মোহাম্মদ এরশাদঃ
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় ঐক্যফ্রন্ট ঘোষিত খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ৭ দফা দাবি আদায় করে ঘরে ফিরবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমরা অন্যায়ের কাছে মাথানথ কখনো করবো না। দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করা হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘সরকার ভয় পেয়েছে। তাই জনসভা করার জন্য আমাদের লালদিঘী ময়দানে অনুমতি দেয়নি। এতো ভয় কেনো জনগণকে আটকে রেখে, জোর করে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। আপনারাও (ক্ষমতাসীন সরকার) পারবেন না।’
শনিবার (২৭ অক্টোর) চট্টগ্রাম নসিমন ভবনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় তিনি এই কথা বলেন।
সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা (সরকার) জনগণকে দেখলেই নাশকতার কথা বলেন। নাশকতা তো আপনারা করছেন। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। আপনারা সেই ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে চাইতেছেন ।’
জনগণ ভোট দিতে পারলে ভাঙ্গা নৌকায় আর কেউ উঠবে না বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
আমাদের অনেক নেতাকর্মীদের নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক নেতাকে গুম করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী আজও কারাগারে বন্দি। এই চট্টগ্রামের অনেক নেতাকর্মীকে হারিয়েছি আমরা এই স্বৈরাচার সরকারের শাসনকালে। জনগণ আজ এই দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা:শাহাদত হোসেনের সভাপতিত্বে জনসভায় গণফোরাম সভাপতি ড.কামাল হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ মির্জা আব্বাস, জেএসডির সভাপতি আ সম আব্দুর রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা:জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু, কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মো:শাজাহান, মীর নাসির, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি'র সভাপতি বাঁশখালী থেকে চার চারবার নির্বাচিত সাবেক সাংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভূইয়া, গোলাম আকবর খন্দকার, সুকোমল বড়ুয়া, ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুলতান মোহাম্মদ,এতে আরো উপস্থিত ছিলেন দক্ষিন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বুলবুল , বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র হাজী আবুল কালাম আবু, দক্ষিন জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক নাজমুল মোস্তফা আমিন, বাঁশখালী বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান আলহাজ আমিনুর রহমান চৌধুরী,বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাষ্ঠার লোকমান আহমেদ, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির সিঃ সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম আলমগীর,বাঁশখালী বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ আব্দুল হক,জেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আবুল কাশেম, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ফজলুল কাদের, জেলা বিএনপির নেতা শওকত ওসমান, বাঁশখালী পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদুল আলম আইয়ব, উপজেলা বিএনপি নেতা দেলোয়ার আজীম, মোঃ আমান, দক্ষিন জেলা সেচ্চাসেবক দলের সভাপতি সাইদ্দীন আহমেদ মিটু, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলে সভাপতি শহিদুল আলম শহীদ, দক্ষিন জেলা ছাত্রদল নেতা মাহমুদুল ইসলাম, লায়ন ছবুর, শাহজাহান, শাহাদত, এস এম তৈয়ব, ফরহাদুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, মোঃ হেলাল, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের নেতা নুরুল মোস্তফা, মনিরুল আলম, জামাল হোসেন,কালীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ইউনুস কোম্পানী, সাধারণ সম্পাদক মেম্বার নুরুল ইসলাম, বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রদলে অন্যতম নেতা টিংকু দেব, শাহেদুল ইসলাম, মোস্তফা মহসিন, আতিকুর রহমান সুমন, পৌরসভা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহেদ আকবর, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুবিন, পৌরসভা যুবদলের সভাপতি তমিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল কাইসার বাদশা, পৌরসভা ছাত্রদলের সাধরন সম্পাদক শহীদ উল্লাহ, কালীপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা মাহমুদুল ইসলাম, তাজমুল উদ্দিন বাহাদুর, অহিদুল ইসলাম (লুঠা) মোঃ সেলিম।
প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
0 মন্তব্যসমূহ