চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার ১০নং চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব চাম্বল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বিট কর্মকর্তার কার্যালয়, চাম্বল অভয়ারণ্য বিট জলদী অভায়রাণ্য রেঞ্জ, বণ্য প্রাণী, ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতির রক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রাম। এলাকায় বন খেকু আনিছের পাহাড় কাটা ও বনজ সম্পদ চুরি করে গাছ কেটে বন বিভাগ উজাড় করার ঘটনা ঘটনার তথ্য পাওয়া গিয়াছে।
বিবরণে প্রকাশ চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার ১০নং চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব চাম্বল বিট কর্মকর্তা আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে। আনিছুর রহমান বন বিভাগের সরকারী জমি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে বিক্রয় করে এবং এই বিক্রয়কে কেন্দ্র করে এলাকায় গাছ কাটা নিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়। এলাকাবাসী সূত্রে আরো জানা যায় এ বন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান স্থানীয় কিছু অসাধু কাঠ ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী ক্যাটাগরি লোকজনের সহযোগিতায় বনের বড় বড় গাছ কেটে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেন। যার কারণে বন বিভাগ উজাড় হওয়ার পথে। এ বিষয়ে এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন (গুজারহাট) চাম্বল জানায় আনিছুর রহমান সরকারি বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা বন খেকু আনিছ বিটের আওতাভুক্ত অসাধু ও পেশাগতভাবে চোর ও সন্ত্রাসী। তাদের সাথে আতাত করে বন বিভাগের বনজ সম্পদ / গাছ কেটে উজাড় করে ফেলেছে বলে কামাল ও স্থানীয়রা জানায়। স্থানীয়রা আরো জানান আনিছের সহযোগীরা জঙ্গল থেকে গাছ কেটে বিক্রয়ের জন্য নেয়া বিট কর্মকর্তা আনিছ গাড়ী প্রতি ৫ হাজার টাকা নিয়া গাছ বিক্রি করার অনুমতি দিয়ে থাকেন। বন খেকু আনিছ ও তাহার সহযোগীদের মাধ্যমে গাছ কাটার বিষয়ে স্থানীয়রা বাধা সৃষ্টি করিলে বন কর্মকর্তা বদলি হয়ে যাওয়ার সময় ভাল মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে চলে যায়। এর প্রমাণ অনেক আছে এলাকাসূত্রে জানা যায়, এই ভয়ে বনের গাছ কাটিতে দেখিলেও বন কর্মকর্তা আনিছের বিরুদ্ধে কোন লোক মুখ খুলতে রাজী হয় না। চাম্বল এলাকার নেজাম জানায় এর আগেও যারা বিট কর্মকর্তা ছিল বদলি হয়ে যাওয়ার সময় বনের গাছ কাটার বিরোধীতাকারী সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে গেছেন। সে মামলাগুলো হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। চাম্বল এলাকার বাসিন্দা মহিউদ্দিন জানান গত ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ইং তারিখ বন কর্মকর্তা আনিছের সহযোগিতায় ভুমি দস্যু হুমায়ুন পাহাড় কেটে মাটি ট্রাক ভরতি করে নেওয়ার সময় দ্রুত গতিতে গাড়ী চালানোর সময় এলাকার তিন-চার জন লোক আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষযে ১০নং চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মুজিবুল হক চৌধুরীর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান পুর্ব চাম্বল বিট কর্ম কর্তা আনিছের সহযোগিতায় গাছ কাটা, পাহাড় কাটা গাছ কাটা গাড়ী প্রতি ৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়া, পাহাড় ও গাছ কাটার বিরোধীতা করায় ভালো মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার ব্যাপারে বিট কর্মকর্তা আনিছ সরাসরি জড়িত। গাছ ও পাহাড় কাটা সহযোগী হিসাবে ভুয়া ছাত্রলীগ নামধারী বিশিষ্ট সন্ত্রাসী মোঃ শহীদুল ইসলাম তোতা মিয়া সরাসরি জড়িত। তিনি ছাত্রলীগের কেউ না, হুমায়ুনের পাহাড় কাটার ব্যাপারে চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান হুমায়ুনের পাহাড় কাটার ব্যাপারে বিট কর্মকর্তা আনিছ ও ভুয়া ছাত্রলীগ পরিচয়দানকারী শহীদুল ইসলাম তোতা মিয়া সরাসরি জড়িত আছে। চেয়ারম্যান সাহেব আরো জানান বন কর্মকর্তা আনিছ ও শহীদুল ইসলাম তোতা মিয়া হুমায়ুনের গাছ কাটা ও পাহাড় কাটার বিষয়টি বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের আইন শৃংখলা সভায় বিষয়টি অবগত করাইলে নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন সরকারি গাছ পাহাড় কাটার কোন অনুমতি নেই এ বিষয়ে উক্ত উপজেলা পরিষদের আইন শৃংখলা সভায় উপস্থিত সকলের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী সমর্থন করিলে সভায় বিষয়টি অনুমোদিত ও পাশ হয়েছে বলে চেয়ারম্যান সাহেব জানান।
বিষয়টি তদন্তপূর্বক বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছে স্থানীয়রা।
0 মন্তব্যসমূহ