ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদঃ
সুস্থ শরীর নিয়ে আনন্দময় জীবনযাপন করাই আমাদের কাম্য।এখন প্রশ্ন কীভাবে জীবনযাপন করলে জীবন আনন্দময় হয়ে উঠবে,অর্থাৎ আমাদের লাইফ স্টাইল কী হবে?লাইফ স্টাইল হল অভ্যাস,দৃষ্টিভঙ্গি,পছন্দ,সামাজিক এবং রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনা, সংস্কৃতি,সর্বোপরি অর্থনৈতিক অবস্থা এইসব মিলে তৈরি হয় লাইফ স্টাইল,আজকের বিষয় হলো এখান থেকে সৃস্টি,
বর্তমানে যৌন সমস্যা একটি মারাত্মক সমস্যা দিনদিন এ রোগীর হার বেড়ে যাচ্ছে।এই সমস্ত রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে আছে অনেক জটিলতা দেশের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন চমকপ্রদ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। অনেকে এসব রং বেরঙের প্রতিষ্টানের চিকিৎসা নিয়ে হচ্ছে প্রতারিত আমার কাছে অনেক রোগীরা আসে তাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে অনেকে এ রোগ নিয়ে মহা টেনশনে আছেন। অনেকে এ সমস্যানিয়ে বিচলিত কোথায় গেলে ভাল চিকিৎসা পাবে তা কেউ বুঝতে পারছেনা। আসলে যৌন সমস্যা কোন সমস্যাই নয়। একটু বুঝে চললে আর জীবনটাকে নিয়মের ভিতরে আনলে এ রোগ কোন রোগই নয়। তবে জীবন চলার পথে কিছু সমস্যা থাকে, আমরা নিজেরাই কিছু সমস্যা শরীরে সৃষ্টি করি।যার ফলে আমরা হতাশায় ভুগী আর ভাবি হয়ত এ রোগের কোন চিকিৎসা নাই। কিন্তু এখনো যদি আমরা জীবনটাকে সুন্দর করে সাজাতে পারি আর সমস্যার কারনে ভাল কোন অর্গাণন অনুসরনকারী হোমিও চিকিৎসকের শরনাপন্ন হইলে আল্লাহর রহমতে আমরা একটি সুন্দর সুখী নীঢো তৈরী করতে পারব। আজকাল রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করলে দেখি বাহারী রং এর বাহারী সবচিকিৎসার পোষ্টার বা সাইনবোর্ড বিশেষ করে যৌন সমস্যা নিয়ে অনেক পোষ্টার দেখা যায় যে তারা ৭ দিনের ভিতরে সব ঠিক করে দিবে চ্যালেঞ্জ, গ্যারান্টি, বিফলে মূল্য ফেরত জীবনের শেষ চিকিৎসা বিবিধ। আসলে মূল কথা হলো আমাদের দেশের বেশীরভাগ পুরুষেরা এই সমস্যায় ভুগেছে, মেয়েদের ভিতরেও এ সমস্যা আছে তবে খুব কম। আমরা চিকিৎসা করার সময় দেখি মেয়েদের সংখ্যা অনেক কম এই হিসেবে সেক্স সমস্যাটা কিছুই না। তবে বিশেষ কিছু কারনে সমস্যা হয়ে থাকে মূলত যেই সব কারনে সমস্যা হয়ে থাকে সেগুলো হচ্ছে ১. মানসিক দুশ্চিন্তা, মানসিক হতাসা, মানসিক ভীতি। ২. অতিরিক্ত হস্ত মৈথুন। ৩. সময়মত বিবাহ না করা। ৪. যৌন শক্তি বাড়ানোর নামে ওয়ান টাইম মেডিসিন সেবন করা। ৫. অতিরিক্ত ধুমপান করা। ৬. স্বামী স্ত্রীর মাঝে বহুদিন সম্পর্ক ছিন্ন থাকা। ৭. দীর্ঘদিন যাবৎ কঠিন আমাশয় ও গ্যাষ্টিক রোগে ভুগা। ৮. সংগদোষ অর্থাৎ খারাপ বন্ধুদের কারনে খারাপ কাজে সম্পৃক্ত হওয়া, পর্ণ মুভি দেখা ও এ জাতীয় চিন্তা করা। ৯. অতিরিক্ত সপ্নদোষ হওয়া। ১০. ডায়াবেটিস হওয়ার কারনে। ১১. মোটা হওয়ার কারনে।১২. পরিবারে উদাসীনতা যারা কায়িক পরিশ্রম করে মানে অলস যারা। ১৩. প্রেম করে বিয়ের আগে অবাধ মেলামেশা করা। ১৪. ধর্মীয় অনুশাসন না মেন চলা। মূলত এইসব কর্মকান্ডে আরও সমস্যা আছে তবে এই সমস্যাগুলো আমরা চিকিৎসা করার সময় রোগীদের মাঝে দেখি যেই সমস্যা থেকেই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হোকনা কেন হোমিওপ্যাথি লক্ষন দিয়ে চিকিৎসা দিতে পারলে এই রোগী আরোগ্য হওয়া সম্ভব।
হোমিওপ্রতিবিধানঃ
রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়। যৌন সমস্যার রোগীদেরকে একজন অভিজ্ঞ অর্গাণন অনুসরনকারী সঠিক লক্ষন অথবা মাইজমেটিক অনুসরন করে চিকিৎসা দিতে পারলে হোমিওপ্যাথিতে আরোগ্য হওয়া আল্লাহর রহমতে সম্ভব।কিন্তু আফসোসের বিষয় অনেক হোমিও চিকিৎসক নিজেদেরকে ক্লাসিকাল হোমিওপ্যাথ বলে থাকে। কিন্তু ঐসব ডাক্তার বাবুরা রোগীদেরকে পেটেন্ট টনিক মিশ্রপ্যাথি দিয়ে রোগীদেরকে চিকিৎসা দিয়ে থাকে এসব ডাক্তার বাবুদেরকে ডাঃ স্যামুয়েল হানেমান বলে থাকেন শংকর জাতের হোমিওপ্যাথ। তাই নিজেদের কে যদি হানেমানের উত্তরসূরী দাবি করে থাকি তাহলে সঠিক লক্ষন দিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে। হোমিও অভিজ্ঞ ডাক্তারগন যে সব মেডিসিন ব্যবহার করে থাকে, এসিডফস, এগনাস কাষ্ট, অসগোন্ধা, ক্যালাডিয়াম স্যাংক, ডামিয়ানা, জিনসিং, নুপারলোটিয়াম, নাক্স বোম, লাইকোফোডিয়াম, সিলিনিয়াম সহ অসংখ্য হোমিও মেডিসিন লক্ষনের উপর আসতে পারে।
লেখক,স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা,হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি, কেন্দ্রীয় কমিটি
কো-চেয়ারম্যান,হোমিওবিজ্ঞান গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
ই-মেইল,drmazed96@gmail.com
মোবাইলঃ০১৮২২৮৬৯৩৮৯
0 মন্তব্যসমূহ