বি,এন ডেস্কঃ
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে বিএনপির ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে জামায়াত। আসনটি এবার অনেক আগেভাগেই ২০ দলীয় জোটের প্রধান শরিক বিএনপির কাছে দাবি করেছে জামায়াতে কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টারি বোর্ড। ইতোমধ্যে জামায়াতের প্রার্থী ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম মাঠে নেমে পড়েছেন। তবে বসে নেই বিএনপির অন্যতম মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি প্রতিনিয়ত বাঁশখালীতে রাজনৈতিক কর্মসূচি ছাড়াও সামাজিক কর্মকা–েও অংশগ্রহণ করে যাচ্ছেন। বাঁশখালী আসনের টানা চারবারের এ সংসদ সদস্যের এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। এবারও তিনি বিএনপি থেকে মনোনয়ন দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন বলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিমতে জানা গেছে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ছাড়াও এ আসনে বিএনপির অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী হচ্ছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ–সভাপতি এডভোকেট ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন। বিএনপি ও জামায়াত ছাড়াও ২০ দলীয় জোটের অপর শরিক এলডিপির দক্ষিণ জেলা সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরীও দল থেকে এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী।
এদিকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে এলাকায় পোস্টারিং করেছেন বাঁশখালী আসনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী। এরা হলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ–এর কেন্দ্রীয় সহ পরিবেশ ও পর্যটন সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এম মহিউল আলম চৌধুরী এবং ইসলামীক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর বাঁশখালী উপজেলা (দক্ষিণ) সভাপতি মাওলানা বশির আহমদ।
এ প্রসঙ্গে এম মহিউল আলম চৌধুরী ও মাওলানা বশির আহমদ দৈনিক পূর্বকোণকে দুইজনই মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানান।
এ ব্যাপারে ইসলামিক ফ্রন্ট দক্ষিণ জেলা সভাপতি হামেদ হোসাইন বলেন, ‘এম মহিউল আলম চৌধুরীকে এক নম্বরে এবং মাওলানা বশির আহমদকে দুই নম্বরে রেখে জেলা কমিটির পক্ষ থেকে একটি তালিকা কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছে।’
জামায়াতের একক প্রার্থী বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর কোনো দায়িত্বশীল নিজে থেকে মনোনয়ন কিংবা নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশের নিয়ম নেই। সংগঠন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। জামায়াতের কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টারি বোর্ড বাঁশখালী আসনে এবার নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বোর্ড আমাকে জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে নির্ধারণ করেছে। জামায়াত থেকে ইতিমধ্যে ২০ দলীয় জোটের কাছে এ আসনটি চাওয়া হয়েছে।’
অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘বাঁশখালী উপজেলায় আমাদের সংগঠনের একটি শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও দুইটি ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেন জামায়াতের প্রার্থীরা। সেই বিবেচনায় আগামী সংসদ নির্বাচনে জামায়াত বাঁশখালী আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আশা করি জোট থেকে জামায়াতকে এ আসনটি ছেড়ে দেওয়া হবে। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে তাহলে জামায়াত এ আসনে দলগতভাবেও নির্বাচন করতে পারে।’
নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রসঙ্গে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন–সংগ্রামে নেতাকর্মীদের নিয়ে সবসময় মাঠে থাকার চেষ্টা করেছি। এ আসনে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আমাকে চারবার প্রার্থী করেছিলেন। ওই চারবারই আমি বিজয়ী হই। এছাড়া ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে বিএনপি ৩০টি আসনে জয়লাভ করে। এর মধ্যে বাঁশখালী আসনটিও ছিল। সুতরাং এসব বিবেচনা করে আশা করি দল এবারও আমাকে মনোনয়ন দিবে।’
বিগত উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও দুইটি ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াত প্রার্থী জয়লাভের প্রসঙ্গে আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে বাঁশখালীর ১৪ ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে বিএনপির প্রার্থী চারটিতে জয়লাভ করেন। কিন্তু জামায়াত একটি ইউনিয়নেও জয়ী হতে পারেনি। সুতরাং একটি নির্বাচনের মূল্যায়ন করে সবকিছু এককভাবে নেওয়া ঠিক হবে না।’
মনোনয়ন প্রসঙ্গে এলডিপির দক্ষিণ জেলা সভাপতি এডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনের জন্য আমার প্রস্তুতি রয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আমি জোট থেকে মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করবো।’
এদিকে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ–সভাপতি এডভোকেট ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রে জানা গেছে। তবে তাঁর মন্তব্য জানতে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
একই আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (পীর চরমোনাই) এর হাফেজ ফরিদ আহমেদ মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে তিনি এলাকায় পোস্টারিং করে তাঁর আগ্রহের কথা জানান দিয়েছেন।
স্বাধীনতা–পরবর্তী প্রতিটি সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম–১৬ (বাঁশখালী) আসনে চৌধুরীদের একক আধিপত্য চলে আসছে। ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহ–ই–জাহান চৌধুরী থেকে শুরু করে ২০১৪ সালে দশম সংসদে একই দলের মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী পর্যন্ত যারা এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের নামের শেষাংশে ‘চৌধুরী’ রয়েছে। এ আসনে নির্বাচিত অন্যান্য সংসদ সদস্যরা হলেন, আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, আলহাজ মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ও সুলতানুল কবির চৌধুরী। মূলত প্রতিটি সংসদ নির্বাচনে কাকতালীয়ভাবে ‘চৌধুরী’ পড়েছেন বিজয়ের মালা। এ আসনে ১০টি সংসদীয় নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী রেকর্ড সংখ্যক পাঁচবার বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী জিতেছেন টানা চারবার। আওয়ামী লীগ জিতেছে তিনবার। দুইবার বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী।
পরিসংখ্যান মতে, ১৯৭৩ সালে ৭ মার্চ প্রথম সংসদ নির্বাচনে এ আসনে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগের শাহ–ই–জাহান চৌধুরী। ১৯৭৯ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপির আলহাজ মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। পরবর্তীতে ক্ষমতার পালাক্রমে সরকার গঠন করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ। মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বিএনপি ছেড়ে যোগ দেন জাতীয় পার্টিতে। অংশগ্রহণ করেন একই আসনে সংসদ নির্বাচনেও। ১৯৮৬ সালে ৭ মে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে আলহাজ মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী জয়লাভ করেন। এই নির্বাচনের তিন বছরের মধ্যে ১৯৮৮ সালে অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই আসনে ১৯৯১ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের সুলতানুল কবির চৌধুরী। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপির আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। একই বছর ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচনেও জয়লাভ করেন বিএনপির বিএনপির আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। এরপর ২০০১ সালে পহেলা অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপির আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনেও জয়ী হন বিএনপির আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। সবশের্ষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ছাড়াও এ আসনে বিএনপির অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী হচ্ছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ–সভাপতি এডভোকেট ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন। বিএনপি ও জামায়াত ছাড়াও ২০ দলীয় জোটের অপর শরিক এলডিপির দক্ষিণ জেলা সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরীও দল থেকে এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী।
এদিকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে এলাকায় পোস্টারিং করেছেন বাঁশখালী আসনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী। এরা হলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ–এর কেন্দ্রীয় সহ পরিবেশ ও পর্যটন সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এম মহিউল আলম চৌধুরী এবং ইসলামীক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর বাঁশখালী উপজেলা (দক্ষিণ) সভাপতি মাওলানা বশির আহমদ।
এ প্রসঙ্গে এম মহিউল আলম চৌধুরী ও মাওলানা বশির আহমদ দৈনিক পূর্বকোণকে দুইজনই মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানান।
এ ব্যাপারে ইসলামিক ফ্রন্ট দক্ষিণ জেলা সভাপতি হামেদ হোসাইন বলেন, ‘এম মহিউল আলম চৌধুরীকে এক নম্বরে এবং মাওলানা বশির আহমদকে দুই নম্বরে রেখে জেলা কমিটির পক্ষ থেকে একটি তালিকা কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছে।’
জামায়াতের একক প্রার্থী বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর কোনো দায়িত্বশীল নিজে থেকে মনোনয়ন কিংবা নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশের নিয়ম নেই। সংগঠন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। জামায়াতের কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টারি বোর্ড বাঁশখালী আসনে এবার নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বোর্ড আমাকে জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে নির্ধারণ করেছে। জামায়াত থেকে ইতিমধ্যে ২০ দলীয় জোটের কাছে এ আসনটি চাওয়া হয়েছে।’
অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘বাঁশখালী উপজেলায় আমাদের সংগঠনের একটি শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও দুইটি ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেন জামায়াতের প্রার্থীরা। সেই বিবেচনায় আগামী সংসদ নির্বাচনে জামায়াত বাঁশখালী আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আশা করি জোট থেকে জামায়াতকে এ আসনটি ছেড়ে দেওয়া হবে। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে তাহলে জামায়াত এ আসনে দলগতভাবেও নির্বাচন করতে পারে।’
নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রসঙ্গে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন–সংগ্রামে নেতাকর্মীদের নিয়ে সবসময় মাঠে থাকার চেষ্টা করেছি। এ আসনে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আমাকে চারবার প্রার্থী করেছিলেন। ওই চারবারই আমি বিজয়ী হই। এছাড়া ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে বিএনপি ৩০টি আসনে জয়লাভ করে। এর মধ্যে বাঁশখালী আসনটিও ছিল। সুতরাং এসব বিবেচনা করে আশা করি দল এবারও আমাকে মনোনয়ন দিবে।’
বিগত উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও দুইটি ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াত প্রার্থী জয়লাভের প্রসঙ্গে আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে বাঁশখালীর ১৪ ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে বিএনপির প্রার্থী চারটিতে জয়লাভ করেন। কিন্তু জামায়াত একটি ইউনিয়নেও জয়ী হতে পারেনি। সুতরাং একটি নির্বাচনের মূল্যায়ন করে সবকিছু এককভাবে নেওয়া ঠিক হবে না।’
মনোনয়ন প্রসঙ্গে এলডিপির দক্ষিণ জেলা সভাপতি এডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনের জন্য আমার প্রস্তুতি রয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আমি জোট থেকে মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করবো।’
এদিকে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ–সভাপতি এডভোকেট ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রে জানা গেছে। তবে তাঁর মন্তব্য জানতে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
একই আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (পীর চরমোনাই) এর হাফেজ ফরিদ আহমেদ মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে তিনি এলাকায় পোস্টারিং করে তাঁর আগ্রহের কথা জানান দিয়েছেন।
স্বাধীনতা–পরবর্তী প্রতিটি সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম–১৬ (বাঁশখালী) আসনে চৌধুরীদের একক আধিপত্য চলে আসছে। ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহ–ই–জাহান চৌধুরী থেকে শুরু করে ২০১৪ সালে দশম সংসদে একই দলের মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী পর্যন্ত যারা এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের নামের শেষাংশে ‘চৌধুরী’ রয়েছে। এ আসনে নির্বাচিত অন্যান্য সংসদ সদস্যরা হলেন, আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, আলহাজ মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ও সুলতানুল কবির চৌধুরী। মূলত প্রতিটি সংসদ নির্বাচনে কাকতালীয়ভাবে ‘চৌধুরী’ পড়েছেন বিজয়ের মালা। এ আসনে ১০টি সংসদীয় নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী রেকর্ড সংখ্যক পাঁচবার বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী জিতেছেন টানা চারবার। আওয়ামী লীগ জিতেছে তিনবার। দুইবার বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী।
পরিসংখ্যান মতে, ১৯৭৩ সালে ৭ মার্চ প্রথম সংসদ নির্বাচনে এ আসনে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগের শাহ–ই–জাহান চৌধুরী। ১৯৭৯ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপির আলহাজ মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। পরবর্তীতে ক্ষমতার পালাক্রমে সরকার গঠন করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ। মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বিএনপি ছেড়ে যোগ দেন জাতীয় পার্টিতে। অংশগ্রহণ করেন একই আসনে সংসদ নির্বাচনেও। ১৯৮৬ সালে ৭ মে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে আলহাজ মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী জয়লাভ করেন। এই নির্বাচনের তিন বছরের মধ্যে ১৯৮৮ সালে অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই আসনে ১৯৯১ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের সুলতানুল কবির চৌধুরী। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপির আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। একই বছর ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচনেও জয়লাভ করেন বিএনপির বিএনপির আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। এরপর ২০০১ সালে পহেলা অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপির আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনেও জয়ী হন বিএনপির আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। সবশের্ষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
সুত্রঃ দৈনিক পূর্বকোণ
0 মন্তব্যসমূহ