রমেশা


কবিঃ হাসান খুরশেদ!

সূর্যাস্তের আলো,
রোদ্রখরা তেজ, দিনশেষ ক্লান্ত অবসাদ
রাত্তির জোতস্না, জোনাইপোকার বোঁ বোঁ শব্দ,
সবুজ রাত্তির, নির্ঘুম তারার বিনিময় হীন আলো লাগে বেশ ভালো।
আমার গ্রামে ভালবাসা গুলো উকি দেয় এখনো।

সুন্দর গুলো কলসি কোমরে, লম্বা বেণি তে আছোলা বুনো।

একটা গাঁ জসিম উদ্দিন।
রাখালের বাসিতে মধুর সুর,
লাঙল এর তুলিতে কৃষকের সুখ।
গাড়োয়ান পৌছুতেই পল্লীবধূ, হাতে বাটি ভাত,লালশাড়ি,পা টানা বসে বলে এই নাও খোল মুখ।

পাখিরা পাহাড়ে গাই গান,কুহুতান।

আছোলে ভালবাসা, মাথায় বুলাই হাত,
গিট্টু খোলা পয়সাকড়ি জমানো ভালবাসা,
রঙধনু র আকাশে সাত আখা বন্ধন, মা,
পালে পালে ভেড়ার দল না ছাড়ে, সঙ্গী অপাত।

বীরদর্পে আছে দাঁড়িয়ে,
জোয়ানেরা কন্ঠে বলে বাড়িয়ে,
বৃক্ষরাজ,
উপকারী নিমগাছ। 

খামারবাড়ি, কালো মহিষ খালে
রাতজাগা ওয়াক ওয়াক বলে ঢাকা পাখি,
দুসিখের জানালা টা খুলে আলতা পায়ে
খুলে হরিণি দুটো আখি।

অজান্তে মনের সুখে
চাতক পাখি উড়ে মুক্ত আকাশে।

জমিয়ে রাখা কড়ই এর নাড়ু,খেজুরগুড়, লাফানো ছাগলছানা, উঠোনে বসে মনরুপা মকসুদ্দি,
চোখে এখনো ভাসে,
রমেশা দের ভালবাসা তবু ও আসে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ