বিসিএসএ’র কর্মকান্ডে মুগ্ধ আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড জন রিচার্ডসন

মোহাম্মদ এরশাদঃ জোহানেসবার্গে জন্ম নেওয়া উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলেছেন ৪২ টেস্ট ও ১২২ ওয়ানডে। খেলোয়াড়ি পরিচয় ছাপিয়ে রিচার্ডসন পরিচিতি পেয়েছেন বেশি সংগঠক হিসাবে। ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির প্রধান নির্বাহী তিনি। আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএসএ) সঙ্গে আইসিসির সদর দপ্তরে সাক্ষাত করেছেন তিনি।

ক্রিকেটার পরিচয় ছাড়াও কর্মজীবনে নামকরা আইনজীবী ছিলেন রিচার্ডসন। যা পরবর্তীতে কাজে লেগেছে আইসিসির নীতি নির্ধারক হবার ক্ষেত্রে। ২০০২ সালে আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার পদে বসেন রিচার্ডসন। এক দশক জেনারেল ম্যানেজার হিসাবে কাজ করা রিচার্ডসন ২০১২ সালে হন আইসিসির প্রধান নির্বাহী (সিইও)।


ডেভিড রিচার্ডসনকে সম্মাননা স্মারক দেয় বিসিএসএ
এশিয়া কাপ দুবাইয়ে অনুষ্টিত হবে জানার পরপরই সেখানে যেয়ে বাংলাদেশ দলকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএসএ)। দুবাইয়েই অবস্থিত আইসিসির সদর দপ্তর। দেশে থাকা অবস্থাতেই মেইলের মাধ্যমে আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালায় বিসিএসএ। বিসিএসএ’র সমস্ত কর্মকান্ডের উল্লেখ থাকা মেইলে মুগ্ধ হয়েই পজিটিভ সাড়া আসে আইসিসির কাছ থেকে।

তারই ধারাবাহিকতায় আজ (১৭ সেপ্টেম্বর) আইসিসির সদর দপ্তরে যান বিসিএসএ’র সভাপতি জুনায়েদ পাইকার ও সহ সভাপতি তানভির আহমেদ। যেখানে তাঁদেরকে শুভেচ্ছা জানান স্বয়ং আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন।


আইসিসি সম্মেলন কক্ষে
আগে থেকেই বিসিএসএ সম্পর্কে অল্পবিস্তর জানতেন বলে জানান রিচার্ডসন। তবুও বিসিএসএ’র কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানান জুনায়েদ পাইকার ও তানভির আহমেদ। এতে যারপরনাই মুগ্ধ আইসিসির প্রধান নির্বাহী।

আইসিসির সদর দপ্তর ভ্রমণ শেষে তানভির আহমেদ জানান, ‘আইসিসির প্রধান নির্বাহীর কাছ থেকে এমন আতিথেয়তা পাবো আশা করিনি। এটা বিসিএসএ, তথা বাংলাদেশের সকল ক্রিকেট সমর্থকদের জন্য গর্বের। ডেভিড রিচার্ডসন নিজে থেকে আমাদেরকে পুরো আইসিসির সদর দপ্তর ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন। আমাদেরকে নিয়ে গেছেন অ্যান্টি করাপশন ইউনিটে, পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন সবার সঙ্গেই।’


জুনায়েদ পাইকার ও তানভির আহমেদকে আইসিসি সদর দপ্তর ঘুরিয়ে দেখান রিচার্ডসন
উচ্ছ্বসিত বিসিএসএ সভাপতি জুনায়েদ পাইকার বলেন, ‘আজ এখানে না আসলে জানতেই পারতাম না আইসিসি আম্পায়ারিং নিয়ে এতোটা ভাবনাচিন্তা করে। রিচার্ডসন আমাদেরকে নিয়ে গিয়েছিলেন আইসিসির আম্পায়ারিং আর্কাইভে, যেখানে সংরক্ষিত আছে আম্পায়ারদের দেওয়া সমস্ত সিদ্ধান্ত। এখানেই এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসাবে কাজ করা আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সঙ্গেও দেখা হয়েছে আমাদের।’


আইসিসির সদর দপ্তরে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সঙ্গে বিসিএসএ’র সভাপতি ও সহ সভাপতি
বিসিএসএ সবসময় ক্রিকেটের বর্তমানের সঙ্গে অতীতকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন কর্মকান্ড করে থাকে শুনে অবিভূত রিচার্ডসন আইসিসির ব্যানারেও করতে চান সংগ্রহশালা। আইসিসি ৩৬০ ডিগ্রিতে বিসিএসএকে সামনে আনার ইচ্ছের কথাও জানান তিনি।


ডেভিড রিচার্ডসনকে বিসিএসএ’র ক্যাপ উপহার দেয় বিসিএসএ
তিনি বাংলাদেশ দল ও বাংলাদেশের সমর্থকদের প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দল খুব ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। যার পেছনে উদ্দীপক হিসাবে কাজ করছে সমর্থকরা। এভাবেই ক্রিকেট কোন দেশে এগিয়ে যায়। সমর্থক গোষ্ঠী হিসাবে বিসিএসএ যেরকম কাজ করছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। বিসিএসএ সম্পর্কে আজ বিস্তারিত না জানলে আমার ভাবনাতেও আসতো না সমর্থক গোষ্ঠী হিসাবে ক্রিকেট স্মারক প্রদর্শনী করা যায়। আমরাও ভবিষ্যতে এমন করতে পারি। বিসিএসএ’র জন্য আমার শুভকামনা রইলো।’


বিসিএসএকে আইসিসির উপহার
সাক্ষাত শেষে বাংলাদেশের সকল ক্রিকেট সমর্থকদের পক্ষে আইসিসির প্রধান নির্বাহীকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন জুনায়েদ পাইকার ও তানভির আহমেদ। ডেভিড রিচার্ডসনও বিসিএসএকে আইসিসির তরফ থেকে উপহারস্বরূপ দেন আইসিসির কিছু স্মারক। ক্রিকেট ডেভেলপমেন্টের ওপর আইসিসির প্রকাশিত একটি বইও বিসিএসএ কে উপহার দেন তিনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ