বিএন ডেস্কঃ
মিয়ানমার সেনা,বিজিপি ও সশস্ত্র রাখাইন উগ্রপন্থির নির্যাতনের শিকার হয়ে
বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা স্থায়ী বসবাসের সুযোগে দিন
দিন বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। পুর্বশত্রুতার জের, অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধ,
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুন, অপহরণ, ধর্ষণ,
মাদকসহ নানান অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে তারা। রোহিঙ্গাদের এমন আচরণ ভাবিয়ে
তুলেছে স্থানীয় জনসাধারণ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে।
সুত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধে অপরাধ ক্রমাগত বাড়ছে। গত এক বছরে রোহিঙ্গাদের হাতে ২২ জন রোহিঙ্গা খুনসহ ৪ শতাধিক অপরাধ লিপিবদ্ধ হয়েছে উখিয়া-টেকনাফে। খুন, মাদক, অস্ত্র প্রদর্শনসহ রোহিঙ্গাদের নানা অপরাধে শঙ্কিত স্থানীয়রাও। মাত্র এক বছরের মাথায় এভাবে অপরাধ সংঘটিত হওয়াৃৃয় স্থানীয়দের পাশাপাশি চিন্তিত প্রশাসনও। সর্বশেষ গত সোমবার সন্ধ্যায় উখিয়ার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একরামূল ছিদ্দিক কুতুপালং শরনার্থী শিবিরে অভিযান চালিয়ে মদ,গাজা, হেরোইন সেবন ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অপরাধে বিভিন্ন মেয়াদে ৭জনকে সাজা প্রদান করেছে।
এরা হলেন- কেফারত উল্লাহ (২৮),ফজল করিম (৩২),নুর উদ্দিন (২৭),শাকের (২২) জয়নাল উদ্দীন (৩৫)ও জাকের(২০)। এরা সবাই রোহিঙ্গা। গত ৩ সেপ্টেম্বর সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের চাকমারকুলের পাহাড়ি এলাকা থেকে গলাকাটা ৩ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তারা হলেন-উখিয়ার বালুখালি ক্যাম্পের সৈয়দ হোসেনের ছেলে নুরে আলম (৪০), কুতুপালং ‘ডি’ ব্লকের জামাল হোসেনের ছেলে মোঃ আব্দুল খালেক (২০) ও ‘ই’ ব্লকের আবদুল গফুরের ছেলে মোঃ আনোয়ার (৩৩)। এরপর ওই দিন বিকেলে উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় নিখোঁজ আরও ৩ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা হলেন- বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের বাসিন্দা মো. নুরুল আমিন, জামাল হোসেন ও মো. সোলাইমান। এছাড়া (৩১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মো. আবু ইয়াছির (২২) নামে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হন।
এর আগে ১৯জুন উখিয়ার বালুখালী-২ ময়নারঘোণা আশ্রয় শিবিরে রোহিঙ্গা নেতা আরিফ উল্লাহকে (৪৫) গলা কেটে হত্যা করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি রাতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে বালুখালীর তাজনিমারঘোনা আশ্রয়শিবিরের মাঝি (নেতা) মোঃ ইউসুফকে।
রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ আলম ও তৈয়ুব উল্লাহ বলেন, নিহত আরিফ উল্লাহ ও মোঃ ইউসূফ উচ্চশিক্ষিত ছিলেন। রোহিঙ্গাদের স্বপক্ষে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে কথা বলে তারা ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেও তাদের সুসম্পর্ক ছিল। মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়াই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু রোহিঙ্গা জঙ্গিরা তাদের এই উত্থানকে সহ্য করতে পারছিল না। এ জন্য তাঁকে হত্যা করে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এভাবে গত এক বছরে ২২জন রোহিঙ্গা বিভিন্ন দ্বন্ধের জেরে খুন হয়েছে বলে তারা জানান। তারা আরো বলেন, মিয়ানমারে থাকাকালীন নিজেদের মধ্যে যে দ্বন্ধের সৃষ্টি হয় তা বাংলাদেশে আসার পর ক্রমাগত প্রকাশ পাচ্ছে। এ অপরাধ দমনে দ্রুত প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান এসব রোহিঙ্গা নেতারা। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা সার্বিকভাবে নিরাপত্তার জন্য হুমকি। সামনে জাতীয় নির্বাচন, এতে রোহিঙ্গারা নিরাপত্তা ভঙ্গ করে কিনা, বাইরের কোনো গোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অপ্রীতিকর ঘটনা জন্ম দেয় কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত প্রশাসনের। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যে সমস্ত অপরাধ কর্মকান্ড ঘটছে তা দমনে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সজাগ রয়েছে। আর খুন, খারাবির সাথে জড়িত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
সুত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধে অপরাধ ক্রমাগত বাড়ছে। গত এক বছরে রোহিঙ্গাদের হাতে ২২ জন রোহিঙ্গা খুনসহ ৪ শতাধিক অপরাধ লিপিবদ্ধ হয়েছে উখিয়া-টেকনাফে। খুন, মাদক, অস্ত্র প্রদর্শনসহ রোহিঙ্গাদের নানা অপরাধে শঙ্কিত স্থানীয়রাও। মাত্র এক বছরের মাথায় এভাবে অপরাধ সংঘটিত হওয়াৃৃয় স্থানীয়দের পাশাপাশি চিন্তিত প্রশাসনও। সর্বশেষ গত সোমবার সন্ধ্যায় উখিয়ার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একরামূল ছিদ্দিক কুতুপালং শরনার্থী শিবিরে অভিযান চালিয়ে মদ,গাজা, হেরোইন সেবন ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অপরাধে বিভিন্ন মেয়াদে ৭জনকে সাজা প্রদান করেছে।
এরা হলেন- কেফারত উল্লাহ (২৮),ফজল করিম (৩২),নুর উদ্দিন (২৭),শাকের (২২) জয়নাল উদ্দীন (৩৫)ও জাকের(২০)। এরা সবাই রোহিঙ্গা। গত ৩ সেপ্টেম্বর সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের চাকমারকুলের পাহাড়ি এলাকা থেকে গলাকাটা ৩ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তারা হলেন-উখিয়ার বালুখালি ক্যাম্পের সৈয়দ হোসেনের ছেলে নুরে আলম (৪০), কুতুপালং ‘ডি’ ব্লকের জামাল হোসেনের ছেলে মোঃ আব্দুল খালেক (২০) ও ‘ই’ ব্লকের আবদুল গফুরের ছেলে মোঃ আনোয়ার (৩৩)। এরপর ওই দিন বিকেলে উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় নিখোঁজ আরও ৩ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা হলেন- বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের বাসিন্দা মো. নুরুল আমিন, জামাল হোসেন ও মো. সোলাইমান। এছাড়া (৩১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মো. আবু ইয়াছির (২২) নামে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হন।
এর আগে ১৯জুন উখিয়ার বালুখালী-২ ময়নারঘোণা আশ্রয় শিবিরে রোহিঙ্গা নেতা আরিফ উল্লাহকে (৪৫) গলা কেটে হত্যা করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি রাতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে বালুখালীর তাজনিমারঘোনা আশ্রয়শিবিরের মাঝি (নেতা) মোঃ ইউসুফকে।
রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ আলম ও তৈয়ুব উল্লাহ বলেন, নিহত আরিফ উল্লাহ ও মোঃ ইউসূফ উচ্চশিক্ষিত ছিলেন। রোহিঙ্গাদের স্বপক্ষে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে কথা বলে তারা ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেও তাদের সুসম্পর্ক ছিল। মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়াই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু রোহিঙ্গা জঙ্গিরা তাদের এই উত্থানকে সহ্য করতে পারছিল না। এ জন্য তাঁকে হত্যা করে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এভাবে গত এক বছরে ২২জন রোহিঙ্গা বিভিন্ন দ্বন্ধের জেরে খুন হয়েছে বলে তারা জানান। তারা আরো বলেন, মিয়ানমারে থাকাকালীন নিজেদের মধ্যে যে দ্বন্ধের সৃষ্টি হয় তা বাংলাদেশে আসার পর ক্রমাগত প্রকাশ পাচ্ছে। এ অপরাধ দমনে দ্রুত প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান এসব রোহিঙ্গা নেতারা। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা সার্বিকভাবে নিরাপত্তার জন্য হুমকি। সামনে জাতীয় নির্বাচন, এতে রোহিঙ্গারা নিরাপত্তা ভঙ্গ করে কিনা, বাইরের কোনো গোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অপ্রীতিকর ঘটনা জন্ম দেয় কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত প্রশাসনের। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যে সমস্ত অপরাধ কর্মকান্ড ঘটছে তা দমনে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সজাগ রয়েছে। আর খুন, খারাবির সাথে জড়িত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
নারীদের পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ
মনোয়ারার বয়স ২৮ বছর আর রহমত খাতুনের ২৭। সম্পর্কে দুই জা। দুইজনই গোপনে নিয়মিত আসেন কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১২-এর একশন এইড নারী ও শিশু বান্ধব সেন্টারে। এখান থেকেই তারা জানতে পারেন পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সম্পর্কে।
এর আগে বিষয়টি তাদের জানা ছিল না। ফলে একজন ১০ বছরে ৫ আর অপরজন ১৮ বছরে ৯ শিশুর জন্ম দেন। এখন এই পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে তারা তিনমাস অন্তর জন্মনিরোধক ইনজেকশন গ্রহণ করছেন।পিল না খেয়ে কেন ইনজেকশন নিচ্ছেন এমন প্রশ্ন করলে জানান, পিল খেলে স্বামীর কাছে ধরা পড়ার আশঙ্কা আছে। স্বামী জানতে পারলে কী সমস্যা হবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে চোখ কপালে তুলে দুইজন এক সঙ্গে বলেন, ‘স্বামী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করতে দিবেন না। উল্টো মারধোরও করতে পারেন।’
আয়েশা বেগমের বয়স ২৫ বছর, ৫ শিশুর মা। ছোট শিশুর বয়স ৫ মাস। এখানেই এই শিশুর জন্ম হয়। তারপর থেকে তিনি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করছেন; কিন্তু আজ অবধি স্বামী এর কিছুই জানেন না। কারণ স্বামী মনে করেন এটি ধর্মীয়ভাবে ঠিক না।
তিনি কী তা মনে করেন না- এমন প্রশ্ন করলে বলেন, আগে মনে করতেন, এখন করেন না। কারণ এখানকার আপারা খুব সুন্দর করে বুঝিয়েছেন, এটি ধর্মীয়ভাবে বাধা তো নয় বরং নিজের আর শিশু উভয়ের জন্য মঙ্গলজনক।
একই কথা জানালেন সেন্টারে আসা ২৫ বছরের ফাতেমা। তার স্বামীও চান না পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করুক স্ত্রী। তাই তিনিও গোপনে এই পদ্ধতি গ্রহণ করছেন।
সম্প্রতি কক্সবাজারের উখিয়া ময়নার ঘোনা ক্যাম্প-১১ ও ১২ ঘুরে জানা গেল, মনোয়ারা-ফাতেমার মতো অনেক নারীই স্বামীকে না জানিয়ে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করছেন। এই ক্যাম্পগুলোতে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, কারণ তারা পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানেন না। আবার ধর্মীয়ভাবে বিধি-নিষেধ আছে বলেও মনে করেন অনেকে। স্থানীয় ব্র্যাক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের মিডওয়াইফ (ধাত্রী) ফোয়ারা খাতুন ও শারমিন আক্তার জানান, এলাকার ৩৩ হাজার জনগোষ্ঠীর জন্য তাদের স্বাস্থ্য কেন্দ্র কাজ করছে। গত ২ মাসে তাদের কর্ম-এলাকায় বাড়িতে ৭৪টি শিশু জন্ম নেয়। এই কেন্দ্রে গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৩২১৩ জন গর্ভবতী মাকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়।
শারমিন আক্তার বলেন, শুরুর দিকে কাউন্সেলিং করে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ উভয়কে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণে আগ্রহী করতে পারলেও এখন পুরুষের হার কমে যাচ্ছে।
এই দুই ক্যাম্পে ৩৬টির মতো বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কাজ করছে। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে একশন এইড বাংলাদেশ। সংস্থার কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারহা কবির জানান, তারা শুরু থেকে কাজ করছেন এখানে।
তারা (রোহিঙ্গরা) কী পরিমাণ ট্রমার মধ্যে ছিল তা অবিশ্বাস্য। তবে সেই অবস্থা থেকে এখন অনেকটাই বেরিয়ে এসেছে। আশ্রয়, নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শিক্ষা ও সচেতনতা সেভাবে ছিল না। পাশাপাশি ধর্মীয় একটি বিষয়ও তাদের মধ্যে আছে। তাই তারা পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতিতে আগ্রহী হন না। আমরা তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি। নারীদের মধ্যে এই পদ্ধতি গ্রহণের হার বেশি।
ব্র্যাকের তথ্যমতে, এ দেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৫ লাখ শিশু রয়েছে। গত এক বছরে ৭০ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হয়েছে। এই বিশাল সংখ্যক শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারের ‘মেটারনাল চাইল্ড হেলথ’ এবং ‘ইনফরমেশন এডুকেশন মেডিকেশন’ প্রকল্প কাজ করছে বলে জানালেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য কর্মসূচি পরিচালক ডা. মোহাম্মদ শরিফ।
তিনি বলেন, এখানে কার্যরত জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর চাহিদামতো সরকার পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির ক্ষেত্রে কোনো দীর্ঘ ও স্থায়ী পদ্ধতিতে যাচ্ছে না। এলাকায় ৫০ জন মিডওয়াইফ দেওয়া হয়েছে। ২২ রকমের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, ২৪ ঘণ্টা প্রসবের ব্যবস্থা আছে।
রোহিঙ্গা ভাষায় পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক নাটিকা প্রচার হচ্ছে। সরকার ক্যাম্পে দীর্ঘমেয়াদি পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির প্রর্বতন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে। অদূর ভবিষ্যতে তা কার্যকর হবে বলে তিনি জানান।
0 মন্তব্যসমূহ