মোহাম্মদ এরশাদঃ হাতেগোনা কয়েকটি স্কুল ও একাডেমিতে মেয়েদের ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়। বিসিবি উদ্যোগ নিয়েছে দেশের সব স্কুলেই ক্রিকেট চালুর।
নারী ক্রিকেটে ঘটে গেছে মহাজাগরণ। সালমা-রুমানারা দেশের জন্য বয়ে আনছেন একের পর এক সাফল্য। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের মাধ্যমে টিম টাইগ্রেস জানান দিয়েছে সম্ভাবনার। সাফল্যযাত্রা অব্যাহত রাখতে দরকার মজবুত পাইপলাইন। এজন্য সারাদেশ থেকে ক্রিকেটার তুলে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি।
সালমা-রুমানাদের উত্তরসূরি খুঁজে পেতে আগামী ডিসেম্বরে দেশের সব বিভাগে হবে মেয়েদের স্কুল ক্রিকেট। প্রতিটি বিভাগের সেরা ১০টি করে স্কুল অংশ নেবে এ টুর্নামেন্টে।
ঢাকা, খুলনা ও সিলেট বিভাগের স্কুল থেকে প্রতিভাবান ক্রিকেটার তুলে আনার পাইলট প্রকল্প হাতে নেয়ার কথা থাকলেও এখন সেটির বিস্তৃতি ঘটিয়ে ৮টি বিভাগেই চলবে কার্যক্রম। স্কুলের মেয়েদের নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরেই।
সেজন্য স্কুল ক্রিকেটে নতুন করে মনোযোগ নেয়া। পাশাপাশি বয়সভিত্তিক ক্রিকেট কার্যক্রমও চলবে বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানালেন বিসিবির ওমেন্স উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
‘আমরা স্কুল ক্রিকেট ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেট চালু করব। শুরুতে তিন বিভাগ নিয়ে পাইলট প্রকল্প করতে চেয়েছিলাম। তবে এ বছর আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে স্কুল ক্রিকেট চালু করতে যাচ্ছি। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট ঘিরে আমাদের যে পরিকল্পনা, সেটি আমরা আগামী বছরের প্রথম দিকে শুরু করব।’
সারাদেশে মেয়েদের স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের পেয়েছে বাফুফে। তাদের কেউ কেউ খেলছেন জাতীয় দলেও।
ছেলেদের স্কুল ক্রিকেটে আছে গৌরবময় অতীত। আমিনুল ইসলাম বুলবুল, খালেদ মাহমুদ সুজনসহ একসময় দেশের প্রায় সব শীর্ষ ক্রিকেটারের প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয়েছিল নির্মাণ স্কুল ক্রিকেট দিয়ে। বর্তমানে বিসিবির বয়সভিত্তিক দলগুলোতেও স্কুল ক্রিকেট থেকে উঠে আসা খেলোয়াড়ের সংখ্যাই বেশি।
মেয়েদের স্কুল ফুটবল আয়োজনের মাধ্যমে যেমন প্রতিভাবান অনেক খেলোয়াড় পেয়েছে বাফুফে। মারিয়া, মনিকা, সানজিদা, আঁখিরা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলে উঠে এসেছেন। বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দল ও জাতীয় দলের হয়ে আলো ছড়াচ্ছেন। মেয়েদের স্কুল ক্রিকেট ঘিরেও তেমন কিছুর স্বপ্নই দেখছে বিসিবি।
0 মন্তব্যসমূহ