মোঃ সাদিকউর রহমান শাহ্ (স্কলার):
নীলফামারী সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ছাড়াই ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কবে কোথায়, কখন, কি ভাবে নির্বাচন হয়েছে বলতে পারে না অভিভাবক ভোটার গন সাধারন মানুষ। অভিভাবক নুর আলম সরকার, মোঃ দুলু, একরামুল হক সরকার, ওয়াজেদ আলী ও মাহফুজার রহমান সহ বেশ কয়েক জন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এ ছাড়াও শাহীনুর আলী প্ররামানিক অভিভাবক প্রতিনিধি হিসাবে একক ভাবে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে জানা যায়, পঞ্চপুকুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জন্য প্রধান শিক্ষক বাবুল হোসেন ও তার সহযোগিতায় প্রিজাইটিং অফিসার দের ষড়যন্ত্রে গোপনে নির্বাচন সম্পুর্ণ করেন।
তবে কেউ জানে না, কোন দিন কখন কি ভাবে এই নির্বাচন সম্পুর্ণ হয়।একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরে, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন এ সব অভিভাবকরা। অভিযোগ পেয়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্টানে সরেজমিনে গেলে, শিক্ষক -শিক্ষার্থীদেরও ভুড়ি -ভুড়ি অভিযোগ পাওয়া যায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পঞ্চপুকুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, বিধি মোতাবেক নির্বাচনের মাধ্যমে নিয়মিত কমিটি গঠন করতে হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের খেয়ালীপনায় কমিটি গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। যা অভিভাবক সহ এলাকা বাসী জানেই না। নাম না বলা সর্তে একজন সহকারী শিক্ষক জানান, আমি শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে এবার নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতাম, কিন্তু এই প্রধান শিক্ষক তার মনমত শিক্ষক দের নিয়ে কমিটি গঠন করেছে বলে আমরা জানতে পারি। এদিকে প্রধান শিক্ষক বাবুল হোসেন বিদ্যালয়ে না থাকায়, সহকারী প্রধান শিক্ষিকা হাবিবা আক্তার এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয় কিছুই জানিনা।
বাবুল হোসেনের মেয়ে ৭ম শ্রেনী পড়ুয়া ছাত্রী শাবরীন তাওহীদ বর্ষা রোল নং-০১ জানায়, আমি জানি না আমার বাবা এ প্রতিষ্টানের একজন অভিভাবক। এ ছাড়াও ষষ্ট শ্রেনীর ছাত্রী আশরীফা আক্তার রোল- ১৬, সোহাগী আক্তার রোল-২৪, সপ্তম শ্রেণীর রুমি আক্তার রোল-২৩, সিমু আক্তার রোল-০৩ সহ আরো অনেক ছাত্রী একই অভিযোগ করেন। অভিভাবক সহ এলাকাবাসী জানায়, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের চালবাজি ও সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে নিয়মিত কমিটি গঠনের কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর হয়। এদিকে প্রধান শিক্ষক বাবুল হোসেন কে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, কল রিসিভ না হওয়ায় বিষয় টি জানা যায়নি। মুঠোফোনে কথা হলে, উপজেলার নির্বাহী অফিসার মামুন ভুইয়া জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ