বিএন ডেস্কঃ বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলের অদূরে ডুবে গিয়ে বাঁশখালীর পশ্চিম চাম্বল বাংলাবাজার এলাকার ৬ জেলেসহ একটি মাছধরা নৌকা দুদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। অপর একটি নৌকার সহযোগিতায় উদ্ধার হয়ে বাড়ি ফিরেছেন নিখোঁজ নৌকার চার জেলে। এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। এ ঘটনায় জেলেপল্লীতে স্বজনদের মাতম চলছে।
এদিকে কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের পক্ষ থেকে নিখোঁজ ৬ জেলে এবং নৌকা উদ্ধারে অভিযান চলছে। সোমবার রাত ৩ টার দিকে নৌকাটি ডুবে যায়।
জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর পশ্চিম চাম্বল বাংলাবাজার এলাকার মো. ইলিয়াছের এফবি মায়ের দোয়া নামে মাছধরা নৌকাটি ১০ জেলে নিয়ে কুতুবদিয়া চ্যানেলের অদূরে মাছ ধরতে যায়। জেলেরা সোমবার রাতে সমুদ্রে জাল বসিয়ে ঘুমাতে যান। ছয় জেলে নৌকার ভেতরে নিচের অংশে এবং চারজন নৌকার উপর অংশে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। এক পর্যায়ে উপরের জেলেরা দেখেন নৌকাটি পানিতে ভাসছে। একটি বড় জাল তাঁদের চাপা দিচ্ছে। এ দৃশ্য দেখে চেঁচামেচি করে চারজন একে একে অপরকে ডেকে প্রাণরক্ষায় সাঁতার কাটতে থাকেন। পাশ দিয়ে যাওয়া আজিজ কম্পানির মায়ের দোয়া নামে মাছধরা নৌকার মাঝি আবুল বশর জেলেদের আর্তচিত্কার শুনে এগিয়ে যান। তাঁদের নৌকায় তুলে নেন। এরই মধ্যে গভীর সাগরে তলিয়ে যায় নৌকাটি। প্রাণে বেঁচে আসা জেলেরা এ খবর ডুবে যাওয়া নৌকার মালিককে জানালে তিনি থানায় জিডি করেন। কোস্টগার্ডকেও ঘটনাটি জানান তিনি।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন বাঁশখালীর পশ্চিম চাম্বল গ্রামের নুরুল কবিরের ছেলে ছৈয়দ (৩৭), কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার উখিয়া গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে মো. করিম (২২), মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম গ্রামের নুরুল হকের ছেলে ছৈয়দ করিম (৩৫), বদিউর রহমানের ছেলে শফিউল আলম (৩৮), নুরুল হোসেনের ছেলে রহমত উল্লাহ (২২), আলী হোসেনের ছেলে আব্দু শুক্কুর (২২)।
যাঁরা ফিরেছেন তাঁরা হলেন কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম গ্রামের হাবিবুর রহমান (৪৫), বাঁশখালীর শীলকূপ ইউনিয়নের মনকিচর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে আবুল বশার, মৃত আবু শামার ছেলে মো. কালু (৫৫), পশ্চিম চাম্বল গ্রামের মৃত ফজল আহম্মদের ছেলে মো. হাসান। তাঁরা বাঁশখালীতে দীর্ঘদিন ধরে মাছধরার কাজ করেন।
নিখোঁজ জেলে পরিবারের লোকজন কক্সবাজারের বিভিন্ন গ্রাম থেকে গতকাল মঙ্গলবার পশ্চিম চাম্বল বাংলা বাজারে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে রমজান আলী, রেজাউল করিম, নুরুল আমিন, নুরুল হক, নুরুল হোসেন বলেন, জীবন সংগ্রামের জন্য আমাদের পরিবারের সদস্যরা সাগরে মাছ ধরেন। তাঁদের জীবনের নিরাপত্তা চাই। তাঁদের লাশটা হলেও আমরা চাই। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাচ্ছি।
পশ্চিম চাম্বল বোট মালিক সমিতির সভাপতি হেফাজুতুল ইসলাম বলেন, ‘জেলেসহ মাছধরা নৌকা নিখোঁজ হারিয়ে যাওয়ার পর আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করেছি। কিন্তু কারো সহযোগিতা পাচ্ছি না। আমরা নিজেরা দুটি নৌকা নিয়ে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছি। দুই দিনেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’
কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বোট মালিক সমিতির সভাপতির মাধ্যমে এ ঘটনা জানার পর আমাদের বিশেষ দল গভীর সাগরে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।’
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘নিখোঁজ নৌকার মালিক জিডি করার পর ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। কীভাবে জেলেরা নিখোঁজ হল? প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের কাজ চলছে।’
এদিকে কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের পক্ষ থেকে নিখোঁজ ৬ জেলে এবং নৌকা উদ্ধারে অভিযান চলছে। সোমবার রাত ৩ টার দিকে নৌকাটি ডুবে যায়।
জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর পশ্চিম চাম্বল বাংলাবাজার এলাকার মো. ইলিয়াছের এফবি মায়ের দোয়া নামে মাছধরা নৌকাটি ১০ জেলে নিয়ে কুতুবদিয়া চ্যানেলের অদূরে মাছ ধরতে যায়। জেলেরা সোমবার রাতে সমুদ্রে জাল বসিয়ে ঘুমাতে যান। ছয় জেলে নৌকার ভেতরে নিচের অংশে এবং চারজন নৌকার উপর অংশে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। এক পর্যায়ে উপরের জেলেরা দেখেন নৌকাটি পানিতে ভাসছে। একটি বড় জাল তাঁদের চাপা দিচ্ছে। এ দৃশ্য দেখে চেঁচামেচি করে চারজন একে একে অপরকে ডেকে প্রাণরক্ষায় সাঁতার কাটতে থাকেন। পাশ দিয়ে যাওয়া আজিজ কম্পানির মায়ের দোয়া নামে মাছধরা নৌকার মাঝি আবুল বশর জেলেদের আর্তচিত্কার শুনে এগিয়ে যান। তাঁদের নৌকায় তুলে নেন। এরই মধ্যে গভীর সাগরে তলিয়ে যায় নৌকাটি। প্রাণে বেঁচে আসা জেলেরা এ খবর ডুবে যাওয়া নৌকার মালিককে জানালে তিনি থানায় জিডি করেন। কোস্টগার্ডকেও ঘটনাটি জানান তিনি।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন বাঁশখালীর পশ্চিম চাম্বল গ্রামের নুরুল কবিরের ছেলে ছৈয়দ (৩৭), কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার উখিয়া গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে মো. করিম (২২), মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম গ্রামের নুরুল হকের ছেলে ছৈয়দ করিম (৩৫), বদিউর রহমানের ছেলে শফিউল আলম (৩৮), নুরুল হোসেনের ছেলে রহমত উল্লাহ (২২), আলী হোসেনের ছেলে আব্দু শুক্কুর (২২)।
যাঁরা ফিরেছেন তাঁরা হলেন কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম গ্রামের হাবিবুর রহমান (৪৫), বাঁশখালীর শীলকূপ ইউনিয়নের মনকিচর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে আবুল বশার, মৃত আবু শামার ছেলে মো. কালু (৫৫), পশ্চিম চাম্বল গ্রামের মৃত ফজল আহম্মদের ছেলে মো. হাসান। তাঁরা বাঁশখালীতে দীর্ঘদিন ধরে মাছধরার কাজ করেন।
নিখোঁজ জেলে পরিবারের লোকজন কক্সবাজারের বিভিন্ন গ্রাম থেকে গতকাল মঙ্গলবার পশ্চিম চাম্বল বাংলা বাজারে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে রমজান আলী, রেজাউল করিম, নুরুল আমিন, নুরুল হক, নুরুল হোসেন বলেন, জীবন সংগ্রামের জন্য আমাদের পরিবারের সদস্যরা সাগরে মাছ ধরেন। তাঁদের জীবনের নিরাপত্তা চাই। তাঁদের লাশটা হলেও আমরা চাই। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাচ্ছি।
পশ্চিম চাম্বল বোট মালিক সমিতির সভাপতি হেফাজুতুল ইসলাম বলেন, ‘জেলেসহ মাছধরা নৌকা নিখোঁজ হারিয়ে যাওয়ার পর আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করেছি। কিন্তু কারো সহযোগিতা পাচ্ছি না। আমরা নিজেরা দুটি নৌকা নিয়ে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছি। দুই দিনেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’
কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বোট মালিক সমিতির সভাপতির মাধ্যমে এ ঘটনা জানার পর আমাদের বিশেষ দল গভীর সাগরে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।’
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘নিখোঁজ নৌকার মালিক জিডি করার পর ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। কীভাবে জেলেরা নিখোঁজ হল? প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের কাজ চলছে।’
/কালের কন্ঠ!
0 মন্তব্যসমূহ