বিএন ডেস্কঃ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ছাত্রলীগের কমিটিতে এবার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সভাপতি নির্বাচিত করে কমিটি গঠনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়ন শাখার
আওতাধীন ১নং ওয়ার্ড মসজিদ ঘোনা ইউনিট কমিটির নতুন সভাপতি নির্বাচন করা
হয়েছে মিয়ানমারের নাগরিক মোহাম্মদ নুরকে।
সংগঠনটির সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন
শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ফয়সাল আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলম ইমন
স্বাক্ষরিত এক পত্রে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থী মোহাম্মদ নুরকে সভাপতি,
মোবারক হোসেনকে সহসভাপতি, মানুকুজ্জামান মানিককে সাধারণ সম্পাদক, মো:
ডালিমকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সোথাই মং মার্মাকে সাংগঠনিক সম্পাদক
নির্বাচিত করে ৫ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী জানায়, মোহাম্মদ নুর নাইক্ষ্যংছড়ির
রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা হিসেবে থাকলেও কিছুদিন আগে
নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের মসজিদ ঘোনা এলাকার ১নং ওয়ার্ডে নতুন বসতি গড়েছেন। নুর
মিয়ানমারের নাগরিক। কয়েকবছর আগে বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশ করেন। ইতোমধ্যে
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ।
এমনকি দেশের প্রচলিত বাংলা ভাষায় কথা বলতে জানেন না নুর।
নতুন কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নুর রোহিঙ্গা কিনা সাংবাদিকদের এমন
প্রশ্নের জবাবে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ
ফয়সাল আজাদ বলেন, নুর তো মিয়ানমার থেকে অনেক আগেই এসেছে। দীর্ঘদিন এখানেই
থাকছে নুর।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বদর
উল্লাহ বিন্দু বলেন, নুর বাংলাদেশি নাকি মিয়ানমারের নাগরিক আমি বিষয়টি জানি
না। তবে কয়েকজনের কাছে শুনেছি কয়েক বছর আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছে
নুর। বিষয়টি সঠিক কিনা আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি জানাব।
ভুয়া এনআইডি দিয়ে মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ সভাপতি হন ইব্রাহিম
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে পদ বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের ত্যাগী ও বঞ্চিত নেতাকর্মীদের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে পদ বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের ত্যাগী ও বঞ্চিত নেতাকর্মীদের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কমিটিতে পদ পেতে বয়সসীমা ২৭ বছর। তবে
এবার দলের সাংগঠনিক নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের দিন
ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচনের বয়স এক বছর বাড়িয়ে ২৮ বছর করে দেন। কিন্তু
মহানগর উত্তরের সভাপতি পদ পাওয়া মো: ইব্রাহিমের আসল জাতীয় পরিচয়পত্র
অনুযায়ী সম্মেলনের দিন পর্যন্ত তার বয়স ২৯ বছর পেরিয়ে যায়। এ কারণে বয়স ২৮
বছরের মধ্যে রাখতে ভুয়া এনআইডি জমা দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে পদ পান তিনি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, মো: ইব্রাহিম ছাত্রলীগের নেতা হতে যে মনোনয়নপত্র
জমা দিয়েছেন সেখানে তার নাম মো: ইব্রাহিম। বাবার নাম মো: ইউনুস আলী। মায়ের
নাম মেহেরুন নেছা। জন্মতারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০। তার এমন জাতীয়
পরিচয়পত্রের কোনো অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি।
প্রকৃতপক্ষে মো: ইব্রাহিমের বাবার নাম মো: আদম আলী পাত্তর। মায়ের নাম
শাহানারা আক্তার। জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৮৯। এই জন্মতারিখ অনুযায়ী তার বয়স ২৯
বছরের বেশি। বিষয়টি গোপন রাখতেই প্রতারণার আশ্রয় নেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের নির্বাচন কমিশনের এক সদস্য বলেন,
ইব্রাহিমের জাতীয় পরিচয়পত্র যে ভুয়া, তা আমরা আগেই বুঝেছিলাম। তবে বিভিন্ন
কারণে তার মনোনয়ন ফরম বাতিল করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার
করে মো: ইব্রাহিম বলেন, একটা ভুল হয়ে গেছে। তবে দীর্ঘ দিন থেকে রাজনীতি
করি। বড় পদ পাওয়ার পর অনেকেই পেছনে লেগেছেন। সে জন্য অনেকে
0 মন্তব্যসমূহ