তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের বড় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হোক-সত্য সংবাদ


বি, এন,ডেস্কঃ
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে হোক কিংবা দেশের বড় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হোক-সত্য সংবাদ হলে তা পরিবেশিত হবে। বীভৎস দৃশ্য টেলিভিশনে পরিবেশিত হলে সমাজে কী প্রভাব পড়বে, সেটিও বিবেচনা করতে হবে।
গতকাল রবিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনলাইনের প্রয়োজন আছে। নতুন প্রজন্মের অনেকে পত্রিকা পড়ে না। আমি প্রতি ২-১ ঘণ্টা পর পর অনলাইনে ঢুকি। কিন্তু অনলাইনে আপডেট জানার পরও সকালে পত্রিকা পড়ি। এটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। দেশের অনেক অনলাইন সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে সংবাদ পরিবেশন করছে। কিছু অনলাইনের এ দায়বদ্ধতা নেই। স¤প্রচার নীতিমালা পাস হলে অনলাইনগুলো নিবন্ধন করা হবে। ইতোমধ্যে অনেক অনলাইনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশ বহুদূর এগিয়েছে। বদলে যাওয়ার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি বলে আমরা অনুধাবন করছি না। কবিতায় কুঁড়েঘর আছে বাস্তবে নেই। সন্ধ্যার পর ‘মা একমুঠো বাসি ভাত দাও’ সেই ডাক শোনা যায় না। খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। ক্ষুধাকে জয় করেছি আমরা। দারিদ্র্য ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। আওয়ামী লীগ যে ইশতেহার দিয়েছে, তা বাস্তবায়িত হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেবেন কখনও ভাবিনি। কলেজ জীবনে আমি অনেক মাইকিং করেছি। দলের পক্ষে অনেক প্রেস রিলিজ লিখেছি। প্রধানমন্ত্রী দলের ও রাষ্ট্রের মাইক আমার হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন। ছয় বছর দলের পক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ওঠা-বসা আমার। দায়িত্ব নেওয়ার শুরু থেকে সাংবাদিকদের অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধান করার চেষ্টা করছি। আমি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গেছি। রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গেছি। আজ নিজের শহরে সাংবাদিকদের মিলনমেলায় আসতে পেরেছি। নির্বাচনের পর নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে তথ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাব উত্থাপন করেছি।
তিনি বলেন, ‘শনিবার সচিবালয় খোলা রেখে মন্ত্রিসভা কমিটির সভা করা হয়েছে। সংবাদপত্র মালিকদের দুইটি সংগঠন। সাংবাদিকদের সংগঠন আছে। সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করা হবে। মূলত পত্রিকার জন্য ওয়েজবোর্ড ছিল। টেলিভিশনের পাশাপাশি দেশে অনেক এফএম রেডিও আছে। দুই-একটির শ্রোতা সংখ্যা অনেক টেলিভিশনের দর্শকের চেয়ে বেশি। তাদেরও স¤প্রচার নীতিমালার আওতায় আনা হবে।’
মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আছে। প্রতিটি মানুষ গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। একটি শিশু যে কার্টুন দেখে সেটিও গণমাধ্যম। আগামীতে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের তহবিল বাড়ানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে এ তহবিল থেকে সাংবাদিকদের অসুস্থতার পাশাপাশি সন্তানদের পড়াশোনা, পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার খরচ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, কর্ণফুলীর তলদেশে টানেলসহ মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে। চট্টগ্রামে আজ অর্থনৈতিক কার্যক্রম যেটা আছে, ৫ বছরে দ্বিগুণ হবে। চট্টগ্রামের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে। আগামী পহেলা বৈশাখ বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে ৯ ঘণ্টা স¤প্রচার শুরু হবে। কয়েক মাস পর ১২ ঘণ্টায় উন্নীত করা হবে। নতুন বছরের শুরুতে বিটিভিকে দ্বিতীয় টেরিস্ট্রিয়াল চ্যানেল হিসেবে দেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আধুনিক করা, মিরসরাই পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ, ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন হবে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন প্রেস ক্লাব সভাপতি কলিম সরোয়ার।
সূত্র..  দৈনিক পূর্বদেশ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ