দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সনাতন ধর্মালম্বীদের বৃহৎত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা সম্পন্ন হয়েছে। ঢাক-ঢোল, কাসা ও বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রামের বড় বড় পুকুরে ও বঙ্গোপসাগরে হাজার হাজার দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে।
এ বছরের দূর্গা পূজায় বাঁশখালী উপজেলার ৮৩টি সার্বজনীন পূজা মন্ডপ ও ১০৩ ঘট পূজা সহ মোট ১৮৬ টি পূজা মন্ডপে প্রতিমা স্থাপন করা হয়। তৎমধ্যে বাঁশখালীর পুকুরিয়ায় ৭টি, সাধনপুরে ১৪টি, বাহারছড়ায় ৪টি, কালীপুরে ১৩টি, বৈলছড়িতে ৬টি, কাথরিয়ায় ১টি, চাম্বলে ১১টি, শেখেরখীলে ১টি, সরলে ৪টি, পৌরসভায় ১৬টি, শীলকূপে ৪টি ও পুঁইছড়িতে ২টি মন্দিরে সার্বজনীন দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ভাবে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও দেওয়া হয়েছে। সর্বমোট ১৮৬ টি শারদীয় দূর্গাপূজা আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
প্রতি বৎসরের মত এবারেও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজার মহাঅষ্টমীর দিনে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও ধর্মীয় নেতাদের সাথে মতবিনিময় করেছেন অর্থ ও পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি, এসময় তার সাথে ছিলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাইফুউদ্দীন আহমেদ রবি, বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল গফুর, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক সরোয়ার কামাল, দপ্তর সম্পাদক শ্যামল কান্তি দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন চৌধুরী খোকা, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রেহেনা আক্তার কাজমী, বাঁশখালী আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এড. আ.ন.ম শাহাদত আলম, সরল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ,শেখেরখীল ইউপির চেয়ারম্যান মো. ইয়াছিন, চাম্বল ইউপির চেয়ারম্যান মুজিবুল হক সিকদার, পুইছুড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুল হক চৌধুরী, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি টুটুন চক্রবর্তী, সাধারন সম্পাদক উত্তম কারন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি প্রদীপ গুহ, যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর)রাতে বাঁশখালী ১৪ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার কেন্দ্রীয় কালি মন্দিরসহ বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ প্রসাশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার ও থানা (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ওসি কামাল হোসেনের বিচক্ষণতাই আইন শৃংখলা বাহিনী পূজা মন্ডল গুলোতে বিসর্জন পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেন। পরবর্তীতে তিনি বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া, সাধনপুর, কালিপুর, বাহারচরা, বৈলছড়ী, কাথরিয়া, সরল, জলদী, শীলকূপ, চাম্বল, পুঁইছড়ী, শেখেরলীল সহ মোট ১২টি ইউনিয়নের পূজা মন্ডল গুলো পরিদর্শন করেছেন।
অপর দিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সাবেক বন পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরী,জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী,আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল্লাহ কবির লিটন,বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে নগদ আর্থিক অনুদান তুলে দেওয়া হয়।
বাঁশখালী পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি টুটুন চক্রবর্তী ও সাধারন সম্পাদক উত্তম কারন বলেন,মহাষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া পাঁচ দিন ব্যাপী শারদীয় দূর্গা উৎসববের প্রতিটি মন্ডপে আইন শৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় শান্তি পূর্ণ পরিবেশে উৎসব পালনের লক্ষ্যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা জোরদার করায় বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
একই সাথে পৃথক পৃথক ভাবে দক্ষিন জেলা আওয়ামীলীর শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাবেক সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম এডভোকেট সুলতানুল কবির চৌধুরীর সুযোগ্য পুত্র বাঁশখালীর তরুন রাজনীতিবীদ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক চৌধুরী মুহাম্মদ গালিব ও পুইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা সোলতানুল গনী চৌধুরী (লেদু মিয়া), বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী, সাবেক মেয়র আলহাজ্ব কামরুল ইসলাম হোসাইনী, বাঁশখালীর বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন।
অন্য দিকে মাষ্টার নজির আহমদ ট্রাস্টের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর ) বাঁশখালী উপজেলার পূজা মণ্ডপ গুলো পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট পূজা মণ্ডপের দায়িত্বরত কমিটির কর্মকর্তাদের হাতে মাস্টার নজির আহমদ ট্রাস্টের সদস্য ও স্মার্ট গ্রুপের পরিচালক আজিজুর রহমান এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক ও দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার সম্পাদক আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান সিআইপির নেতৃত্বে নগদ আর্থিক অনুদান তুলে দেওয়া হয়।
0 মন্তব্যসমূহ