যে ‘মাদার অফ অল বম্বস’ বা মোয়াবের ভরসায় এতদিন সমগ্র বিশ্বকে চোখ রাঙাত মার্কিন সেনা৷ আফগানিস্তানে আইএসকে ধ্বংস করতে যা ব্যবহার করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন৷ সূত্রের খবর, তলে তলে তার চেয়েও শক্তিশালী একটি অপারমাণবিক বোমা নিজেদের অস্ত্রাগারে মজুত করে ফেলেছে লালফৌজ৷ বিষয়টা এতদিন গোপন থাকলেও শুক্রবার প্রথম এই বোমাটিকে প্রকাশ্যে আনল জিনপিং প্রশাসনের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস৷ চীনের বৃহত্তম শক্তিশালী অ-পারমাণবিক বোমাটি তৈরি করেছে চায়না নর্থ ইন্ডাস্ট্রি গ্রুপ কর্পোরেশন লিমিটেড (নরিংকো)৷ যা নাকি আমেরিকার মোয়াবের তুলনায় অনেক বেশি মারণক্ষমতাসম্পন্ন৷ বোমাটি ঠিক কতটা শক্তিশালী ইতিমধ্যে তার একটা নমুনাও প্রকাশ করেছে চিনের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থাটি৷ নিজেদের ওয়েবসাইটে এই বোমাটির পরীক্ষার একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও আপলোড করেছে নরিংকো৷ গত বছরের শেষের দিকে অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসে গোপনে চালান হয়েছিল সেই পরীক্ষা৷ চীনা বোম্বার এইচ-৬কে থেকে বোমাটি নিক্ষেপ করে লালফৌজ৷ ভূমিতে আঘাত করার মাত্রই ভয়ংকর বিস্ফোরণ ঘটায় মার্কিন ‘মাদার অফ অল বম্বস’-এর এই প্রতিপক্ষ৷ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের তীব্রতা দেখেই বোমাটির মারণক্ষমতা আঁচ করা যায়৷ যেকোনও শত্রু ঘাঁটিকে একলহমায় সম্পূর্ণ নির্মূল করতে সক্ষম চীনা সেনার এই মারণাস্ত্র৷ তবে সম্ভবত মোয়াবের তুলনায় দৈর্ঘ্যে এটি ছোট৷ ভিডিও দেখে অনুমান চীনের তৈরি বোমাটির দৈর্ঘ্য আনুমানিক পাঁচ থেকে ছয় মিটার৷ এইচ-৬কে বোম্বার এটিকে বহন করতে সক্ষম৷
২০০৩-তে ‘মাদার অব অল বম্বস’ বা মোয়াব তৈরি করেছিল আমেরিকা৷ ৩০ মিটার দীর্ঘ বোমাটির পোশাকি নাম ‘জেবিইউ-৪৩ ম্যাসিভ অর্ডিন্যান্স এয়ার ব্লাস্ট বম্ব’। আইএসবিরোধী অভিযানের সময় ২০১৭-তে আফগানিস্তানে এই বোমা নিক্ষেপ করেছিল মার্কিন বিমান বাহিনী। গুঁড়িয়ে দিয়েছিল জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে৷ এরপরই রাশিয়া প্রকাশ্যে এনেছিল আরও শক্তিশালী ‘ফাদার অফ অল বম্বস’ বা ফোয়াব৷ এবার লালফৌজ তৈরি করে ফেলেছে মোয়াবের চীনা সংস্করণ। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেজিংয়ের দাবি সত্যি হলে অ-পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতায় এবার ওয়াশিংটনের সঙ্গে নিজেদেরও একাসনে ভাবতে পারে তারা৷"
0 মন্তব্যসমূহ