বিএন ডেস্কঃ
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেছেন,
তথ্য-প্রযুক্তি আইনটি একটি বিতর্কিত আইন। এই আইনকে সরকারি চাকরিতে কোটা
সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার
করছে সরকার। রোববার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ
সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার এবং নিরাপদ সড়কের
দাবিতে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার ও নির্যাতন প্রসঙ্গে আইনজীবী সমিতি এই
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
জয়নুল আবেদীন বলেন, মুসলমানরা পরিবারের সকল সদস্যের সাথে ঈদুল আযহা
উদযাপন করেন। অথচ ন্যায্য আন্দোলন করতে গিয়ে বহু ছাত্রছাত্রী গ্রেফতার হয়ে
কারাগারে। অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এটা খুবই অমানবিক। তাদের দ্রুত মুক্তি
দিতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক ছিলো বলে আমরা মনে করি। সরকারও এর যৌক্তিকতা
স্বীকার করেছে। তিনি বলেন, যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ
করেছিল তারা কোন রাজনৈতিক দলের লেজুড় ভিত্তিক অংগ সংগঠনের সদস্য ছিলো না।
তবু জামায়াত-বিএনপিকে জড়িয়ে এই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে
সরকার নানা কৌশল অবলম্বন করেছে। নামে বেনামে অনেক মামলা মোকদ্দমা দায়ের
করেছে, আন্দোলনকারীদের গণগ্রেফতারের মূল লক্ষ্যে পরিণত করেছে। তিনি বলেন,
আমরা দেখেছি হেলম্যাটধারী সন্তাসীরা ছাত্রছাত্রী ও সাংবাদিকদের উপর হামলা
চালিয়েছে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের গ্রেফতার করা হলেও আন্দোলনকারীদের উপর
সহিংসতা চালানোর দায়ে কারো বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
বরং অনলাইন জগতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। জয়নুল আবেদীন বলেন, সরকার দুটি
আন্দোলনের যৌক্তিকতা স্বীকার করলেও কেন হাজার হাজার অজ্ঞাতনামা আসামি করে
মামলা করেছে, তা বোধগম্য নয়। ওই আন্দোলনে ছাত্রলীগ-যুবলীগ এবং পুলিশের
অতিরিক্ত বল প্রয়োগের তীব্র নিন্দা জানান জয়নুল আবেদীন। এই সহিংসতায়
ছাত্রলীগের ভুমিকা এবং হেলম্যাটধারীদের বিষয়ে ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয়
আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সংবাদ সম্মেলনে দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কোষাধ্যক্ষ নাসরিন আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ ডি/এন
0 মন্তব্যসমূহ