বি,এন ডেস্কঃ
বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পর এবার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এই প্রকল্পটি
বাস্তবায়ন করবে।উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নে প্রাথমিকভাবে দুই হাজার একর জমি
নির্বাচন করা হয়েছে।দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রূপপুর পারমাণবিক
বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে ভূমির দিক থেকে সাড়ে ৭গুণ বড়।চট্টগ্রাম জেলা
প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন পূর্বকোণকে বলেন,'বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের
চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য সম্ভাব্য
স্থান নির্বাচনের জন্য জেলার সকল সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তাদের কাছে
চিঠি পাঠানো হয়েছে।বাঁশখালীতে সাগর তীরবর্তী এলাকায় দুই হাজার একর জমি
প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন,'বাঁশখালীতে বড় একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।একই এলাকায় আরেকটি মেগাপ্রকল্প নেওয়া যায় কিনা সরকার তা বিবেচনা করবে।'
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী প্রধান শাহাদাৎ হোসেন চলতি বছরের ১য মার্চ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে চিঠি প্রেরণ করেন।চিঠিতে দেখা যায়,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পারমাণবিক শক্তি কমিশন দেশের দক্ষিণাঞ্চলে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সমীক্ষা পরিচালনা করেছে।সমীক্ষা প্রকল্পের আওতায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য নদী বা সাগর তীরবর্তী এলাকায় দুই হাজার একর জমির প্রয়োজন।মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ গত ৮ মে জেলার সকল ভূমি কর্মকর্তাদের (এসি ল্যান্ড) কাছে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান নির্বাচন,জমির প্রাপ্যতা,জমির মালিকানা,জমির ব্যবহার সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রেরণের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি প্রেরণ করেন।বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছনুয়া ইউনিয়নের খুদুকখালী ও ছোট ছনুয়া মৌজায় ব্যক্তি মালিকানাধীন দুই হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রাথমিক প্রস্তাবনা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে প্রেরণ করেন।জেলা প্রশাসন সূত্র
জানায়,গত ২৬ আগস্ট জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন
স্বাক্ষরিত এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।এতে জমির তথ্যাদি প্রেরণ করা হয়েছে।মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাঁশখালী গন্ডামারায় দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।এস আলম গ্রুপ চীনা দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে।গন্ডামারার পাশে সাগর তীরবর্তী এলাকা ছনুয়ায় দুই হাজার একর জমি নির্বাচন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন,সাগর বা নদীর তীরে দুই হাজার একর জায়গা বাঁশখালী ছাড়া অন্য উপজেলায় পাওয়া কষ্টকর হবে।পাবনা জেলার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।২০১৩সালের ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।রাশিয়ার আর্থিক,কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।২০২৪ সালের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে দুই হাজার ৪শ মেগাওয়াট বিদ্যুতের জোগান দেবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হচ্ছে ২৬২ একর জমির ওপর।আর দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বাঁশখালীতে সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ করা হয় দুই হাজার একর,যা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুয়কেন্দ্রের চেয়ে সাড়ে ৭গুণ বড়।গন্ডামারায় এস আলমের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি হচ্ছে ৬শ একর জমির ওপর।
তিনি আরও বলেন,'বাঁশখালীতে বড় একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।একই এলাকায় আরেকটি মেগাপ্রকল্প নেওয়া যায় কিনা সরকার তা বিবেচনা করবে।'
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী প্রধান শাহাদাৎ হোসেন চলতি বছরের ১য মার্চ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে চিঠি প্রেরণ করেন।চিঠিতে দেখা যায়,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পারমাণবিক শক্তি কমিশন দেশের দক্ষিণাঞ্চলে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সমীক্ষা পরিচালনা করেছে।সমীক্ষা প্রকল্পের আওতায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য নদী বা সাগর তীরবর্তী এলাকায় দুই হাজার একর জমির প্রয়োজন।মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ গত ৮ মে জেলার সকল ভূমি কর্মকর্তাদের (এসি ল্যান্ড) কাছে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান নির্বাচন,জমির প্রাপ্যতা,জমির মালিকানা,জমির ব্যবহার সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রেরণের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি প্রেরণ করেন।বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছনুয়া ইউনিয়নের খুদুকখালী ও ছোট ছনুয়া মৌজায় ব্যক্তি মালিকানাধীন দুই হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রাথমিক প্রস্তাবনা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে প্রেরণ করেন।জেলা প্রশাসন সূত্র
জানায়,গত ২৬ আগস্ট জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন
স্বাক্ষরিত এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।এতে জমির তথ্যাদি প্রেরণ করা হয়েছে।মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাঁশখালী গন্ডামারায় দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।এস আলম গ্রুপ চীনা দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে।গন্ডামারার পাশে সাগর তীরবর্তী এলাকা ছনুয়ায় দুই হাজার একর জমি নির্বাচন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন,সাগর বা নদীর তীরে দুই হাজার একর জায়গা বাঁশখালী ছাড়া অন্য উপজেলায় পাওয়া কষ্টকর হবে।পাবনা জেলার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।২০১৩সালের ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।রাশিয়ার আর্থিক,কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।২০২৪ সালের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে দুই হাজার ৪শ মেগাওয়াট বিদ্যুতের জোগান দেবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হচ্ছে ২৬২ একর জমির ওপর।আর দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বাঁশখালীতে সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ করা হয় দুই হাজার একর,যা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুয়কেন্দ্রের চেয়ে সাড়ে ৭গুণ বড়।গন্ডামারায় এস আলমের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি হচ্ছে ৬শ একর জমির ওপর।
দৈনিক পূর্বকোণ
0 মন্তব্যসমূহ