বাঁশখালীতে সড়কে যত্রতত্র পার্কিংয়ে নাকাল পৌরবাসী



বিএন ডেস্কঃ চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী পৌরসভার প্রধান সড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড। পৌর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় সড়ক সংস্কার ও প্রশস্ত করলেও যত্রতত্র যানবাহন পার্কিং করার ফলে রাস্তা সংকুচিত হয়ে পৌরবাসীর স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে পৌর এলাকার মিয়ার বাজারের চার রাস্তার মোড়, জলদী উপজেলা হাসপাতাল গেট, বাঁশখালী আদালতের সামনে, থানার পার্শ্বে আস্কারিয়া রোডের মোড় এবং উপজেলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কের উপর নিয়মবহির্ভূতভাবে গড়ে উঠেছে অটো এবং সিএনজি স্ট্যান্ড।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রাস্তার উপর যাত্রী-ওঠা নামা করানোর কারণে সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট।
এমনকি হেঁটে চলাচল করতেও বেগ পেতে হয় এসব রাস্তায়। যানবাহনের নিয়ন্ত্রণহীন চলাচলের কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাছাড়া যানজটের কারণে যথাসময়ে স্কুল, কলেজ ও কর্মক্ষেত্রে পৌঁছতে পারছে না নগরবাসী। বিশেষ করে, বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কের একটি বড় অংশ জুড়ে গড়ে উঠেছে অবৈধ সিএনজির স্ট্যান্ড। বিদ্যালয়ের সামনে পথযাত্রীদের ভীড়ের কারণে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্টের সাথে সাথে উচ্চৈঃশব্দে পাঠদান কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সড়ক দখল করে রাখা ব্যাটারি এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলো সড়ক থেকে সরানোর জন্য বিভিন্ন সময়ে পদক্ষেপ নেওয়া হলেও কার্যত কোনো সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী। সিএনজি ও অটোরিকশা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে একজন লাইনম্যান দেওয়া হলেও ওই ব্যক্তি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে না বলেও স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস ছবুর জানান, পৌরসভার পক্ষ থেকে আমাদেরকে গাড়ি পার্কিং-এর কোনো নির্দিষ্ট জায়গা দেওয়া হয়নি। পৌর কর্তৃপক্ষ যেখানে জায়গা দেবে আমরা সেখানে গাড়ি পার্কিং করব।
এ ব্যাপারে বাঁশখালীর পৌর মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী বলেন, আগামী ১ মাসের মধ্যে প্রধান সড়কে অবস্থানকারী সিএনজি ষ্টেশনগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে আমি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি।
/ইত্তেফাক

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ