কঠোর পরিশ্রম, সততা অার দৃঢ় সিদ্ধান্তে সফল ব্যবসায়ীর উজ্বল দৃষ্ঠান্ত অাবু সালেক মেস্ত্রী


মোঃ আবদুল জব্বারঃ সততা অার কঠোর পরিশ্রমের বিনিময়ে সিদ্ধান্তে অবিচল থাকলে যে কোন কাজেই যে চুড়ান্ত সফলতা অর্জন করা যায় তার উজ্বল দৃষ্ঠান্ত বাঁশখালী মিয়াবাজারস্থ অাবু সালেক মেস্ত্রী।
২৮ বছর অাগে ১৯৯২ সালে জিবনের এক কঠিন সময়ে অনেকটা অনন্যোপায়ী হয়ে অনভিজ্ঞ এক স্বপ্নপ্রত্যয়ী মানুষ শুরু করেছিলেন কাঠ মেস্ত্রীর কাজ। শুরুর পর থেকে ব্যবসায় অনেক চড়াই উৎরাই গেছে, কিন্তু অাবু সালেক মেস্ত্রী সবকিছুকে অবলিলায় মেনে নিয়ে অটল ছিলেন তার সিদ্ধান্তে। শতভাগ সততার সাথে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন তার পেশায়। অবশেষে সেই কাঙ্খিত সফলতা। একের পর এক সমাজের অনেক অাইকন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবীদ তাদের ব্যক্তিগত শখের ফার্নিসার তৈরী করতে হাজীর হতে থাকলেন মিয়াবাজারস্থ অাবু সালেক মেস্ত্রীর দোকানে। কোনদিন কোন ক্রেতার কাঁছ থেকে দরদাম নিয়ে চাপাচাপি করেননি, শুধু বলেছেন নিজের শ্রম অার নেট ব্যয়ের কথাই। বাকিটা ছেড়ে দিয়েছেন ক্রেতার উপরই।
অাবু সালেক মেস্ত্রীর নিজের হাতে তৈরী চেয়ারে বসে অনেকেই মেয়র, চেয়ারম্যান, এমপি, মন্ত্রী হয়েছেন। সেই থেকে অনেকে অাবু সালেক মেস্ত্রীকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসাবে মুল্যায়ন করতে শুরু করেন। 
৩ মেয়ে ২ ছেলের জনক অাবু সালেক মেস্ত্রী একজন অতি সাধারন মানুষ হলেও তার বড় মেয়ে বর্তমানে মাস্টার্সে, ২য় ছেলে স্নাতক, ৩য় ছেলে উচ্চ মাধ্যমিক, ৪র্থ মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়নরত অাছে।
সফলতার ব্যাপারে তার কাঁছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অামি ব্যবসা করতে গিয়ে জিবনে কোনদিন কারো সাথে মিথ্যা কথা বলিনি, কাউকে ঠকাইনি, কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজের অধিনস্থ কর্মচারীদের সাথে কোন প্রকার দুর্ব্যবহার করিনি, ব্যবসার প্রতিকুল সময়ে কখনো হতাশ হইনি, হঠাৎ রাতারাতি অাঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার স্বপ্ন দেখিনি, সততা অার শ্রম দিয়ে অাল্লাহ'র উপর নির্ভর করেছি, অাল্লাহ অামাকে সফলতা দিয়েছে। বাকি জিবনটাও অামি অামার বিশ্বাষের উপর নির্ভর করে ছেলেমেয়েদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে সমাজে উদাহরন সৃষ্ঠি করতে চাই। এক্ষেত্রে সাধারন মানুষের ভালবাসা অার বিশ্বাষই অামার একমাত্র পুঁজি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ