বিএন ডেস্কঃ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম হবে না- এমন নিশ্চয়তা দেওয়ার সুযোগ
নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘প্রতিবন্ধী ভোটারদের
নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা’ বিষয়ক কর্মশালা শেষে
সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
সাম্প্রতিক সময়ের পাঁচ সিটি নির্বাচনে অনিয়মের পর এই পরিস্থিতিতে জাতীয়
নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হতে পারে?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সিইসি নূরুল হুদা
বলেন, কোথাও কোথাও অনিয়ম হয়েছে। এসব নির্বাচনে এ রকম অনিয়ম কিছু কিছু হয়েই
থাকে। যেখানে বেশি হয়েছে সেখানে আমরা বেশি অ্যাকশন নিয়েছি। যেমন বরিশালে
বেশি অনিয়ম হয়েছে, বেশি অ্যাকশন নিয়েছি। সেখানে বেশি কেন্দ্র স্থগিত আছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা মনে করি না, একাদশ জাতীয় সংসদ
নির্বাচনে এ রকম অসুবিধা হবে। তবে পাবলিক নির্বাচনে বা বড় বড় নির্বাচনে
কোথাও অনিয়ম হবে না- এই নিশ্চয়তা দেওয়ার সুযোগ আমার নাই। অনিয়ম হবে হয়তো,
তবে আমরা নিয়ন্ত্রণ করব। যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং তদন্ত করে ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর জাতি আস্থা রাখতে পারছে না বলে স¤প্রতি মন্তব্য করেছেন ড. কামাল হোসেন।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ড. কামাল কীভাবে দেখেন, তা তো
আমি জানি না। কোন জাতির, কী পরিসংখ্যান তার কাছে আছে, তা তো আমি জানি না।
একটা কথা বলতে হলে পরিসংখ্যান দিতে হবে। তার কাছে জাতি বলেছে কি না ভোট
দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে যে, আমরা জাতি, নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখি না।
এ রকম কথা তো আমরা শুনি নাই। জাতি নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখে না এ
নিয়ে কমিশন কোনো ধরনের অস্বস্তিতে নেই বলেও মন্তব্য করেন সিইসি।
ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের জন্য এই মুহূর্তে দেশে নির্বাচনি পরিবেশ আছে
কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আমি মনে করি আছে। নির্বাচনী পরিবেশ আছে,
অসুবিধা কোথায়? সাংবিধানিক ধারা অনুযায়ী নির্বাচন হবে।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে নূরুল
হুদা বলেন, এটার সাথে নির্বাচনের কী সম্পর্ক, এটা তো ভিন্ন ইস্যু। নির্বাচন
নিয়ে তো তারা কোনো কথা বলেনি। নির্বাচনের সাথে এটার কোনো সম্পর্ক আছে বলে
মনে হয় না। এখানে কমিশনের উদ্বেগের কিছু নেই। এ ছাড়া ভোটার তালিকা হয়ে
গেছে, আমার প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল হয়ে গেছে। ভোট কেন্দ্রগুলো নির্ধারণের কাজ
চলছে। সংসদীয় আসনের সীমানা পুন:নির্ধারণ হয়ে গেছে। ্
আরো পড়ুন : সিটি নির্বাচনে কোথাও কোথাও অনিয়ম হয়েছে : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচনে কিছু অনিয়ম হয়েই থাকে, সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও কোথাও কোথাও অনিয়ম হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচনে কিছু অনিয়ম হয়েই থাকে, সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও কোথাও কোথাও অনিয়ম হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সদ্য সমাপ্ত তিন সিটির নির্বাচনে অনিয়মের প্রেক্ষাপটে জাতীয় নির্বাচনে
এর প্রভাব বিষয়ে সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কোথাও
কোথাও অনিয়ম হয়েছে। যেখানে বেশি অনিয়ম হয়েছে, আমরা সেখানে ব্যবস্থা নিয়েছি।
যেমন বরিশালে আমরা বেশি অ্যাকশন নিয়েছি। বেশি কেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছে।
আর এই জাতীয় পাবলিক নির্বাচনে এরকম অনিয়ম কিছু কিছু হয়েই থাকে। বড় ধরনের
পাবলিক নির্বাচনে অনিয়ম হবে না— এ রকম নিশ্চয়তা দেওয়ার সুযোগ আমার নেই।
অনিয়ম হলে আমরা যেভাবে করি— সেইভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো। কোনো অনিয়ম হলে তদন্ত
করে হোক বা যেভাবে হোক, তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সাম্প্রতিক আন্দোলন জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে কী না, এমন প্রশ্নের
জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে এটার কোনো সম্পর্ক নেই। এটা ভিন্ন
ইস্যু। এটা নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কিছুও নেই। এখানে নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা
বলতেই শুনিনি। এটা সরকার দেখবে, আর যারা আন্দোলন করছে তারা দেখবে।’
দেশ এখন নির্বাচনী পরিবেশ আছে কিনা- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,
‘সাংবিধানিক ধারা অনুসারে জাতীয় নির্বাচন হবে। নির্বাচনী পরিবেশ আছে। আমি
তো কোনো অসুবিধা দেখছি না। আমরা মনে করি না সংসদ নির্বাচনে এ রকম কোনো
অসুবিধা হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদ
নির্বাচনের প্রস্তুতি আগে থেকেই রয়েছে। অক্টোবরের দিকে তফসিল ঘোষণা শুরু
হবে। ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধ বা জানুয়ারির প্রথম দিনে নিয়ম অনুসারে যেটা
হয়, তখন নির্বাচন হবে। জানুয়ারির ২৮ তারিখের মধ্যে ভোট হবে। তবে কমিশনে
এখনো এটা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটার সিদ্ধান্ত পরে হবে। নির্বাচন তো
করতেই হবে। আমাদের বাধ্যবাধতা রয়েছে।’
0 মন্তব্যসমূহ