বিএন ডেস্কঃ
নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঢাকায় আন্দোলন চলাকালে পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি
কাজে বাধাদান ও ভাঙচুরের দুই মামলায় বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৬ জনের জামিন দিয়েছে আদালত।
২২ জনের মধ্যে বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলায় ১০ জন ও ভাটারা থানায়
দায়ের করা মামলায় ছয়জনের জামিন হয়েছে। বাকিদের জামিনের বিষয়ে শুনানি চলছে।
রোববার (১৯ আগস্ট) ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো ও
ঢাকা মহানগর হাকিম এ কে এম মঈন উদ্দিন সিদ্দিকী আসামিদের জামিন দেন।
আসামিদের মধ্যে ১৪ জন বাড্ডা থানার এবং শেষের ৮ জন ভাটারা থানার মামলার আসামি।
বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলায় জামিন পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন নুর
মোহাম্মদ, জাহিদুল হক, মো. হাসান, রেদওয়ান আহম্মেদ, তরিকুল ইসলাম, এ এইচ এম
খালিদ রেজা ওরফে তন্ময়, রেজা রিফাত আখলাক, রাশেদুল ইসলাম, মুশফিকুর রহমান,
ইফতেখার আহম্মেদ।
ভাটারা থানার মামলায় জামিন পাওয়ারা হলেন মাসাদ মোর্তোজা বিন আহাদ,
সাখাওয়াত হোসেন নিঝুম, সিফাত শাহরিয়ার, আজিজুল করিম অন্তর, মেহেদী হাসান,
ফয়েজ আহম্মেদ আদনান।
মামলার মোট আসামিরা হলেন- রিসালাতুন ফেরদৌস, রেদোয়ান আহম্মেদ, রাশেদুল
ইসলাম, বায়েজিদ, মুশফিকুর রহমান,ইফতেখার আহম্মেদ , রেজা রিফাত আখলাক,
এএইচএম খালিদ রেজা ওরফে তন্ময়, তরিকুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদ, সীমান্ত সরকার,
ইকতিদার হোসেন, জাহিদুল হক, মো. হাসান, আজিজুল করিম অন্তর, মাসাদ মর্তুজা
বিন আহাদ, ফয়েজ আহম্মেদ আদনান, সাবের আহম্মেদ উল্লাস, মেহেদী হাসান, সিফাত
শাহরিয়ার, সাখাওয়াত হোসেন নিঝুম ও আমিনুল এহসান বায়েজিদ।
এরা বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থসাউথ, সাউথইস্ট ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও
আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
আসামিপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে কবীর হোসেন, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময়
বড়ুয়া, আক্তার হোসেন জুয়েলসহ আরও অনেকেই জামিন চেয়ে আদালতে শুনানি করেন।
গত ৬ আগস্ট আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকা থেকে ওই ২২
জনকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে তাদের নামে বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দায়ের করা
হয়। পরে পুলিশ রিমান্ড চাইলে আদালত তাদের প্রত্যেককে দুইদিন করে রিমান্ডে
পাঠায়।
রিমান্ড শেষে ৯ আগস্ট তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
0 মন্তব্যসমূহ