বাঁশখালী জলদী বাইঙ্গাপাড়া মাদ্রাসার দায়িত্ব আল্লামা আহমদ শফির হাতে



মোহাম্মদ এরশাদ -বাঁশখালী প্রতিনিধি:
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্টান আল জমিয়া আল ইসলামিয়া জলদী মাখজুনুল উলুম (বাইঙ্গাপাড়া) বাঁশখালী বড় মাদরাসা। ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘ কয়েক যুগ থেকে শুনামের সাথে এই মাদরাসাটি সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখরিত ছিল। সম্প্রতি এই মাদরাসা পরিচালনায় নানা দূর্নীতি ও নিয়ম বহিঃর্ভূত কাজের কারণে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। শিক্ষার্থী শুন্য হয়ে পড়েছে মাদরাসাটি।।”।

মাখজুনুল উলুম মাদরাসার আর্থিক  কেলেঙ্কারীর অভিযোগটি দীর্ঘদিনের। উল্লেখ্য যে, মাদরাসার মুহতামিম মরহুম মাও. আবদুস সোবহান মধ্যপ্রাচ্য থেকে কোটি কোটি টাকার অনুদান সংগ্রহের কয়েক বছরের মধ্যেই মাদরাসায় আর্থিক কেলেঙ্কারীর বিষয়টি উঠে আসে। তারই জিবদ্দশায় তার তৃতীয়কন্যা উম্মে হাবীবা (স্বামী- মাও ইসহাক) নানা অপ-কৌশলে পিতার কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে তার মৃত্যু পরবর্তী মাদরাসার একাউন্ট থেকে ব্যক্তিগত স্বার্থে কোটি কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।পরবর্তীতে বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে বাঁশখালীসস্থ কাওমী শিক্ষাপ্রতিষ্টানের সকল মোহতামিমগণ বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) এর চেয়ারম্যান  ও হেফাজত আমির আল্লামা আহমদ শফির স্বরনাপর্ণ হন।।”।

সামগ্রীক বিষয়ে অবহিত হওয়ার পর আল্লামা আহমদ শফি সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় আল জমিয়া আল ইসলামিয়া জলদী মাখজুনুল উলুম মাদরাসায় আসেন। মাদরাসা কার্যালয়ে এক জরুরী আলোচনা সভায় তিনি ওলামায়েকেরাম ও এলাকাবাসীদের উদ্যেশ্যে বলেন- 'ঐতিহ্যবাহী এই মাদরাসাটি দীর্ঘদিন থেকে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত। এই মাদরাসার সকল দায়ীত্ব এখন আমার। আমি মোহতামিমের সকল দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। তাছাড়া এলাকাবাসীদের উদ্যেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা এই দ্বীনি প্রতিষ্টানকে অার্থিক সহযোগীতা ও পরামর্শ প্রদান করবেন। যে বা যারা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে তাদের বিচার আমি করার অধিকার রাখি কিন্তু আমি করবোনা। কেয়ামতের দিন এর বিচার আমি আল্লাহকে দিব।দূর্ষ্কৃতকারীদের ইন্ধনে একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান কিছুতেই ধ্বংস হতে পারেনা।।”।

বায়তুল ইরফান অাদর্শ মাদরাসার প্রতিষ্টাতা পরিচালক কাজী মুহাম্মদ মনছুরুল হক এর সার্বিক পরিচালনায় এসময় মজলিশে শুরার সদস্য বৃন্ধ সহ উপস্থিত ছিলেন চাম্বল দারুল উলুম অাইনুল ইসলাম মাদরাসার পরিচালক পীরে কামেল আল্লামা শাহ আব্দুল জলিল, পুকুরিয়া মাদরাসার পরিচালক আল্লামা হাফেজ নুর আহমদ, আল জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস আল্লামা জাহেদ উল্লাহ বিন শেখ ইউনুস, রাঙ্গুনিয়া মেহেরিয়া মাদরাসার পরিচালক মাও. ইসহাক নুর, নাছিরাবাদ মাদরাসার পরিচালক মাও. আব্দুল জাব্বার, বাহারছড়া মাদরাসার পরিচালক মাও. নুর মুহাম্মদ, হাটহাজারী মাদরাসার সহকারী নাজেমে তালীমাত মাও. আনাছ মাদানী, ছনুয়া মাদরাসার পরিচালক মাও. আবু তৈয়ুব কাছেমী, কারী মুবিন, মাদরাসার প্রতিষ্টাতা পরিচালকের  পুত্র মাও. হাসান আহমদ, মাও. ছাবের আহমদ, পশ্চিম পটিয়া আশরাফুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মাও. মাহবুবুর রহমান, জুমহুরিয়া মাদরাসার পরিচালক মাও. শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র শিক্ষক মাও. হাফিজুর রহমান, জলদী মাদরাসার সাবেক সহকারী পরিচালক মাও. ইলিয়াছ, মাও. আব্দুর রহমান, হেফাজত আমীরের একান্ত সচিব মাও. মুহাম্মদ শফী, মাও. মুহাম্মদ ইসমাঈল, হেফাজত নেতা মাও. মুঈনুদ্দীন রুহী, আল ফারুক মাদরাসার সহকারী পরিচালক মাও. নছিম প্রমূখ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ