বিএন ডেস্কঃ
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ রোববার। ২২ শর্তে শনিবার দুপুরে এ সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হওয়ার আগেই এ সমাবেশের মধ্য দিয়ে আন্দোলন ও নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি সব মহলকে সুনির্দিষ্ট বার্তা দিতে চাইছে বিএনপি। জনসভায় লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত করে আগামী দিনের ‘দাবি ও লক্ষ্য’ উত্থাপন করবে দলটি।
দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলেছেন, যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার দলগুলো তাদের দাবি ও লক্ষ্য ইতোমধ্যে তুলে ধরেছে। জাতীয় ঐক্যে যুক্ত হওয়ার আগে বিএনপিও তাদের দাবি ও লক্ষ্য জানাতে চায়। এ জন্যই মূলত এ জনসভা ডাকা হয়েছে। একইসাথে সমাবেশে বড় শোডাউনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে ।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, একটি সফল ঐতিহাসিক জনসভার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দুপুর ২ টায় এ সমাবেশ শুরু হবে।
জনসভায় কী কারণে বিএনপি আন্দোলনে যেতে চায়, কী হলে নির্বাচনে যাবে সেসব বিষয় স্পষ্ট করা হবে। আন্দোলনে যাওয়ার একটি বার্তাও দেবেন সিনিয়র নেতারা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনসভা থেকে আমরা আমাদের নীতিনির্ধারণী বক্তব্য দেব; ভবিষ্যতের কর্মপন্থা, ভবিষ্যতের কর্মসূচি এগুলোই আসবে।
জানা গেছে, সমাবেশ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্ব শর্ত হিসেবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙ্গে দেয়া, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন, ইভিএম ব্যবহার না করাসহ ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হবে। নির্বাচনপরবর্তী সময়ে বিএনপির অবস্থান বা সরকার গঠন করলে তাদের অবস্থান কী হবে, তার স্পষ্ট বার্তা দেয়া হবে। বিশেষ করে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার গঠিত হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রতিহিংসার রাজনীতির পরিবর্তে গণতন্ত্র, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষমতার ভারসাম্য আনার অঙ্গীকার থাকবে
। প্রতিবেশী দেশ ভারতের উদ্দেশেও বার্তা দেওয়া হবে। বিশেষ করে কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদকে মদদ না দেওয়া এবং কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীকে বাংলাদেশের ভূখন্ড ব্যবহার করতে না দেওয়ার অঙ্গীকার থাকবে এ বার্তায়। সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক, শক্তিশালী ও কার্যকর করা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযথভাবে সংস্কার ও কার্যকর করার অঙ্গীকার থাকবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, সমাবেশ থেকে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের দাবি ও লক্ষ্যগুলো ঘোষণা করবো। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে যুক্তফ্রন্ট, ঐক্য প্রক্রিয়া ৫ দফা দাবি ও ৯ লক্ষ্য ঘোষণা করেছে।
জানা গেছে, সমাবেশ থেকে দলের ৭ দফা দাবির পাশাপাশি ১২ লক্ষ্য ঘোষণা করা হবে। তবে কোন আল্টিমেটাম দেয়া হবে না। সরকারকে এসব দাবি বাস্তবায়নে আলোচনায় বসার আহবান জানানো হবে।
কতো লোক এসেছে সমাবেশের পর মন্তব্য করবেন-গয়েশ্বর রায়
শনিবার বিকেলে সমাবেশ স্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পরিদর্শনে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায় বলেন, সরকার বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কোন ঘটনা ঘটানোর জন্য আগাম সহিংসতার কথা বলছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপির মিটিংয়ে বিএনপি কেন অস্থিরতা করবে, সহিংসতা করবে। আমরা অত্যন্ত সুশৃঙ্খল এবং কঠোর নজরদারির মাধ্যমে সমাবেশ করবো। সমাবেশে লোক আসার পর আপনারা মন্তব্য করবেন কতো লোক এসেছে।
তিনি বলেন, সরকার গাড়ি বন্ধ করতে পারে, রিকশা বন্ধ করতে পারে, ট্রেন বন্ধ করতে পারে আবার লঞ্চ বন্ধ করতে পারে। তারা অনেক কিছুই করতে পারে। তারা সবকিছু করবে, তারপরও আমরা সেটাকে অতিক্রম করবো। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে দাবিগুলো আছে সেগুলোকে একত্র করে মিটিংয়ে আমরা সেগুলোকে উপস্থাপন করবো।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মজিবুর রহমান সারোয়ার, ফজলুল হক মিলন, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
এর আগে বেলা ১১টার আগে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল মহানগর পুলিশ কমিশনারের সাথে বৈঠক করে। তখন ২২ শর্তে তাদের সমাবেশের অনুমতির কথা জানানো হয়।
দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলেছেন, যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার দলগুলো তাদের দাবি ও লক্ষ্য ইতোমধ্যে তুলে ধরেছে। জাতীয় ঐক্যে যুক্ত হওয়ার আগে বিএনপিও তাদের দাবি ও লক্ষ্য জানাতে চায়। এ জন্যই মূলত এ জনসভা ডাকা হয়েছে। একইসাথে সমাবেশে বড় শোডাউনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে ।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, একটি সফল ঐতিহাসিক জনসভার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দুপুর ২ টায় এ সমাবেশ শুরু হবে।
জনসভায় কী কারণে বিএনপি আন্দোলনে যেতে চায়, কী হলে নির্বাচনে যাবে সেসব বিষয় স্পষ্ট করা হবে। আন্দোলনে যাওয়ার একটি বার্তাও দেবেন সিনিয়র নেতারা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনসভা থেকে আমরা আমাদের নীতিনির্ধারণী বক্তব্য দেব; ভবিষ্যতের কর্মপন্থা, ভবিষ্যতের কর্মসূচি এগুলোই আসবে।
জানা গেছে, সমাবেশ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্ব শর্ত হিসেবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙ্গে দেয়া, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন, ইভিএম ব্যবহার না করাসহ ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হবে। নির্বাচনপরবর্তী সময়ে বিএনপির অবস্থান বা সরকার গঠন করলে তাদের অবস্থান কী হবে, তার স্পষ্ট বার্তা দেয়া হবে। বিশেষ করে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার গঠিত হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রতিহিংসার রাজনীতির পরিবর্তে গণতন্ত্র, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষমতার ভারসাম্য আনার অঙ্গীকার থাকবে
। প্রতিবেশী দেশ ভারতের উদ্দেশেও বার্তা দেওয়া হবে। বিশেষ করে কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদকে মদদ না দেওয়া এবং কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীকে বাংলাদেশের ভূখন্ড ব্যবহার করতে না দেওয়ার অঙ্গীকার থাকবে এ বার্তায়। সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক, শক্তিশালী ও কার্যকর করা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযথভাবে সংস্কার ও কার্যকর করার অঙ্গীকার থাকবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, সমাবেশ থেকে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের দাবি ও লক্ষ্যগুলো ঘোষণা করবো। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে যুক্তফ্রন্ট, ঐক্য প্রক্রিয়া ৫ দফা দাবি ও ৯ লক্ষ্য ঘোষণা করেছে।
জানা গেছে, সমাবেশ থেকে দলের ৭ দফা দাবির পাশাপাশি ১২ লক্ষ্য ঘোষণা করা হবে। তবে কোন আল্টিমেটাম দেয়া হবে না। সরকারকে এসব দাবি বাস্তবায়নে আলোচনায় বসার আহবান জানানো হবে।
কতো লোক এসেছে সমাবেশের পর মন্তব্য করবেন-গয়েশ্বর রায়
শনিবার বিকেলে সমাবেশ স্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পরিদর্শনে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায় বলেন, সরকার বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কোন ঘটনা ঘটানোর জন্য আগাম সহিংসতার কথা বলছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপির মিটিংয়ে বিএনপি কেন অস্থিরতা করবে, সহিংসতা করবে। আমরা অত্যন্ত সুশৃঙ্খল এবং কঠোর নজরদারির মাধ্যমে সমাবেশ করবো। সমাবেশে লোক আসার পর আপনারা মন্তব্য করবেন কতো লোক এসেছে।
তিনি বলেন, সরকার গাড়ি বন্ধ করতে পারে, রিকশা বন্ধ করতে পারে, ট্রেন বন্ধ করতে পারে আবার লঞ্চ বন্ধ করতে পারে। তারা অনেক কিছুই করতে পারে। তারা সবকিছু করবে, তারপরও আমরা সেটাকে অতিক্রম করবো। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে দাবিগুলো আছে সেগুলোকে একত্র করে মিটিংয়ে আমরা সেগুলোকে উপস্থাপন করবো।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মজিবুর রহমান সারোয়ার, ফজলুল হক মিলন, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
এর আগে বেলা ১১টার আগে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল মহানগর পুলিশ কমিশনারের সাথে বৈঠক করে। তখন ২২ শর্তে তাদের সমাবেশের অনুমতির কথা জানানো হয়।
ডি/এন/ডি
0 মন্তব্যসমূহ