জলঢাকায় এক সন্তানের বাবা জরিবুল ইসলাম হঠাৎ মহিলায় পরিনত


মোঃ সাদিক-উর রহমান শাহ্ (স্কলার): আল্লাহ লিলা, অলৌকিক ঘটনা, চোখে না দেখলে বলা যায়না। কিভাবে একটি পুরুষ মহিলায় পরিনত হতে পারে, তা চোখে দেখেই বুঝা গেল। যুবকটির নাম জরিবুল ইসলাম, বয়স (২১) পিতা; মাজেদুল ইসলাম, মাতা; জরিনা বেগম,গ্রাম উত্তর দেশীবাই ৬ নং ওয়ার্ড, কাঁঠালী ইউনিয়ন, উপজেলা জলঢাকা, জেলা নীলফামারী। প্রায় পাঁচ বছর আগে পাশের হোসনে আরা (১৯) নামে এক মেয়ের সাথে তার বিবাহ হয়। সংসার জীবনে তাদের সাড়ে তিন বছরের আবু হোসেন আলী নামের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। দুই বছর যাবত সে ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করে আসে, সংসারের খরচ বহনের জন্য প্রতি মাসে ৫/৭ হাজার টাকা বাড়ীতে পাঠায়। ৩/৪ মাস অন্তর বাড়ীতে আসে। রমজানের ঈদে বাড়ীতে এসে জীবিকা নির্বাহের জন্য আবারো ঢাকায় তার কর্মস্থলে যায়। এরেই মধ্যে গত ৪ সেপ্টম্বর সকালে হঠাৎ সে মেয়ে লোকের পোশাক পড়ে বাড়ীতে আসে। মেয়েলি চালচলন দেখে এলাকার লোকজন কানাঘুষা করে। যার ফলে স্ত্রী হোসনে আরা তাকে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে শরীরের কাপড় খুলে দেখা মাত্র আত্মচিৎকার দেয়। এবং কান্নায় লুটে পরে। ঘটনাটি জানাজানি হলে, দুর-দুরান্তর থেকে দেখতে আসা নারী-পুরুষের ভীড় জমাতে থাকে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে বুধবার বিকালে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, নর-নারীর চোখে পড়ার মত ভীড়। এ সময় জরিবুল ইসলামের বাবা-মার সাথে কথা হলে তারা জানায়, ১২/১৩ বছর বয়স থেকে তার চলন-ফিরন মেয়েলি স্বভাবের ছিল। বেশ কয়েকবার হারিয়ে যেত। খোজাখুজি করে না পেলেও কয়েক বছর পর আপনা আপনী বাড়ীতে ফিরতো। অনেক বার কবিরাজী চিকিৎসা করেছি, কিন্তু স্বাভাবিক সুস্থ্য করতে পারিনি। জরিবুল ইসলামের সাথে কথা হলে সে জানায়, আমার পরিবর্তন হওয়ার বিষয় আমি কিছুই জানি না। কোন প্রকার পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে লাভ হবে না। যার ফলে চিকিৎসার প্রয়োজন আসে না। স্ত্রী ও সন্তানের বিষয় জানতে চাইলে সে বলে আগেও যে ভাবে খরচ বহন করেছি অনুরূপ সেভাবেই সংসারের খরচ চালাবো। এব্যাপারে জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর.এম.ও ডাক্তার দেবাশীষ রায় বলেন, হরমনের কারণে এ ধরণের ঘটনা ঘটে। তবে পরীক্ষা-নিরিক্ষা না করলে বুঝা যাবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ