এস.এস. স্কলারঃ দুটি গাড়ি থেকে একে একে নামলেন জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম বুলবুল নীলফামারী পৌরসভা মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলী। মঙ্গলবার রাত পৌণে ১১টা। হঠাৎ করে পিকআপসহ দুটি অফিসিয়াল প্রাইভেট কার হাজির নীলফামারী রেলস্টেশনে। হঠাৎ করে তাদের উপস্থিতি তাৎক্ষনিক বুঝতে না পারলেও পিকআপ থেকে বস্তা নামানো শুরু হলে আর বোঝার বাকি ছিলো না মানুষদের। মুহুর্ত্বের মধ্যেই ভীড় জমে রেলস্টেশনে। প্লাটফর্মে শুয়ে থাকা ছিন্নমুল মানুষদের মধ্যে জেলা প্রশাসক, পৌরসভা মেয়র এবং ভাইস চেয়ারম্যান বিতরণ করেন একটি করে কম্বল। তারা কম্বল জড়িয়ে দেন বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের মাঝে। ভিক্ষুক ছলমলি বেগম জানান, হামার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুরে। বাড়ি ভিটা নাই। ভিখ করি খাই এই এলাকাত। রাইতোত স্টেশনোত শুতি থাকি। ঠান্ডাত খুব কষ্ট হইছে। কম্বলটা পেয়া জার(ঠান্ডা) কাটা যাইবে। একই এলাকার তানজিনা বেগম জানান, স্বামী নাই। এইত্তি চলি আসছি। খুব কষ্ট করি চলিবার নাগে। ঠান্ডাকালোত খুব কষ্ট হয়। কয় দিন থাকি খুব ঠান্ডা নাগেছে। আইজ কম্বলটা পায়া এ্যানা ভালো হইল। এভাবে কম্বল পেয়ে বেশ খুশি ছিন্নমুল মানুষরা।
জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন বলেন, সচরাচর এসব মানুষ অনেক সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকেন। তারা পিছিয়ে থাকেন। সরকার শীত নিবারণের জন্য কম্বল দিচ্ছে এসব কম্বল যাতে প্রকৃত হতদরিদ্র মানুষরা পান সেজন্য ঘুরে ঘুরে বঞ্চিতদের মাঝে বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে। তিনি বলেন, রেলস্টেশন, বাসটার্মিনালসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে আমি তাদের মাঝে কম্বল বিতরণ করবো।জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ত্রাণ শাখা সুত্র জানায়, রাতে বিভিন্ন স্থানে শতাধিক কম্বল বিতরণ করা হয় হতদরিদ্র মানুষদের মাঝে।
0 মন্তব্যসমূহ