বিএন ডেস্কঃ
রাজধানীতে ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি, টানা পার্টি, চাঁদাবাজসহ বিভিন্ন
ধরনের প্রতারক চক্র রয়েছে। তবে সম্প্রতি বিয়ের কাবিননামা দেখার নাম করে
টাকা হাতিয়ে নেয়া নতুন চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ চক্রের সদস্যরা
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার নিম্ন আয়ের লোকদের কাছে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বিয়ের
কাবিননামা দেখতে চায়। কিন্তু কাবিননামা দেখাতে না পারলেই বিভিন্ন হয়রানি,
ভয়ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে বিশাল অঙ্কের টাকা। এমনকি টাকার সাথে ঘরের
মূল্যবান মালামাল নিয়ে যাচ্ছে তারা। তবে বিষয়টি বিয়েসংক্রান্ত হওয়ায় ঝামেলা
এড়াতে অনেকেই থানায় অভিযোগ করছেন না। তা ছাড়া প্রতারক চক্রের সবাই উঠতি
বয়সী মাস্তান হওয়ায় মুখ খুলতেও ভয় পাচ্ছেন অনেকে। সম্প্রতি রাজধানীর
শান্তিবাগ, মালিবাগ এলাকায় এমন কিছু ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এখনো অবগত হতে পারেনি।
শান্তিবাগের এক বাসিন্দা জানান, তিনি গার্মেন্টে চাকরি করেন। স্ত্রীকে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় সাবলেট থাকেন। বিয়ের পর স্ত্রীকে গ্রাম থেকে ঢাকায় এনে বসবাস করছিলেন। ভালোই চলছিল তাদের সংসার। গত ঈদুল আজহার আগে রাতে স্থানীয় কয়েকজন উঠতি বয়সী যুবক তাদের বাসায় আসে। প্রথমে দরজায় নক করলে তার স্ত্রী দরজা খুলে দেন। এ সময় একসাথে সাত-আট যুবককে দেখে কিছুটা ঘাবড়ে যান তারা। ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন তার স্বামী ওই গার্মেন্টকর্মী। আপনারা কারা কেন এসেছেন জানতে চাইলে যুবকদের মধ্যে একজন সালাম দিয়ে পানি খেতে চান। এ সময় তারা বিভিন্ন কথা বলতে শুরু করেন। তারা জানতে চায় আপনি কী করেন। এ বাসায় আর কে কে থাকে। গ্রামের বাড়ি কোথায়। সন্তান আছে কি না ইত্যাদি। কিছুটা বিরক্তবোধ করে তাদের আসার কারণ জানতে চান ওই গার্মেন্টশ্রমিক। এ সময় যুবকদের একজন বলে, ‘আপনারা দুইজন কি স্বামী-স্ত্রী’। হ্যাঁ বললেই তারা বিয়ের কাবিননামা দেখতে চায়। কেন আপনাদের কাবিননামা দেখাব বললেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তারা। গালি দিয়ে বলে, ‘আমরা খবর পেয়েছি স্বামী-স্ত্রীর নাম করে তোরা এখানে অবৈধভাবে বসবাস করছিস। এমনকি ওই মেয়েকে দিয়ে তুই দেহব্যবসা শুরু করিয়ে টাকা আয় করছিস। চল তোদের থানায় নিয়ে যাবো।’ এ কথা বলে সবাই একসাথে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ ও খারাপ কথা বলতে শুরু করে তারা।
তাদের কথা শুনে আশপাশে দু-একজন এগিয়ে এলেও তাদের ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়। একপর্যায়ে বলা হয়, বাঁচতে চাইলে এখনই ২০ হাজার টাকা বের কর। না হলে নারী ব্যবসার অভিযোগে থানায় নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু এত টাকা ওই গার্মেন্টশ্রমিকের বাসায় না থাকায় তিনি কাকুতি মিনতি করতে থাকেন। একপর্যায়ে ঘরে থাকা মাটির ব্যাংক ভেঙে তিন হাজার টাকা সংগ্রহ করে তাদের হাতে তুলে দেন। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় চলে যাওয়ার সময় ওই গার্মেন্টশ্রমিকের কানের স্বর্ণের দুল খুলে নিয়ে যায় তারা। বিষয়টি বাড়িওয়ালাকে জানানোর পর ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। কিন্তু পুলিশে খবর দেয়ার চেষ্টা করতেই এলাকার সরকারদলীয় নেতাদের চাপে তা আর সম্ভব হয়নি। এমনই অপর একটি ঘটনা ঘটেছে মালিবাগ এলাকায়ও। তবে দু’টির একটিতেও থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ভুক্তভোগীরা বলছেন, তারা স্বল্প আয়ের গরিব মানুষ। বড় বড় রাজনীতিকদের ছত্রছায়ায় থাকা এলাকার মাস্তান সন্ত্রাসীরা টাকা হাতিয়ে নিতে এ কৌশল অবলম্বন করছে। এটি নিয়ে থানা পুলিশ করতে গেলে তাদের অত্যাচারে এলাকায় বসবাস করা সম্ভব হবে না।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, রাজধানীতে বসবাসকারী বেশির ভাগ স্বামী-স্ত্রী কাজী অফিস থেকে তাদের কাবিননামা তোলেননি। বিশেষ কোনো প্রয়োজন ছাড়া এটি তুলে আনার কথা অনেকের মনেও থাকে না। তা ছাড়া এ পর্যন্ত সরকারের কোনো সংস্থার সদস্যরা কাবিননামা যাচাই করতে এসেছেন বলেও কারো জানা নেই। কিন্তু হঠাৎ করে একটি চক্র টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য এ ধান্ধাবাজি শুরু করেছে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধরনের প্রতারক চক্রের খবর এখনো তাদের জানা নেই। তবে কেউ এমন অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শান্তিবাগের এক বাসিন্দা জানান, তিনি গার্মেন্টে চাকরি করেন। স্ত্রীকে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় সাবলেট থাকেন। বিয়ের পর স্ত্রীকে গ্রাম থেকে ঢাকায় এনে বসবাস করছিলেন। ভালোই চলছিল তাদের সংসার। গত ঈদুল আজহার আগে রাতে স্থানীয় কয়েকজন উঠতি বয়সী যুবক তাদের বাসায় আসে। প্রথমে দরজায় নক করলে তার স্ত্রী দরজা খুলে দেন। এ সময় একসাথে সাত-আট যুবককে দেখে কিছুটা ঘাবড়ে যান তারা। ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন তার স্বামী ওই গার্মেন্টকর্মী। আপনারা কারা কেন এসেছেন জানতে চাইলে যুবকদের মধ্যে একজন সালাম দিয়ে পানি খেতে চান। এ সময় তারা বিভিন্ন কথা বলতে শুরু করেন। তারা জানতে চায় আপনি কী করেন। এ বাসায় আর কে কে থাকে। গ্রামের বাড়ি কোথায়। সন্তান আছে কি না ইত্যাদি। কিছুটা বিরক্তবোধ করে তাদের আসার কারণ জানতে চান ওই গার্মেন্টশ্রমিক। এ সময় যুবকদের একজন বলে, ‘আপনারা দুইজন কি স্বামী-স্ত্রী’। হ্যাঁ বললেই তারা বিয়ের কাবিননামা দেখতে চায়। কেন আপনাদের কাবিননামা দেখাব বললেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তারা। গালি দিয়ে বলে, ‘আমরা খবর পেয়েছি স্বামী-স্ত্রীর নাম করে তোরা এখানে অবৈধভাবে বসবাস করছিস। এমনকি ওই মেয়েকে দিয়ে তুই দেহব্যবসা শুরু করিয়ে টাকা আয় করছিস। চল তোদের থানায় নিয়ে যাবো।’ এ কথা বলে সবাই একসাথে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ ও খারাপ কথা বলতে শুরু করে তারা।
তাদের কথা শুনে আশপাশে দু-একজন এগিয়ে এলেও তাদের ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়। একপর্যায়ে বলা হয়, বাঁচতে চাইলে এখনই ২০ হাজার টাকা বের কর। না হলে নারী ব্যবসার অভিযোগে থানায় নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু এত টাকা ওই গার্মেন্টশ্রমিকের বাসায় না থাকায় তিনি কাকুতি মিনতি করতে থাকেন। একপর্যায়ে ঘরে থাকা মাটির ব্যাংক ভেঙে তিন হাজার টাকা সংগ্রহ করে তাদের হাতে তুলে দেন। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় চলে যাওয়ার সময় ওই গার্মেন্টশ্রমিকের কানের স্বর্ণের দুল খুলে নিয়ে যায় তারা। বিষয়টি বাড়িওয়ালাকে জানানোর পর ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। কিন্তু পুলিশে খবর দেয়ার চেষ্টা করতেই এলাকার সরকারদলীয় নেতাদের চাপে তা আর সম্ভব হয়নি। এমনই অপর একটি ঘটনা ঘটেছে মালিবাগ এলাকায়ও। তবে দু’টির একটিতেও থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ভুক্তভোগীরা বলছেন, তারা স্বল্প আয়ের গরিব মানুষ। বড় বড় রাজনীতিকদের ছত্রছায়ায় থাকা এলাকার মাস্তান সন্ত্রাসীরা টাকা হাতিয়ে নিতে এ কৌশল অবলম্বন করছে। এটি নিয়ে থানা পুলিশ করতে গেলে তাদের অত্যাচারে এলাকায় বসবাস করা সম্ভব হবে না।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, রাজধানীতে বসবাসকারী বেশির ভাগ স্বামী-স্ত্রী কাজী অফিস থেকে তাদের কাবিননামা তোলেননি। বিশেষ কোনো প্রয়োজন ছাড়া এটি তুলে আনার কথা অনেকের মনেও থাকে না। তা ছাড়া এ পর্যন্ত সরকারের কোনো সংস্থার সদস্যরা কাবিননামা যাচাই করতে এসেছেন বলেও কারো জানা নেই। কিন্তু হঠাৎ করে একটি চক্র টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য এ ধান্ধাবাজি শুরু করেছে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধরনের প্রতারক চক্রের খবর এখনো তাদের জানা নেই। তবে কেউ এমন অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ