বিএন ডেস্কঃ
বাংলাদেশে সব ধরণের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের
প্রচলিত ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে সংগঠিত আন্দোলনের একজন নেতা রাশেদ
খানকে পৃথক দুই মামলায় ৫ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
এরফলে দ্বিতীয় দফায় রাশেদের রিমান্ড হলো। ছেলের এই খবর আদালত কক্ষে বসেই
শুনেছেন রাশেদের বাবা এবং মা।
পাঁচ দিন রিমান্ড শেষ হওয়ার পর আদালতে হাজিরা, তাই অনেক আশা নিয়ে
বাবা-মা। কিন্তু অনেক আশা নিয়ে ঢাকা পাঠানো ছেলের পরিণতি দেখে চোখের পানি
নিয়ে বিদায় হতে হলো তাদের।
রাশেদের বাবা নবাই বিশ্বাস পেশায় রাজমিস্ত্রি। মা সালেহা বেগম গৃহিণী।
দুপুরের পর তারা আদালতে আসেন। রাশেদের মা-বাবা ছাড়াও তার স্ত্রী রাবেয়া আলো
আদালতে হাজির ছিলেন। রাশেদকে আদালতে তোলার পর তার মা-বাবাকে কাঁদতে দেখা
যায়। রাশেদের মা বলেন, রাশেদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে ঝিনাইদহ গ্রামের বাড়ি
থেকে ঢাকায় এসেছেন। তিনি অসুস্থ।
রাশেদের বাবা বলেন, তিন বছর আগে বাসার ভিটেবাড়ি ব্যাংকের কাছে বন্ধক
রেখে ছেলের লেখাপড়ার খরচ জুগিয়েছি। চেয়েছিলাম, ছেলে লেখাপড়া শেষ করে ভালো
একটা চাকরি ধরবে। অথচ ছেলে তার জেলে।
রাশেদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলাটি করেন
ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আল নাহিয়ান খান। এজাহারে বলা হয়, গত ২৭ জুন
রাত ৮টা ৮ মিনিটে রাশেদ খান ফেসবুক লাইভে মিথ্যা, মানহানিকর ও নাশকতা
ছড়ানোর উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। কিছু বক্তব্য সুস্পষ্টভাবে প্রধানমন্ত্রীর
মানহানিকর ছিল।
আরো পড়ুন: রাশেদকে আরো ১০ দিনের রিমান্ড
নয়া দিগন্ত অনলাইন
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের মামলা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা মুহাম্মদ রাশেদ খানকে ১০ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মুহাম্মাদ আসাদুজ্জামান নূর এ আদেশ দেন।
নয়া দিগন্ত অনলাইন
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের মামলা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা মুহাম্মদ রাশেদ খানকে ১০ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মুহাম্মাদ আসাদুজ্জামান নূর এ আদেশ দেন।
এর আগে রোববারই তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে রাশেদকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
আদালত সূত্র জানায়, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় রাশেদকে
পুনরায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, রাশেদের
ফেসবুক মেসেঞ্জার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিকাশ, রকেটের
মাধ্যমে টাকার লেনদেন হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম
আদালতকে জানান, রাশেদের হিসাবে সাত লাখ টাকার লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তখন রাশেদের আইনজীবী জায়েদুর রহমান আদালতকে বলেন, এ টাকা কোনো ব্যবসায়ী
দেননি। ঢাকাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা এ টাকা
দিয়েছেন। কেউ দিয়েছেন ১০০ টাকা, কেউবা ৫০০ টাকা। ব্যানার, ফেস্টুন, মাইকের
ভাড়া বাবদ খরচ চালানোর জন্য এ টাকা দিয়েছেন আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা। তখন
রাশেদের আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘এ কেমন আন্দোলন যে আন্দোলন করতে
সাত লাখ টাকা লাগে!’ রাশেদের আইনজীবী তখন আদালতকে বলেন, এ টাকা ছাত্রদের
টাকা।
এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায়
করা মামলায় রাশেদকে ১০ দিন রিমান্ড নেওয়ার আবেদন করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা
পুলিশ। এ ঘটনায় রাশেদের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে বলে রিমান্ড আবেদনে বলা
হয়। আদালত শুনানি শেষে দুই মামলায় রাশেদের ৫ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড
মঞ্জুর করেন।
রাশেদকে ১ জুলাই রোববার রাজধানীর ভাষানটেক থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা
পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন
করে। আদালত রাশেদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
0 মন্তব্যসমূহ