বিএন ডেস্কঃ
নৌকা দেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য শাহিদা আকতার জাহান(এমএ)। তিনি বলেন, ‘নৌকা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। নৌকা উন্নয়নের পথ দেখায়। আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে আমরা আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই। আপনারা হাত তুলে ওয়াদা করুন, নৌকায় ভোট দেবেন।’ গতকাল মঙ্গলবার (১৮) সেপ্টেম্বর বাঁশখালী চাম্বল ইউনিয়ন পশ্চিম চাম্বল শীল পাড়া দূর্গা মন্দির শুভ উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।দক্ষিণ জেলাআওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ শুরু করেছি। এই নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করেছি বাঁশখালী থেকে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর সরকার গঠন করে পাঁচ বছরে আমরা পদার্পণ করেছি। সামনে নির্বাচন। নৌকা মার্কায় আপনারা ভোট দিয়েছিলেন। আজ বাংলার গ্রামে গ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমাদের আহ্বান, আপনারা অতীতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন। এই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। এই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, সম্মান পেয়েছে। আমরা এই দেশে কোনও অন্যায়-অবিচারকে বরদাস্ত করবো না। কোনও জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না।’
চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য বলেন, ‘আওয়ামী লীগের চিন্তা-চেতনা আর ওদের (বিএনপি-জামায়াত) চিন্তা-চেতনায় তফাৎ কোথায়, তা আপনারাই বুঝতে পারবেন। যারা এতিমের টাকা মেরে খায়, যারা জনগণকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারে, যারা মানুষ সেজে ধ্বংস করতে জানে, দেশকে ধ্বংস করতে জানে, বাংলাদেশকে পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করে তারা কীভাবে একটা দেশের উন্নতি করবে? যারা নিজেদের ভিক্ষুক হিসেবে অন্যের কাছে হাত পেতে চলতে চায়।’
বাংলাদেশ হাত পেতে চলবে না উল্লেখ করে শাহিদা আক্তার জাহান(এম এ) বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নত হবে, সমৃদ্ধশালী হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের সুনাম হয়। বিএনপি জোট ক্ষমতায় বাংলাদেশ তিরস্কৃত হয়। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাই হয়ে যায় তাদের মূল কাজ। এই বাংলাদেশকে উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আপনারা একবার চিন্তা করে দেখুন, ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ যদি পুনরায় ক্ষমতায় না আসতো, উন্নতি হতো না। উন্নয়নের ছোঁয়া আপনারা পেতেন না, দেশবাসী পেতো না। কারণ লুটেরা এলে লুটপাট করে খেতো আর সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ চালাতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে বলেই দেশের উন্নয়ন হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই বাঁশখালীর চাম্বলে বিএনপি যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তাতে অনেক নেতাকর্মী আমরা হারিয়েছি। চাম্বলে কোনও না কোনও দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকতো।বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে তাদের সন্ত্রাসী ক্যাডাররা আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। বিএনপি-জামায়াত ইসলামের নামে রাজনীতি করে, মসজিদে বোমা মারে।’
এছাড়া তিনি চট্টগ্রাম ১৬ আসনের সদস্য আলহাজ্জ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রসংশা করে বলেন, বাঁশখালীবাসি এত অবহেলিত ছিল তা বলার ছিল না।
বাঁশখালীকে দক্ষিণ চট্টগ্রামে মড়েল উপজেলা রুপান্তারিত করার জন্য বড় বড় দৃশ্যমান প্রকল্প নিয়ে আসেন। এক জন বোভাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন তিনি হাতের ইশারায় বলে দিবেন আলহাজ্ব মোস্তফিজুর রহমান চৌধরী এমপির উন্নয়নের কথা।যদি এক জন অন্ধ লোককে জিজ্ঞাসা করেণ তিনি বলতে পারবে না কারণ তিনি চোখে দেখে না।এম পি মহোদয় এত উন্নয়ন করেছেন সব দৃশ্যমান।আজ থেকে ৫ বাছর আগে বাঁশখালী প্রতিটি গ্রামের রাস্তা দিয় চলাফেরা করতে মানুষের খুবই কষ্ট হত,এমন এমন এলাকা ছিল মাটির রাস্তা পর্যন্ত ছিল না।আর মাটির রাস্তা যা ছিল তা বর্ষা কালে কাঁদায় কাঁদায় ভরে যেত মানুষ চলাফেরা করতে কষ্ট হত।মমতাময়ী জননেত্রী যেদিন থেকে বাঁশখালীর দায়িত্ব মোস্তফিজুর রহমান চৌধরীর কাঁধে তুলে দিলেন সে দিন থেকে এম পি সাহেব বাঁশখালী বাসিকে সততা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কঠোর পরিশ্রম করে এই ৫০ বছর পিছিয়ে থাকা বাঁশখালীকে একটি সমৃদ্ধশালী বাঁশখালী হিসাবে রুপান্তরিত করেছেন। পশ্চিম বাঁশখালীর বেঁড়িবাধের জন্য ২৬৩ কোটি টাকা, ১৫০০০ হাজার মিটার, ১০০ কোটি ব্যয়ে ৪০০কি মি বিদু্ৎ সংযোগ প্রদান ও শিক্ষা খাতের জন্য একটি কলেজ সরকারি করেছে একটি স্কুল সরকারি করেছে দুটি মাদ্রাসা কামিল পর্যন্ত করেছে এই পর্যন্ত ১০০০ কোটি টাকার উন্নয়ন করেছে। বাকি কাজ গুলো করার জন্য আলহাজ্ব মোস্তফিজুর রহমান চৌধরী কোন বিকল্প নেই। বিশ্বায়নের এই বাঁশখালীর উন্নয়ন অব্যহত রাখতে আবারও নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
0 মন্তব্যসমূহ