গাজী গোফরানঃ
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরুর পুণ্যলগ্ন হিসেবে পরিচিত মহালয়া। মহালয়ার দিন চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় মর্ত্যলোকে। হিন্দু শাস্ত্রীয় বিধান মতে, মহালয়ার অর্থ হচ্ছে, মহান আলোয় দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে আবাহন। দুটি পক্ষ রয়েছে, একটি হলো পিতৃপক্ষ, অন্যটি দেবীপক্ষ। অমাবস্যা তিথিতে পিতৃপক্ষের শেষ হয়, আর প্রতিপদ তিথিতে শুরু হয় দেবীপক্ষের। আজ মহালয়ার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে সেই দেবীপক্ষ। আজ পিতৃপক্ষের শেষ ও দেবীপক্ষের সূচনা। ধর্মমতে, এই দিনে দেব-দেবীকূল দুর্গাপূজার জন্য নিজেদের জাগ্রত করেন। মহালয়ার দিন ভোরে মন্দিরে মন্দিরে শঙ্খের ধ্বনি ও শ্রী শ্রী চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীকে আবাহন জানানো হয়। এদিন গঙ্গাতীরে প্রার্থনা করে ভক্তরা মৃত আত্মীয়স্বজন ও পূর্বপুরুষদের আত্মার মঙ্গল কামনা করেন। মহালয়া দুর্গোৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দেবীর আরাধনা সূচিত হয় মহালয়ার মাধ্যমে। মহালয়া থেকেই দেবীপক্ষের শুরু।
পঞ্জিকা অনুযায়ী অমাবস্যা পড়ছে আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) রাত ১১টার পর থেকে। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে, মহালয়া পার্বণ শ্রাদ্ধম- ২১ আশ্বিন, সোমবার, ১৪২৫, ইং- ৮ অক্টোবর ২০১৮ সকাল ১০/৪৯/০৮ গতে। থাকবে ২২ আশ্বিন, মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৮ ০৯/০৮/২০ পর্যন্ত। অর্থাত্ আজ সকাল ১০টা ৪৯ মিনিট ৮ সেকেন্ডের পর থেকে কাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত তর্পণ করা যাবে। ১৪ অক্টোবর পঞ্চমীর সায়ংকালে অকাল বোধনে খুলে যাবে মা দুর্গার শান্ত-স্নিগ্ধ অতল গভীর আয়ত চোখের পলক। ধূপের ধোঁয়ায় ঢাক-ঢোলক, কাঁসর-মন্দিরার চারপাশ কাঁপানো নিনাদ আর পুরোহিতের ভক্তিকণ্ঠে ‘যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেন সংস্থিতা/নমস্তৈস্য নমস্তৈস্য নমো নম..’ মন্ত্রোচ্চারণের ভেতর দূর কৈলাশ ছেড়ে দেবী পিতৃগৃহে আসবেন।
0 মন্তব্যসমূহ