বাঁশখালীতে ৬ ছিনতাইকারী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ ৭ জন গ্রেপ্তার


মোহাম্মদ এরশাদঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালীর কালীপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ দিঘী এলাকায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত ৩ টায় ছিনতাই করার সময় হাতেনাতে ৬ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। এ এসপি (সার্কেল) মো. মফিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ট্রাক ড্রাইভার তোফায়েল আহমদ লোহার রড ভর্তি ট্রাক নিয়ে বাঁশখালী প্রধান সড়ক হয়ে মহেশখালী যাচ্ছিল। এ সময় কালীপুর ব্রাহ্মণ দিঘি এলাকায় গত সোমবার রাত ৩ টায় স্থানীয় কতিপয় বখাটে একটি সিএনজি অটো রিক্সা দিয়ে গতিরোধ করে ড্রাইভার তোফায়েল আহমদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৮২৫ টাকা ছিনতাই করে নেয়। এর পর্যায়ক্রমে আরো কয়েকটি গাড়ি গতিরোধ করে ছিনতাই করে। এ খবর বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন দ্রুত থানা পুলিশকে খবর দেয়। ওই খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে ৬ ছিনতাইকারীকে। ছিনতাইকারীরা প্রত্যেকে সিএনজি অটোরিক্সা চালক। রাতের বেলা সুযোগ বুঝে এরা ছিনতাই কাজ চালায়। তাদের কাছ থেকে দা, চোরা, মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে কালীপুর ইউনিয়নের ওমর আলীর পুত্র রাফি(২৩), মোস্তফা আলীর পুত্র তারেক(২৮), বৈলছড়ি ইউনিয়নের নুরুল ইসলামের দুই পুত্র মো. ফয়সাল (১৯) ও মো. রাসেল(২১), শের আলীর পুত্র ছমি উদ্দিন(১৮), খালেদের পুত্র মিনহাজ(২২)। ট্রাক ড্রাইভার তোফায়েল বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ সরল ইউনিয়নের কাহার ঘোনা এলাকায় আরেক অভিযান চালিয়ে যৌতুক আইনের ২ বছরের সাজা প্রাপ্ত আসামী মো. শফি আলমকে গ্রেপ্তার করেছে। সে এলাকার মৃত ছালেহ আহম্মদের পুত্র।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ছিনতাইকারীরা পেশাদার ছিনতাইকারী। তাদের আচরণ ও ব্যবহার দেখে সব কিছু স্পষ্ট ধরা পড়ে। ছিনতাইয়ের ঘটনা স্বীকারও করেছে। এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া ২ বছরের সাজা প্রাপ্ত এক আসামী গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ