বি,এন ডেস্কঃ
বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে টাকা ছাড়া গ্রাহকদের ফাইল এক টেবিল থেকে অপর টেবিলে ঘুরে না। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে নতুন গ্রাহকদের আবেদনপত্রের সাথে দালালদের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে হয়। টাকা লেনদেনের হার মোটা অংকের হলেই নিয়মনীতি উপেক্ষা করে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ মিলে। গত ১৭ মার্চ বাঁশখালীর সাংসদ দক্ষিণ জলদির এলাকায় গ্রাহকদের ফিডারে লাইন পরিবর্তনের জন্য একটি আবেদনে সুপারিশ করেন। ৩ মাসেও কোন তা কার্যকর হয়নি। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম নাইমুল হাসানকে বিদ্যুৎ গ্রাহকের হয়রানি বন্ধ এবং বিদ্যুৎ সম্পর্কে গ্রাহকদের কোন অভিযোগ যাতে শুনতে না হয় সেদিকে নজর দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ এর অধীনে নতুন সংযোগ আবেদনকারী ও পুরাতন গ্রাহকদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ঘোষণার পর থেকেই বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে দালালের সংখ্যা বাড়তে থাকে। দিন দিন গ্রাহক হয়রানির পাশাপাশি বিদ্যুৎ ভোগান্তিও বেড়েছে। পৌরসভা এলাকার অর্ধেক অংশ ৫নং ফিডারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ রেখে পৌরসভার দক্ষিণাংশ দক্ষিণ জলদির এলাকাকে দক্ষিণ বাঁশখালীর ৮ ইউনিয়নের সাথে সংযুক্ত করে দেয়া হয়। ৪নং ফিডার থেকে গ্রাহকেদের সংযোগ পরিবর্তনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৫নং ফিডারে পরিবর্তনযোগ্য বলে পল্লী বিদ্যুৎ কর্র্তৃপক্ষ যাচাই বাছাই করলেও অদৃশ্য কারণে ফাইলটি লাল ফিতায় বন্দী অবস্থায় রয়েছে। পৌর এলাকার দক্ষিণাংশে জনগুরুত্বপূর্ন ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর পাশাপাশি সরকারি জেলা পরিষদ ডাক বাংলোতে মাসিক সভার কার্যক্রম রয়েছে। এছাড়াও বাঁশখালীর একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ জলদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং জুনিয়র মডেল হাই স্কুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৫টি হিন্দু মন্দির, ১টি বৌদ্ধ মন্দির, ৭টি মসজিদ–মাদ্রাসা রয়েছে। বাঁশখালী উপজেলায় ১৪ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ গ্রাহক ছিল সাড়ে ৬ হাজার। ২০০৯ সালের পর থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বাঁশখালীতে গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭০ হাজার। ৫টি সাব–স্টেশনে ১১টি ফিডারে বিদ্যুতের কার্যক্রম চলছে। দৈনিক বিদ্যুৎ চাহিদা রয়েছে ১৭ মেগাওয়াট। বাঁশখালীতে রাইস মিল, বরফ মিল, স–মিল মিলে ২শতাধিক কারখানা গড়ে উঠেছে। গ্রাহকদের বিদ্যুৎ চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ সরাবরাহ অনিয়মের কারণে মিল কল কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অথচ দালালদের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে গ্রাহকদের হয়রানি করা হচ্ছে। দালালরা মোটা অংকের টাকা সঠিক জায়গায় পৌঁছিয়ে দিলেই বিদ্যুৎ সংযোগ মিলছে। বাঁশখালীতে পাহাড়ি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ নিষেধ থাকলেও গভীর পাহাড়ে পর্যন্ত নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে। কাথারিয়া, গন্ডামারা ও চাম্বল এলাকায় তিন দালালের কাছে লাখো মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের অধীনে পুকুরিয়া, সাধনপুর, খানখানাবাদ, কাথরিয়া, বৈলছড়ি, গন্ডামারা, শেখেরখীল, চাম্বল, ছনুয়া, পুঁইছড়ি ইউনিয়নে এলাকার নির্দিষ্ট দালালের মাধ্যমে টাকা লেনদেন হয়। সরকারি বরাদ্দকৃত প্রতি মিটারে ৬৫০টাকা নিয়ম থাকলেও বিদ্যুৎ অফিসের অসাধু কর্মকর্তারা দালালদের মাধ্যমে প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। গ্রাহকদের টাকা লেনদেন ছাড়া নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়াই যায় না। প্রতিদিন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গ্রাহকদের ভিড় লেগে রয়েছে। কারো নতুন আবেদন, কারো আবেদন ফাইলভূক্ত না হওয়া আবার পরিশোধকৃত বিদ্যুৎ বিলের পুনরায় গ্রাহকদের প্রদান করা। মিটার রিডিং এর সাথে বিলের অমিল নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগের অন্ত নেই। বিদ্যুৎ গ্রাহক মো. হারুন জানায়, বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন পারে না এমন কোন কাজ নেই। অফিসের চিহ্নিত দালালদের মাধ্যমেই সব কাজ করতে হয় নতুবা গ্রাহকরা দিনের পর দিন ঘুরতেই থাকবে। নতুন সংযোগও হবে না গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ হবে না। উপজেলা প্রশাসনিক এলাকায় গ্রাহকদের বিদ্যুৎ নিয়ে ভোগান্তি কম হলেও বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাহকদের ভোগান্তি রয়েছে।
বাঁশখালী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আ. লীগ নেতা বদিউল আলম বলেন, বিদ্যুৎ অফিসে দালালের সংখ্যা বেশি, দালালদের হাতে টাকা দিলে বিদ্যুৎ সংযোগ দ্রুত মিলে। পৌর এলাকার দক্ষিণ জলদির কিছু অংশ ৬৬৫ জন বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ৪নং ফিডার থেকে ৫নং ফিডারে সংযুক্ত করার জন্য সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সুপারিশক্রমে আবেদন করে ৩ মাস অতিক্রম হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম বিষয়টি এখনো গুরুত্ব দেয় নি। দক্ষিণ জলদির বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বাঁশখালী পৌরসভার বাসিন্দা হলেও দৈনিক ৪ ঘন্টাও বিদ্যুৎ পায় না। গাছ পড়েছে অজুহাত দেখিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। ট্রান্সফরমার নষ্ট হলে তো কথাই নেই। এ ফাইল নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই। কবে নাগাদ সুফল পাওয়া যাবে তাও বলা যাচ্ছে না।
দক্ষিণ জলদির বাসিন্দা বাঁশখালী আদর্শ বিদ্যালয়ের শিক্ষক অমৃত কারণ বলেন, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অনিয়ম বলে শেষ করা যাবে না। গতকাল বুধবার বিকাল সন্ধ্যা ৬টার পরও বিদ্যুৎ বাড়িতে ছিল না। এই ৪ নং ফিডারের অধীনে দিনে ৮–১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যায় না।
পুকুরিয়ার বিদ্যুৎ গ্রাহক নুরুল কবির জানান, দক্ষিণ বাঁশখালী বিদ্যুৎ থাকলেও সাতকানিয়া ৩টি ইউনিয়ন বাঁশখালীর অর্ন্তভূক্ত পুুকুরিয়া, সাধনপুরের গ্রাহকরা বিদ্যুৎ পায় না। কোথাও গাছ পড়েছে আবার কোথাও দুর্ঘটনা ঘটেছে এই অজুহাত দেখিয়ে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও লাটে উঠার পথে। অভিযোগও কার্যকর হয় না। অজুহাতের কোন শেষ নেই। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে বাঁশখালী জোনাল অফিসের পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর যে অঙ্গীকার বিদ্যুৎ না থাকলে তা কী দরকার।
বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মোজাম্মেল হক বলেন, বাঁশখালীতে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৭ মেগাওয়াট। প্রতিদিন এ গ্রাহকদেরকে ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রদান করে থাকে। বাঁশখালীতে ৭০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। বিদ্যুৎ অফিসের অনিয়ম ও দালালদের মাধ্যমে অনিয়মের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুতের পরিচালক জাফর আহমদ বলেন, বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুতের অনিয়ম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি হাসতে হাসতে বললেন, আমরা সচেতন ব্যক্তিরা সংগঠিত হলেই অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ হয়ে পড়বে। ইলেকট্রিশিয়ানরা দুর্নীতির সাথে জড়িত এমন অভিযোগ পাওয়ার পর গ্রাহকদের লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের ডিজিএম নাইমুল হাসান বলেন, বাঁশখালীতে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ভোগান্তি দুর করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এমপি মহোদয়ের স্বাক্ষরিত পৌরসভা দক্ষিণ জলদি এলাকার ফিডার লাইন পরিবর্তনের একটি আবেদন পাওয়া গেছে তা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও নতুন নতুন গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লাইনের সমস্যা হলে বিদ্যুৎ থাকে না।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ঘোষণার পর থেকেই বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে দালালের সংখ্যা বাড়তে থাকে। দিন দিন গ্রাহক হয়রানির পাশাপাশি বিদ্যুৎ ভোগান্তিও বেড়েছে। পৌরসভা এলাকার অর্ধেক অংশ ৫নং ফিডারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ রেখে পৌরসভার দক্ষিণাংশ দক্ষিণ জলদির এলাকাকে দক্ষিণ বাঁশখালীর ৮ ইউনিয়নের সাথে সংযুক্ত করে দেয়া হয়। ৪নং ফিডার থেকে গ্রাহকেদের সংযোগ পরিবর্তনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৫নং ফিডারে পরিবর্তনযোগ্য বলে পল্লী বিদ্যুৎ কর্র্তৃপক্ষ যাচাই বাছাই করলেও অদৃশ্য কারণে ফাইলটি লাল ফিতায় বন্দী অবস্থায় রয়েছে। পৌর এলাকার দক্ষিণাংশে জনগুরুত্বপূর্ন ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর পাশাপাশি সরকারি জেলা পরিষদ ডাক বাংলোতে মাসিক সভার কার্যক্রম রয়েছে। এছাড়াও বাঁশখালীর একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ জলদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং জুনিয়র মডেল হাই স্কুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৫টি হিন্দু মন্দির, ১টি বৌদ্ধ মন্দির, ৭টি মসজিদ–মাদ্রাসা রয়েছে। বাঁশখালী উপজেলায় ১৪ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ গ্রাহক ছিল সাড়ে ৬ হাজার। ২০০৯ সালের পর থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বাঁশখালীতে গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭০ হাজার। ৫টি সাব–স্টেশনে ১১টি ফিডারে বিদ্যুতের কার্যক্রম চলছে। দৈনিক বিদ্যুৎ চাহিদা রয়েছে ১৭ মেগাওয়াট। বাঁশখালীতে রাইস মিল, বরফ মিল, স–মিল মিলে ২শতাধিক কারখানা গড়ে উঠেছে। গ্রাহকদের বিদ্যুৎ চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ সরাবরাহ অনিয়মের কারণে মিল কল কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অথচ দালালদের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে গ্রাহকদের হয়রানি করা হচ্ছে। দালালরা মোটা অংকের টাকা সঠিক জায়গায় পৌঁছিয়ে দিলেই বিদ্যুৎ সংযোগ মিলছে। বাঁশখালীতে পাহাড়ি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ নিষেধ থাকলেও গভীর পাহাড়ে পর্যন্ত নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে। কাথারিয়া, গন্ডামারা ও চাম্বল এলাকায় তিন দালালের কাছে লাখো মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের অধীনে পুকুরিয়া, সাধনপুর, খানখানাবাদ, কাথরিয়া, বৈলছড়ি, গন্ডামারা, শেখেরখীল, চাম্বল, ছনুয়া, পুঁইছড়ি ইউনিয়নে এলাকার নির্দিষ্ট দালালের মাধ্যমে টাকা লেনদেন হয়। সরকারি বরাদ্দকৃত প্রতি মিটারে ৬৫০টাকা নিয়ম থাকলেও বিদ্যুৎ অফিসের অসাধু কর্মকর্তারা দালালদের মাধ্যমে প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। গ্রাহকদের টাকা লেনদেন ছাড়া নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়াই যায় না। প্রতিদিন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গ্রাহকদের ভিড় লেগে রয়েছে। কারো নতুন আবেদন, কারো আবেদন ফাইলভূক্ত না হওয়া আবার পরিশোধকৃত বিদ্যুৎ বিলের পুনরায় গ্রাহকদের প্রদান করা। মিটার রিডিং এর সাথে বিলের অমিল নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগের অন্ত নেই। বিদ্যুৎ গ্রাহক মো. হারুন জানায়, বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন পারে না এমন কোন কাজ নেই। অফিসের চিহ্নিত দালালদের মাধ্যমেই সব কাজ করতে হয় নতুবা গ্রাহকরা দিনের পর দিন ঘুরতেই থাকবে। নতুন সংযোগও হবে না গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ হবে না। উপজেলা প্রশাসনিক এলাকায় গ্রাহকদের বিদ্যুৎ নিয়ে ভোগান্তি কম হলেও বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাহকদের ভোগান্তি রয়েছে।
বাঁশখালী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আ. লীগ নেতা বদিউল আলম বলেন, বিদ্যুৎ অফিসে দালালের সংখ্যা বেশি, দালালদের হাতে টাকা দিলে বিদ্যুৎ সংযোগ দ্রুত মিলে। পৌর এলাকার দক্ষিণ জলদির কিছু অংশ ৬৬৫ জন বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ৪নং ফিডার থেকে ৫নং ফিডারে সংযুক্ত করার জন্য সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সুপারিশক্রমে আবেদন করে ৩ মাস অতিক্রম হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম বিষয়টি এখনো গুরুত্ব দেয় নি। দক্ষিণ জলদির বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বাঁশখালী পৌরসভার বাসিন্দা হলেও দৈনিক ৪ ঘন্টাও বিদ্যুৎ পায় না। গাছ পড়েছে অজুহাত দেখিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। ট্রান্সফরমার নষ্ট হলে তো কথাই নেই। এ ফাইল নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই। কবে নাগাদ সুফল পাওয়া যাবে তাও বলা যাচ্ছে না।
দক্ষিণ জলদির বাসিন্দা বাঁশখালী আদর্শ বিদ্যালয়ের শিক্ষক অমৃত কারণ বলেন, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অনিয়ম বলে শেষ করা যাবে না। গতকাল বুধবার বিকাল সন্ধ্যা ৬টার পরও বিদ্যুৎ বাড়িতে ছিল না। এই ৪ নং ফিডারের অধীনে দিনে ৮–১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যায় না।
পুকুরিয়ার বিদ্যুৎ গ্রাহক নুরুল কবির জানান, দক্ষিণ বাঁশখালী বিদ্যুৎ থাকলেও সাতকানিয়া ৩টি ইউনিয়ন বাঁশখালীর অর্ন্তভূক্ত পুুকুরিয়া, সাধনপুরের গ্রাহকরা বিদ্যুৎ পায় না। কোথাও গাছ পড়েছে আবার কোথাও দুর্ঘটনা ঘটেছে এই অজুহাত দেখিয়ে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও লাটে উঠার পথে। অভিযোগও কার্যকর হয় না। অজুহাতের কোন শেষ নেই। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে বাঁশখালী জোনাল অফিসের পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর যে অঙ্গীকার বিদ্যুৎ না থাকলে তা কী দরকার।
বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মোজাম্মেল হক বলেন, বাঁশখালীতে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৭ মেগাওয়াট। প্রতিদিন এ গ্রাহকদেরকে ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রদান করে থাকে। বাঁশখালীতে ৭০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। বিদ্যুৎ অফিসের অনিয়ম ও দালালদের মাধ্যমে অনিয়মের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুতের পরিচালক জাফর আহমদ বলেন, বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুতের অনিয়ম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি হাসতে হাসতে বললেন, আমরা সচেতন ব্যক্তিরা সংগঠিত হলেই অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ হয়ে পড়বে। ইলেকট্রিশিয়ানরা দুর্নীতির সাথে জড়িত এমন অভিযোগ পাওয়ার পর গ্রাহকদের লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের ডিজিএম নাইমুল হাসান বলেন, বাঁশখালীতে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ভোগান্তি দুর করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এমপি মহোদয়ের স্বাক্ষরিত পৌরসভা দক্ষিণ জলদি এলাকার ফিডার লাইন পরিবর্তনের একটি আবেদন পাওয়া গেছে তা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও নতুন নতুন গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লাইনের সমস্যা হলে বিদ্যুৎ থাকে না।
/দৈনিক পূর্বকোণ
0 মন্তব্যসমূহ