বিএন ডেস্কঃ
বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে
ভর্তির ব্যাপারে কারাগার থেকে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এই
উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আইজি প্রিজন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ, সাবেক পিজি হাসপাতাল) পরিদর্শন করে
গেছেন। তিনি কেবিন ব্লকের কয়েকটি রুম পরিদর্শন করেছেন। আইজি প্রিজন
বিএসএমএমইউ’র কেবিন ব্লকের ৬১২ ও ২১২ নাম্বার রুম দুটি বিশেষভাবে দেখে
গেছেন।
চিকিৎসকদের একটি সূত্র জানিয়েছে, আইজি প্রিজনের এই দুটি রুম বেশি পছন্দ
হয়েছে। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কেবিন ব্লকের এই দুটি রুম বেশি
উপযুক্ত বলে মনে হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিএসএমএমইউ’র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুনের কাছে জানতে চাওয়া হলে সে
জানান, আইজি প্রিজন দুপুরে কেবিন ব্লকের কয়েকটি রুম পরিদর্শন করে গেছেন।
তবে তার কোনো রুম পছন্দ হয়েছে কি না তা তিনি জানাননি। বিএনপি চেয়ারপার্সন
বেগম খালেদা জিয়াকে কবে, কখন বিএসএমএমইউ-এ ভতির্ করা হবে এই প্রশ্নের জবাবে
ব্রিগেডিয়ার আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, এটা তার জানা নেই। আইজি প্রিজনও
তাকে কিছু বলেননি। তবে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়াকে শিগগিরই হাসপাতালে
ভর্তি করা হবে।
গত শনিবার বিএসএমএমইউ’র মেডিসিন অনুষদের অধ্যাপক ডা. আব্দুল জলিল
চৌধুরীর নেতৃত্বে মেডিক্যাল বোর্ড বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে
গত রোববার রিপোর্ট দেন এবং তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করার
পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী কারাগারের পক্ষ থেকে বিএসএমএমইউ-এ চিকিৎসা দেয়ার
জন্য প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের ফিরিয়ে দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ
কারাগারের ফটক থেকে বেগম খালেদা জিয়ার তিন আইনজীবীকে ফিরিয়ে দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কারাগারের সামনে মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার কিছু পরে তারা আসেন। তবে পূর্বানুমতি থাকলেও সিদ্ধান্ত বদল করে মঙ্গলবার তাদের কারাগারের ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ। বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে কারাগারের সামনে থেকে ফিরে যাওয়ার আগে এ দাবি করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
কারাগারের ফটক থেকে বেগম খালেদা জিয়ার তিন আইনজীবীকে ফিরিয়ে দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কারাগারের সামনে মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার কিছু পরে তারা আসেন। তবে পূর্বানুমতি থাকলেও সিদ্ধান্ত বদল করে মঙ্গলবার তাদের কারাগারের ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ। বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে কারাগারের সামনে থেকে ফিরে যাওয়ার আগে এ দাবি করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ তালুকদার বলেন, অনুমতি
থাকলেও আজকে (মঙ্গলবার) আমাদের খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে দেয়নি কারা
কর্তৃপক্ষ। আমরা এখন ফিরে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ‘২০ তারিখ ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) মামলার তারিখ আছে। আশাকরি বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দেখা করতে দিতে পারে।’
তার সাথে থাকা অপর দুই আইনজীবী হচ্ছেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।
সম্প্রতি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার হাজিরার
সুবিধার্থে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ থেকে
ঢাকা ৫ম বিশেষ জজ আদালতের কার্যক্রম পুরনো কারাগারের নিচতলার প্রশাসনিক
ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থানান্তিরিত করা হয়।
গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রথম সেখানে আদালত বসে। ওইদিন খালেদা জিয়া আদালতে গিয়ে
বিচারককে বলেন, তিনি অসুস্থ। বার বার তিনি এ আদালতে আসতে পারবেন না। যতদিন
ইচ্ছা সাজা দিয়ে দিন। বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) ধার্য তারিখে আবার সেখানে
আদালত বসে। কিন্তু সেখানে আসতে কারা কতৃপক্ষের কাছে অস্বীকৃতি জানান খালেদা
জিয়া। এর পরদিন ১৩ সেপ্টেম্বরও তিনি আদালতে না এলে বিচারক মামলাটির প্রধান
আসামি খালেদা জিয়া আসবেন কি না তা তার আইনজীবীদের কাছে জানতে চান।
তখন তার আইনজীবীরা আদালতকে জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়া অসুস্থ। তিনি ঠিক কী
কারণে আদালতে আসতে চাইছেন না সেটি তার সঙ্গে কথা বললে জানা যাবে। এজন্য
আদালতের কাছে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চান তার আইনজীবীরা।
আদালত তখন তাদের দেখা করার ব্যাপারে কারা কর্তৃপক্ষকে জেলবিধি অনুযায়ী
ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দেন। এই আদেশ অনুযায়ী আজ খালেদা জিয়ার সঙ্গে
সাক্ষাতের সুযোগ পাওয়ার কথা ছিল তার আইনজীবীদের।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত
হয়ে এই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরনো ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া। তিনি দীর্ঘদিন থেকেই
বয়সজনিত বিভিন্ন রোগসহ আর্থ্রাইটিসে ভুগছেন। কারা কর্তৃপক্ষের অনুরোধে
বিএসএমএমইউ গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড গত ১৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য
পরীক্ষা করে ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে তাকে একটি বিশেষায়িত
হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা এজন্য বিএসএমএমইউ
হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করলেও খালেদা জিয়ার নিজের পছন্দ ইউনাইটেড
হাসপাতাল।
0 মন্তব্যসমূহ