মোহাম্মদ এরশাদঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পৌরসভাস্থ ঐতিহ্যবাহী জলদী বাইঙ্গাপাড়া বড় মাদ্রাসার (বাঁশখালীর বড় মাদ্রাসা) দাতা, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য (মোতোয়াল্লী) ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ এর বাঁশখালী প্রতিনিধি সাংবাদিক মুহাম্মদ মিজান বিন তাহেরর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ চট্টগ্রামে মামলা নং- ১৬৪/১৬, গত ৪ অক্টোবর বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা নং- ২৭২/১৮ এবং ৩০ অক্টোবর একই আদালতে অপর-৩০৩/১৮ ইং স্থানীয় উম্মে হাবিবা বাদী উপরোক্ত মামলা গুলো দায়ের করে।
মামলা গুলোতে সাংবাদিক মিজান বিন তাহের ও বাঁশখালীর সর্বজন শ্রদ্বেয় আলেমেদ্বীন চাম্বল মাদ্রাসার মহাপরিচালক পীরে কামেল আল্লাহ শাহ্ আবদুল জলিলসহ আরো বিভিন্ন কওমী মাদ্রাসা পরিচালকগণকে আসামী করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলার পৌরসভাস্থ ঐতিহ্যবাহী জলদী বাইঙ্গাপাড়া বড় মাদ্রাসাটি (বাঁশখালীর বড় মাদ্রাসা) বিভিন্ন দুর্নীতি ও আর্থিক কেলেঙ্ককারীতে জর্জরিত হয়ে প্রায় অচল অবস্থা হয়ে পড়ে।
এদিকে মাদ্রাসা যখন প্রায় অচল অবস্থা হয়ে পড়ে তখন এলাকাবাসীর সহযোগিতা উক্ত মাদ্রাসার মোতোয়াল্লী সাংবাদিক মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের মাদ্রাসাটি রক্ষায় এগিয়ে আসে এবং উক্ত মাদ্রাসা রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
এরই প্রেক্ষিতে উক্ত মাদ্রাসার সাবেক পরিচালকের মেয়ে অবৈধভাবে নিজেকে পরিচালক দাবী করে সাংবাদিক মিজান বিন তাহেরসহ মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক এই মিথ্যা মামলা গুলো দায়ের করে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের বলেন, মাদ্রাসাটি যখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যায় তখন আমি স্থানীয়দের নিয়ে উক্ত মাদ্রাসাটি রক্ষায় এগিয়ে আসলে মাদ্রাসার অবৈধভাবে পরিচালক দাবীকারী সেজে আমিসহ বিশিষ্ট আলেমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা গুলো দায়ের করে স্থানীয় উম্মে হাবিবা। আমি মাদ্রাসা পুনরায় পূর্বের পরিবেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সকলের কাছে আহবান জানাচ্ছি।
এদিকে মাদ্রাসাটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে বর্তমানে উক্ত মাদ্রাসার পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন হেফাজত ইসলামী বাংলদেশের মুহাতারাম আমীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) চেয়ারম্যান শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী (দাঃ বাঃ)।
0 মন্তব্যসমূহ