধ্যাপক মো: তাসনীম আলম এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে বলেন, প্রকাশিত প্রতিবেদন
দু’টিতে জামায়াতে ইসলামী এবং বিএনপির মধ্যে বিরাজমান সম্পর্ক নিয়ে যেসব
আজগুবি তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই। সরকারের এজেন্ডা
বাস্তবায়নের অসৎ উদ্দেশ্যেই অনলাইন পত্রিকা দু’টিতে সিন্ডেকেটেড প্রতিবেদন
প্রকাশ করা হয়েছে। পত্রিকা দু’টির অনলাইন প্রতিবেদন যেসব বক্তব্য ছাপা
হয়েছে তা পড়লে যে কেউ বুঝতে পারবেন এসব প্রতিবেদন কল্পনা নির্ভর। বাস্তবের
সাথে যার কোনো সম্পর্ক নেই। সরকারের সাথে জামায়াতের সম্পর্ক আবিষ্কার করে
কিছু সংবাদপত্র সরকারকে খুশি করে ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, সকলেই জানেন বর্তমান সরকার জামায়াতে ইসলামীর ওপর সবচেয়ে বেশি
অত্যাচার, নির্যাতন চালিয়েছে। এই সরকারের সাথে জামায়াতের সম্পর্ক থাকার
কথা কোনো মানুষই বিশ্বাস করে না। অথচ কিছু পত্রিকা জামায়াতের বিরুদ্ধে
অব্যাহতভাবে অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেই যাচ্ছে। কিন্তু জামায়াতের পক্ষ
থেকে ওইসব অসত্য প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানানো সত্ত্বেও তারা তা প্রকাশ করে
না। এ থেকেই বুঝা যায় তাদের প্রতিবেদন সম্পূর্ণ অসত্য। এ ধরনের ভিত্তিহীন
অবাস্তব প্রতিবেদন প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
বিস্তারিত পড়ুন :
ত্রিমুখী লড়াইয়ে আ’লীগ বিএনপি ও জামায়াত
হুমায়ুন কবির জুশান উখিয়া কক্সবাজার
ত্রিমুখী লড়াই হবে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও এ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই তিন দলের ১৩ প্রার্থী আছেন নির্বাচনী মাঠে। তবে শেষ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী ২০ দলীয় জোটের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিলে কপাল পুড়বে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর। এ নিয়ে টানাপড়েন চলছে জামায়াতে ইসলামীর সাথে বিএনপির।
হুমায়ুন কবির জুশান উখিয়া কক্সবাজার
ত্রিমুখী লড়াই হবে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও এ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই তিন দলের ১৩ প্রার্থী আছেন নির্বাচনী মাঠে। তবে শেষ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী ২০ দলীয় জোটের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিলে কপাল পুড়বে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর। এ নিয়ে টানাপড়েন চলছে জামায়াতে ইসলামীর সাথে বিএনপির।
আওয়ামী লীগের এমন অবস্থা না থাকলেও এ আসনে তাদের মাথাব্যথার কারণ দলে
দ্বিধাবিভক্তি। আগামী নির্বাচনে বর্তমান এমপি আবদুর রহমান বদিকে চ্যালেঞ্জ
জানাতে বেশ আগেভাগেই আটঘাট বেঁধে নেমেছেন আওয়ামী লীগের ছয়জন সম্ভাব্য
প্রার্থী। বিএনপি-জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ আসনে আওয়ামী লীগের
মনোনয়ন চাইবেন বর্তমান এমপি আবদুর রহমান বদি। তবে এবার তাকে চ্যালেঞ্জ
জানাবেন সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, ড. হাবিবুর রহমান, জেলা
আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা শাহ আলম চৌধুরী, (প্রকাশ রাজা শাহ আলম) তাঁতী
লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাধনা দাশ গুপ্তা এবং উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের
সভাপতি অধ্য হামিদুল হক চৌধুরী।
অন্য দিকে ধানের শীষ প্রতীক পেতে মরিয়া হয়ে মাঠে রয়েছেন কক্সবাজার জেলা
বিএনপির সভাপতি ও চারবারের নির্বাচিত সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী। জামায়াতে
ইসলামীর হয়ে এখানে মনোনয়ন যুদ্ধে আছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক
কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান, কক্সবাজার জেলা বারের সাবেক সভাপতি এ
কে এম শাহজালাল চৌধুরী ও চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী। ২০১৪ সালের ৫
জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আলহাজ আবদুর রহমান বদি এই আসনে টানা
দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন চাওয়া প্রসঙ্গে আবদুর রহমান বদি জানান, যুগের পর
যুগ এই আসন বিএনপি-জামায়াতের ঘাঁটি ছিল। বিএনপির চারবারের নির্বাচিত সাবেক
এমপি শাহজাহান চৌধুরীকে পরাজিত করে টানা দ্বিতীয়বার তিনিই প্রথম আওয়ামী
লীগের বিজয় পতাকা ওড়ান এ আসনে। তার সময়ে শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ
হয়েছে। মতানৈক্য কাটিয়ে দলকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাওয়ায় তার বিশ্বাস,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারো তার ওপর আস্থা রাখবেন। তবে এমপির বক্তব্যের
সাথে ভিন্ন মত পোষণ করেন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য অন্য প্রার্থীরা। তারা
বলছেন, আওয়ামী লীগ উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলা কমিটির অনেক নেতার সাথে এমপির
বিরোধ রয়েছে। আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী জানান, দলের
নেতাকর্মীদের সাথে তার নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। স্থানীয় ভোটারদের সাথেও তার
সখ্য রয়েছে। তিনি আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আবারো দলের
মনোনয়নপ্রত্যাশা করছেন।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের নেতা শাহ আলম চৌধুরী রাজা বলেন, এমপির
কারণে উখিয়া-টেকনাফে দলের সাংগঠনিক অবস্থা ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে।
নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিভক্তি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ প্রয়োজন
পরিবর্তন। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা পরির্তনের পইে আগামীতে অবস্থান নেবেন বলে
বিশ্বাস তার। তেমন হলে তিনি এ আসন থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন। কেন্দ্রীয়
তাঁতী লীগের সভাপতি সাধনা দাশ গুপ্তা বলেছেন, দলীয় মনোনয়নের যুদ্ধে তিনি
আছেন। তার বিশ্বাস, দলের জন্য ত্যাগ ও নারীর মতায়নের দিক বিবেচনায় নিলে
তিনি মনোনয়ন পেতে পারেন।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি চারবারের সাবেক এমপি অত্যন্ত অমায়িক
আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আস্থাভাজন হিসেবে
এবারও মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন, এটা অনেকটাই নিশ্চিত বলে সাধারণভাবে ধারণা
চালু আছে। সাংগঠনিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় নেতাকর্মীদের সাথে তার
যোগাযোগ সবচেয়ে বেশি। তা ছাড়া দলকে শক্তিশালী করতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রেখেছেন। অভ্যন্তরীণ কোন্দলও নেই বিএনপিতে। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে
এখানে বিজয়ী হবে ধানের শীষ।
0 মন্তব্যসমূহ