বি,এন ডেস্কঃ
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ দারিদ্র্য নিরসনে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন
করেছে। দেশে ক্রমেই দারিদ্র্যের হার কমে আসছে। আর এক্ষেত্রে আর্থসামাজিক
উন্নয়নের জন্য নেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ
তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
উল্লেখ্য, এই বিশেষ উদ্যোগুলো হলো— একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রয়ণ,
ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে
বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা
কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ এবং পরিবেশ সুরক্ষা। মূলত গ্রামীণ সমাজের মানুষের
কথা চিন্তা করেই এমন বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। উদ্যোগগুলো যে দেশের সামাজিক ও
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে, গ্রামের মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে যথেষ্ট
ভূমিকা রাখছে কার্যত তার প্রমাণও মিলছে।
কয়েক বছর আগেও মঙ্গার কারণে রংপুর বিভাগের মানুষ দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে
জীবনযাপন করতেন। কিন্তু উদ্যোগগুলোর অন্যতম সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর
আওতায় বিভাগের কয়েক লাখ দরিদ্র, অতিদরিদ্র মানুষকে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা
করায় এ অঞ্চল থেকে মঙ্গা উধাও হয়েছে। বর্তমানে রংপুর বিভাগের ৫৮ উপজেলার
নিভৃত পল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত বিশেষ এ কর্মসূচির উপকারভোগী প্রায় ২৫
লাখ হতদরিদ্র নারী-পুরুষ। বলা যায়, এর মাধ্যমে এ অঞ্চলে ঘটে গেছে নীরব
বিপ্লব। এ বিভাগে বয়স্কভাতার সুবিধা ভোগ করছেন ৪ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৬ জন,
বিধবাভাতা পাচ্ছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ১৬৭ জন। এছাড়াও ওপেন মার্কেট সেল
(ওএমএস), ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি), ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং
(ফিজিএফ), টেস্ট রিলিফ, কাজের বিনিময়ে খাদ্য এবং প্রোগ্রাম ফর ফ্রেন্ডলি
ফুডসহ অন্যান্য কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত রয়েছে সাড়ে ১৯ লাখ মানুষ।
দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে এমন সফলতা যে শুধু রংপুর বিভাগেই তা নয়, দেশের
অন্যান্য অঞ্চলেও ঘটেছে। ফলে একদিকে যেমন দারিদ্র্যের হার কমছে, অন্যদিকে
প্রান্তিক মানুষ স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়,
প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত বিশেষ উদ্যোগগুলো যদি যথাযথভাবে কার্যকর হতে থাকে,
আক্ষরিক অর্থেই দারিদ্র্য জাদুঘরের দর্শনীয় বস্তুতে পরিণত হবে। দারিদ্র্য
দূরীকরণে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে
বাস্তবায়িত হোক— এটাই প্রত্যাশা।
/আলোকিত বাংলাদেশ
0 মন্তব্যসমূহ