বান্দরবানে চাঁদের গাড়িতে তুলে নিয়ে এক পর্যটককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রাসেল নামের এক চালকের বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত আড়াইটার দিকে পর্যটন মোটেলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চাঁদের গাড়িটি ও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পর্যটন মোটেলের নিরাপত্তা প্রহরী মো. ওসমান গণিকে আটক করেছে পুলিশ। তবে চালক রাসেল পলাতক রয়েছে।
রাসেল বান্দরবান মেঘলার তালুকদার পাড়ার জসিমের বাড়ির ভাড়াটিয়া। পুলিশ ও ধর্ষণের অভিযোগ তোলা নারীর সঙ্গে ঘুরতে আসা তার বন্ধু জানান, ওই নারী ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সেখান থেকে এক বন্ধুর সঙ্গে বান্দরবান আসেন ঘুরতে। রাতে তারা দুইজন রেস্টুরেন্ট থেকে নাশতা আনতে যান। মেয়েটিকে রেস্টুরেন্টের বাইরে দাঁড় করিয়ে নাশতা আনতে ভেতরে যান ওই বন্ধু। এ সময় চাঁদের গাড়ির চালক রাসেল মেয়েটিকে জানায়, তার বন্ধুকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে এবং তাড়াতাড়ি তাকে থানায় যেতে হবে। মেয়েটি এ কথা শুনে তার গাড়িতে উঠলে চালক তাকে নিয়ে বান্দরবানের মেঘলার পর্যটন মোটেলে নিয়ে যায় এবং ২০৫ নম্বর রুমে তাকে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে বান্দরবান পর্যটন মোটেলের প্রধান পরিবেশক মো. আবুল খায়ের বলেন, ‘রাত ১২টার দিকে চালক রাসেল মেয়েটিকে নিয়ে পর্যটন মোটেলের ২০৫ নম্বর রুমে অবস্থান নেয়। এ সময় নিরাপত্তা প্রহরী মো. ওসমান গণি মোটেলে দায়িত্ব পালন করছিল। সে এত রাতে কীভাবে রুম ভাড়া দিয়েছিল তা আমি জানি না। ঘটনার সময় আমি অন্য রুমে ঘুমাচ্ছিলাম। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।’
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. এনামুল হক ভুঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মেয়েটির বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পেরে খোঁজ-খবর নিই। পরে আমি এস আই মইনউদ্দিনসহ একদল পুলিশ নিয়ে রাত আড়াইটার দিকে পর্যটন মোটেল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেছি। এ ঘটনায় নিরাপত্তা প্রহরীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। চাঁদের গাড়িটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় মেয়েটি বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। আমরা এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।’
/কক্সবাজার পোস্ট!
0 মন্তব্যসমূহ