বাঁশখালীর পুঁইছড়িতে সন্ত্রাসী হামলা: ৭ টি দোকান ভাংচুর ও মালামাল লুট!

বিএন. ডেস্ক: বাঁশখালীতে সন্ত্রাসী হামলায় ৭ টি দোকান ভাংচুর করা হয়েছে। একই সাথে সন্ত্রাসী কায়দায় লুট করা হয়েছে দোকানের মালামাল ও নগদ টাকা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের সরলিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এসময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে পুরো বাজার এলাকায় ভীতি ছড়িয়ে দেয়। পরে ব্যবসায়ীদের মারধর করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বাজারের ৭ টি দোকান ভাংচুর করে মালামাল ও নগদ টাকা লুটপাত করে নিয়ে যায়। এসময় সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা স্থানীয় কলিম উল্লাহ(৪২) নামে একজন ব্যবসায়ীকে তুলে গোপন আস্তানায় নিয়ে মারাত্বকভাবে শারিরীক নির্যাতন করে জখম করে।

ঘটনার বিবরনে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৯ টার সময় সরলিয়া বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে বাড়িতে ফিরার প্রস্তুতি নেওয়ার আগে পুঁইছড়ি ইউনিয়নের চিহ্নিত সন্ত্রাসী আবু নোমান চৌধুরী, আতাউর রহমান চৌধুরী ও সজিব চৌধুরীর নেতৃত্বে ছনুয়ার কুখ্যাত মানিক ডাকাত, সোলেমান ডাকাত, জরিনা আক্তার বুলবুলি ডাকাত সহ ৩০/৩৫ জনের সশস্ত্র একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, দা, ছুরি, কিরিচ নিয়ে সরলিয়া বাজারে কয়েক রাউন্ড গুলি ফায়ার করলে ব্যবসায়ীরা নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে দিকবেদিক দৌঁড়াতে থাকে। 

এসময় ডাকাত ও সন্ত্রাসীরা বাজারের সাজ্জাদ হোসেনের মুক্তা ফার্মেসী, আবু তৈয়ব পারভেজের হোটেল বনসাঁই, কলিম উল্লাহ সওদাগরের কলিম পান বিতান, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সের শাখা অফিস, মানিকের মোবাইলের দোকান, রিয়াজ সওদাগরের চাউলের দোকান, শীতল শীলের সেলুনের দোকানে হামলা করে ভাংচুর চালিয়ে দোকানগুলির ক্যাশে রক্ষিত লক্ষ লক্ষ টাকা এবং মুল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। 

সন্ত্রাসীরা বাজারের দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের পর বাজারের পার্শ্বস্থ আবুল কাসেম ও কলিম উল্লাহ'র ঘরেও হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এতে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান আনুমানিক ৫০ লক্ষাধিক টাকা। সন্ত্রাসীরা ভাংচুর ও লুটতরাজের সময় কলিম উল্লাহ নামে একজন ব্যবসায়ী তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষার চেস্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাকে বেদম প্রহার ও বন্দুকের বেয়নেট দিয়ে খুঁছিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরন করে নিয়ে যায়। সারা রাত তাকে নির্যাতন করে বুধবার সকালে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় রাস্তায় রেখে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে তাকে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সুত্রে আরও জানা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল বাজারের জায়গা দখল নিতে দির্ঘদিন থেকে অন্যায়ভাবে ব্যবসায়ীদের উপর জুলুম নির্যাতন চালিয়ে আসছে, এরই ধারাবাহিকতায় আজকের এ সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

সরলিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম জানান, জায়গা-জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে বাজারে দোকানের হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি জানান, স্থানীয় ২০ থেকে ৩০ জনের একটি ডাকাতদল স্থানীয় নোমান ও আতাউর রহমান চৌধুরীর পক্ষ নিয়ে ৭টি দোকান ভাংচুর করে নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। 

ঘটনাস্থল পরিদর্শনরত বাঁশখালী থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক নুর নবী টিপু সন্ত্রাসী হামলায় দোকান ভাংচুরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে ঘটনাটি জায়গা- সূত্র: একুশে মিডিয়া

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ