বিএন ডেস্কঃ
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার ও ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে
ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগ কর্তৃক বাধাদানের অভিযোগ ওঠে।
তবে শেষ পর্যন্ত ওই বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভে অংশ নেয় তারা।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
জানা যায়, প্রথমে ঢাবির রোকেয়া হল থেকে মিছিল নিয়ে শামসুন নাহার হলের মামনে যায়। অভিযোগ ওঠে, শামসুন নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শারমিন জেসমিন শান্তা ও সাধারণ সম্পাদক নিপু তন্নী ওই হলের মেয়েদের আন্দোলনে আসতে বাধা দেন।
জানা যায়, প্রথমে ঢাবির রোকেয়া হল থেকে মিছিল নিয়ে শামসুন নাহার হলের মামনে যায়। অভিযোগ ওঠে, শামসুন নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শারমিন জেসমিন শান্তা ও সাধারণ সম্পাদক নিপু তন্নী ওই হলের মেয়েদের আন্দোলনে আসতে বাধা দেন।
এ সময় ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও সামাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের
এক ছাত্রী জানান, হলের ছাত্রলীগ নেত্রীরা আন্দোলনে আসতে বাধা দিলে এক মেয়ে
সেটি ভিডিও করলে তার ফোন কেড়ে নেন শান্তা ও নিপু। ভিডিও করায় ওই মেয়েকে
আইসিটি আইনে মামলাসহ বিভিন্ন হুমকি দেয়।
এসময় কবি সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রীরা উপস্থিত হলে ছাত্রীরা বিক্ষোভ
মিছিল নিয়ে টিএসসি হয়ে লাইব্রেরী, কলা ভবন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, সিনেট
ভবন ঘুরে পুনরায় লাইব্রেরীর সামনে অবস্থান গ্রহন করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা
ক্যাম্পাসে হামলা কেনো, প্রশাসন জবাব দাও, এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি
আন্দোলন, সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও ইত্যাদি স্লোগান দিতে
থাকে।
এর কিছুক্ষণ পরে লাইব্রেরির গেইটে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা
এসে জড়ো হয়। এ সময় আন্দোলন প্রতিহত করতে ছাত্রীদের বিভিন্ন ধরণের
কথাবার্তা বলেন বলে অভিযোগ করেন ছাত্রীরা। পরে বিক্ষোভকারীরা আবার
টিএসসিতে এসে সমাবেশ করে।
এসময় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জাকিয়া পারভিন
বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু এই
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়ে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগ হামলা করেছে। এখন পর্যন্ত
তাদের কোনো বিচার হয়নি। আমরা নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই। সেই দাবিতে এখানে
এসেছি।
এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিল করার সময় ছাত্রলীগ নেতারা চারপাশে বাইক শোডাউন দেয়। এসময় তারা আন্দোলনকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিল করার সময় ছাত্রলীগ নেতারা চারপাশে বাইক শোডাউন দেয়। এসময় তারা আন্দোলনকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
‘আপুরা ডেকেছে, তাই ঢাবিতে আসছি’
বহিরাগত ছাত্রীদের এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিয়ে মানববন্ধনে হাজির করার অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের এ ঘটনা ঘটে।
বহিরাগত ছাত্রীদের এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিয়ে মানববন্ধনে হাজির করার অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের এ ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জড়োসড়ো অবস্থায় এক ছাত্রী নিজেকে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দেন। কিন্তু
হলের কত নম্বর কক্ষে থাকেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা
ইডেন কলেজের ছাত্রী। আপুরা ডেকেছে, তাই ঢাবিতে আসছি।’ এসময় তার নাম ও
বিভাগ জানতে চাইলে পাশে থাকা অন্য ছাত্রীরা তাকে বলতে দেননি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী’র ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়েছে।
মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন ইডেন মহিলা কলেজ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ ও
বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীরা। এ সময় তাদের সাথে
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীদেরও দেখা যায়।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন মেয়ের সাথে কথা বললে নাম প্রকাশ না করার
শর্তে তারা জানান, তারা গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের ছাত্রী। মানববন্ধনে
কেন জানতে চাইলে তারা বলেন, ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে শুনে বড়
আপুরা আমাদের এখানে পাঠিয়েছে। তারাও ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা চান না। কি
ধরেনের অস্থিতিশীলতা জানতে চাইলে তারা কিছু বলেননি।
মানবন্ধনে অংশ নেয়াদের মধ্যে একজনের নাম ফারিন তাসফা সাফা। তিনি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
এদিকে, মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কোটা সংস্কারের নামে কিছু শিক্ষার্থী
অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের আন্দোলনে এখন সাধারণ শিক্ষার্থী নেই।
এজন্য তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ