বিএন ডেস্কঃ
৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয়
কার্যালয়ের সামনে আজ শনিবার জনসভার আয়োজন করেছে বিএনপি। ইতোমধ্যে পুলিশের
পক্ষ থেকে জনসভার অনুমতিও পেয়েছে দলটি। বেলা ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জনসভা
শুরু হবে। তবে কারাগারে থাকায় এবার দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অংশ নিতে
পারছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে অবস্থান করায় তিনিও কর্মসূচিতে
থাকছেন না। ফলে দলের শীর্ষ দুই নেতা ছাড়াই এবার ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
পালন করছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বিএনপি।
আজকের জনসভাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। প্রায় এক যুগ ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি আজকের সভায় বিপুল লোকসমাগম ঘটাতে চায়। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে চূড়ান্ত আন্দোলনে নামার আগে ঢাকায় সাংগঠনিক শক্তির প্রমাণ দিতে চাইছে দলটি। এ জন্য ঢাকা মহানগর বিএনপি, সব অঙ্গসংগঠন ও আশপাশের জেলাগুলোকে লোকসমাগমের বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল থেকেই নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এবং আশপাশে বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার-পোস্টার ও ফেস্টুন সাঁটিয়েছেন।
জানা গেছে, ঢাকার আশপাশ জেলাগুলো থেকে নেতারা বিপুলসংখ্যক কর্মী নিয়ে জনসভায় হাজির হবেন। অনেকেই গত রাতে ঢাকায় চলে আসেন। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান তার শতাধিক নেতাকর্মীসহ ঢাকায় অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, বিএনপির জনসভার কথা শুনলেই ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ভয় পায়। সে জন্যই আগেই ঢাকায় চলে এসেছি। কেননা স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে আজকের জনসভাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রত্যাশা করি আজকের জনসভা থেকে দেশনেত্রী ও মাদার অব ডেমোক্র্যাসি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ নতুন বার্তা দেবেন। কারণ আগামীতে জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করতে বেগম জিয়ার মুক্তির বিকল্প নেই। তাকে ছাড়া নির্বাচন অর্থপূর্ণ হবে না।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন নয়া দিগন্তকে বলেন, আমাদেরকে জনসভায় আসতে কেন্দ্র থেকে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। আমরা নেতাকর্মীদের নিয়ে জনসভায় উপস্থিত থেকে জনসভা সর্বাত্মকভাবে সফল করব ইনশাআল্লাহ।
আজকের জনসভার জন্য বিএনপির সিনিয়র নেতারাও দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। গতকাল বিকেলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের সাথে কথা বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে সব অঙ্গসংগঠনের নেতাদের সাথে নিয়েও বৈঠক করেছেন। নেতাকর্মীদের বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুনের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ বহন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জনসভাস্থল ও আশপাশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও নেতাদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়েছে। লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও জনসভা প্রসঙ্গে ওয়াকিবহাল।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, জনসভায় ব্যাপক লোকসমাগম ঘটিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে চলমান আন্দোলনে নতুন মাত্রা দিতে চায় বিএনপি। আজকের জনসভা থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য একদফা দাবি ও জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট কিছু কর্মসূচির বার্তা আসতে পারে।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জনসভা আমরা করতে চেয়েছিলাম, অনুমতি পেয়েছি। আশা করি জনসভায় ব্যাপক লোকসমাগমও হবে এবং সফল হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা ২টায় সমাবেশ শুরু হবে। সমাবেশে জনতার ¯্রােত নামবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি ও এবং সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।
দলটির কয়েকজন সিনিয়র নেতা আলাপকালে বলেন, সব সময় রাজধানীতে বড় কোনো জনসভা হলে ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকে নেতাকর্মীরা অংশ নেন। শনিবার আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর জনসভা, তাই অন্যবারের চেয়ে আরো বেশি নেতাকর্মী নয়াপল্টনের জনসভায় যোগ দেবেন। এর আগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে গত ২০ জুলাই রাজধানীর নয়াপল্টনে দীর্ঘদিন পর জনসভা করেছিল বিএনপি। মাত্র কয়েক ঘণ্টার নোটিশে সেখানেও হাজার হাজার নেতাকর্মীর ঢল নেমেছিল।
আজকের জনসভাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। প্রায় এক যুগ ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি আজকের সভায় বিপুল লোকসমাগম ঘটাতে চায়। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে চূড়ান্ত আন্দোলনে নামার আগে ঢাকায় সাংগঠনিক শক্তির প্রমাণ দিতে চাইছে দলটি। এ জন্য ঢাকা মহানগর বিএনপি, সব অঙ্গসংগঠন ও আশপাশের জেলাগুলোকে লোকসমাগমের বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল থেকেই নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এবং আশপাশে বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার-পোস্টার ও ফেস্টুন সাঁটিয়েছেন।
জানা গেছে, ঢাকার আশপাশ জেলাগুলো থেকে নেতারা বিপুলসংখ্যক কর্মী নিয়ে জনসভায় হাজির হবেন। অনেকেই গত রাতে ঢাকায় চলে আসেন। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান তার শতাধিক নেতাকর্মীসহ ঢাকায় অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, বিএনপির জনসভার কথা শুনলেই ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ভয় পায়। সে জন্যই আগেই ঢাকায় চলে এসেছি। কেননা স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে আজকের জনসভাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রত্যাশা করি আজকের জনসভা থেকে দেশনেত্রী ও মাদার অব ডেমোক্র্যাসি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ নতুন বার্তা দেবেন। কারণ আগামীতে জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করতে বেগম জিয়ার মুক্তির বিকল্প নেই। তাকে ছাড়া নির্বাচন অর্থপূর্ণ হবে না।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন নয়া দিগন্তকে বলেন, আমাদেরকে জনসভায় আসতে কেন্দ্র থেকে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। আমরা নেতাকর্মীদের নিয়ে জনসভায় উপস্থিত থেকে জনসভা সর্বাত্মকভাবে সফল করব ইনশাআল্লাহ।
আজকের জনসভার জন্য বিএনপির সিনিয়র নেতারাও দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। গতকাল বিকেলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের সাথে কথা বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে সব অঙ্গসংগঠনের নেতাদের সাথে নিয়েও বৈঠক করেছেন। নেতাকর্মীদের বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুনের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ বহন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জনসভাস্থল ও আশপাশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও নেতাদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়েছে। লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও জনসভা প্রসঙ্গে ওয়াকিবহাল।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, জনসভায় ব্যাপক লোকসমাগম ঘটিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে চলমান আন্দোলনে নতুন মাত্রা দিতে চায় বিএনপি। আজকের জনসভা থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য একদফা দাবি ও জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট কিছু কর্মসূচির বার্তা আসতে পারে।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জনসভা আমরা করতে চেয়েছিলাম, অনুমতি পেয়েছি। আশা করি জনসভায় ব্যাপক লোকসমাগমও হবে এবং সফল হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা ২টায় সমাবেশ শুরু হবে। সমাবেশে জনতার ¯্রােত নামবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি ও এবং সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।
দলটির কয়েকজন সিনিয়র নেতা আলাপকালে বলেন, সব সময় রাজধানীতে বড় কোনো জনসভা হলে ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকে নেতাকর্মীরা অংশ নেন। শনিবার আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর জনসভা, তাই অন্যবারের চেয়ে আরো বেশি নেতাকর্মী নয়াপল্টনের জনসভায় যোগ দেবেন। এর আগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে গত ২০ জুলাই রাজধানীর নয়াপল্টনে দীর্ঘদিন পর জনসভা করেছিল বিএনপি। মাত্র কয়েক ঘণ্টার নোটিশে সেখানেও হাজার হাজার নেতাকর্মীর ঢল নেমেছিল।
0 মন্তব্যসমূহ