বি,এন ডেস্কঃ
সন্তান বড় হলেও সন্তান মায়ের কাছে শিশুর মত আদরের তা বুঝা যায় শারিরীক ও বাক প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ সোহেলের সেবা দেখলেই। হতভাগ্য মা ফাতেমা গতকাল সোমবার সকালে ১টার দিকে কথা হয় শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী যুবক মোহাম্মদ হোসেনের মা ফাতেমা বেগমের সাথে বাঁশখালী উপজেলা প্রসাশনিক কার্যালয়ের প্রকৌশলী অফিসের বারান্দায়। সে পাগলের মত এদিক ওদিক ২ ঘণ্টা ঘুরে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য ক্লান্ত হয়। সন্তানের ক্ষিদে বুঝতে পেরে দোকান থেকে খাবার এনে খাওয়াচ্ছে পানীয় জুস ও কেক। খাবার সেরে একজন চিকিৎসকের স্বাক্ষর না মেলায় সমাজ সেবা অফিস কার্যালয় থেকে ফিরে গেলেন বাড়িতে।
জানা যায়, কালীপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পূর্ব পালেগ্রামে আব্দুল করিম বাপের বাড়ির দিন মজুর মৃত আহমদ কবিরের সাথে ১৯৯০ সালে ২০ বছর পূর্বে রাউজান উপজেলার নোয়া পাড়া গ্রামের ছালে আহমদ ও আমিনা খাতুনের কন্যা ফাতেমার সামাজিক ভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের ২ বছর পর প্রতিবন্ধী সন্তান মোহাম্মদ সোহেল পৃথিবীর বুকে ভূমিষ্ট হয় মাটিতে। তখন শুরু হয় ফাতেমার প্রতিকূলতার মাধ্যমে সন্তানকে লালন পালন শুরু হয়। সেই যুদ্ধ এখনো থামেনি। ৩ বছর পর জন্ম নেয় অপর সন্তান মহি উদ্দিন (১৫)। প্রতিবন্ধী সোহেল কে বড় করতে গিয়ে পাহাড়ে কাট কুড়ানি থেকে শুরু করে দিন মজুরিসহ বাড়ীঘরে জিয়ের কাজ করে দিন অতিবাহিত করে থাকেন। ৫বছর পূর্বে স্বামীকে হারিয়ে বর্তমানেও ২ সন্তানকে নিয়ে খুব কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছেন বিধবা প্রতিবন্ধীর ছেলে মা ফাতেমা।
সুখ শান্তি কখনো আলোর মুখ দেখেনি বলে জানিয়ে কান্ন জড়িত কন্ঠে মা ফাতেমা বেগম পূর্বকোণকে জানান, ছেলে কোন কথা বলতে পারে না, শুধু বলতে পারে “ও মা ভাত দেও, ‘ও মা ভাত দেও’। খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে পায়খানা, প্রসাব সবকিছু ছেলেকে করে দেন তার মা। অনেক দিন ধরে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য মেম্বার সহযোগিতা চেয়েও পাওয়া যায়নি। বর্তমান মেম্বার সহযোগিতায় ফরম পূরণ করেও বাঁশখালী হাসপাতালের বারান্দায় ঘুরেছি, একজন ডাক্তারও স্বাক্ষর করেনি। সরকারি অফিসে এক কর্মচারী বলে উঠলেন, এই জনম দুঃখীনি মা, পৃথিবীর আলোর মুখ দেখা সেই সন্তান, লালন পালনকারী সে মা কেও অনেক সন্তান তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে ভাত ও পানি দেয় না।
বাঁশখালী হাসপাতালের ডা. তৌহিদুল আনোয়ার জানান, একজন প্রতিবন্ধীকে ফরম পূরণের জন্য স্বাক্ষর করা হয়েছে, তার বয়স ১২/১৩ হবে। প্রতিবন্ধীদের জন্য ২১ নং একটি কক্ষ রয়েছে। ওখান থেকেই সব কিছু হয়ে থাকে। প্রতিবন্ধী মো. সোহেলের ফরমে স্বাক্ষর করা হয়নি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসপাতালের ৩জন চিকিৎসকের মধ্যে যে কোন একজন স্বাক্ষর করলেই হয়। ঐ প্রতিবন্ধী যুবকের মা কার কাছে গেলেন আমি জানি না। আপনি দয়া করে আমার কাছে পাঠিয়ে দিবেন।
পূর্ব পালেগ্রাম ৫নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মোহাম্মদ ইউনুস জানান, এই শিশুটির প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য অনেক দিন থেকে তালিকা করেও পাওয়া যাচ্ছে না। আজকে সোমবার শুধু একজন চিকিৎসকের স্বাক্ষরের জন্য এসেও স্বাক্ষর না পাওয়ায় সোহেলকে তার মা বাড়িতে নিয়ে গেছে।
বাঁশখালী সমাজ সেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, কালিপুর ইউনিয়নে অনেক প্রতিবন্ধীকে ভাতা দেয়া হয়ে থাকে। ফরম পূরণে চিকিৎসকের স্বাক্ষর নিয়ে ফরম জমা দিলেই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে তালিকাভুক্ত হয়ে মাসিকভাতা পান।
সন্তান বড় হলেও সন্তান মায়ের কাছে শিশুর মত আদরের তা বুঝা যায় শারিরীক ও বাক প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ সোহেলের সেবা দেখলেই। হতভাগ্য মা ফাতেমা গতকাল সোমবার সকালে ১টার দিকে কথা হয় শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী যুবক মোহাম্মদ হোসেনের মা ফাতেমা বেগমের সাথে বাঁশখালী উপজেলা প্রসাশনিক কার্যালয়ের প্রকৌশলী অফিসের বারান্দায়। সে পাগলের মত এদিক ওদিক ২ ঘণ্টা ঘুরে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য ক্লান্ত হয়। সন্তানের ক্ষিদে বুঝতে পেরে দোকান থেকে খাবার এনে খাওয়াচ্ছে পানীয় জুস ও কেক। খাবার সেরে একজন চিকিৎসকের স্বাক্ষর না মেলায় সমাজ সেবা অফিস কার্যালয় থেকে ফিরে গেলেন বাড়িতে।
জানা যায়, কালীপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পূর্ব পালেগ্রামে আব্দুল করিম বাপের বাড়ির দিন মজুর মৃত আহমদ কবিরের সাথে ১৯৯০ সালে ২০ বছর পূর্বে রাউজান উপজেলার নোয়া পাড়া গ্রামের ছালে আহমদ ও আমিনা খাতুনের কন্যা ফাতেমার সামাজিক ভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের ২ বছর পর প্রতিবন্ধী সন্তান মোহাম্মদ সোহেল পৃথিবীর বুকে ভূমিষ্ট হয় মাটিতে। তখন শুরু হয় ফাতেমার প্রতিকূলতার মাধ্যমে সন্তানকে লালন পালন শুরু হয়। সেই যুদ্ধ এখনো থামেনি। ৩ বছর পর জন্ম নেয় অপর সন্তান মহি উদ্দিন (১৫)। প্রতিবন্ধী সোহেল কে বড় করতে গিয়ে পাহাড়ে কাট কুড়ানি থেকে শুরু করে দিন মজুরিসহ বাড়ীঘরে জিয়ের কাজ করে দিন অতিবাহিত করে থাকেন। ৫বছর পূর্বে স্বামীকে হারিয়ে বর্তমানেও ২ সন্তানকে নিয়ে খুব কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছেন বিধবা প্রতিবন্ধীর ছেলে মা ফাতেমা।
সুখ শান্তি কখনো আলোর মুখ দেখেনি বলে জানিয়ে কান্ন জড়িত কন্ঠে মা ফাতেমা বেগম পূর্বকোণকে জানান, ছেলে কোন কথা বলতে পারে না, শুধু বলতে পারে “ও মা ভাত দেও, ‘ও মা ভাত দেও’। খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে পায়খানা, প্রসাব সবকিছু ছেলেকে করে দেন তার মা। অনেক দিন ধরে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য মেম্বার সহযোগিতা চেয়েও পাওয়া যায়নি। বর্তমান মেম্বার সহযোগিতায় ফরম পূরণ করেও বাঁশখালী হাসপাতালের বারান্দায় ঘুরেছি, একজন ডাক্তারও স্বাক্ষর করেনি। সরকারি অফিসে এক কর্মচারী বলে উঠলেন, এই জনম দুঃখীনি মা, পৃথিবীর আলোর মুখ দেখা সেই সন্তান, লালন পালনকারী সে মা কেও অনেক সন্তান তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে ভাত ও পানি দেয় না।
বাঁশখালী হাসপাতালের ডা. তৌহিদুল আনোয়ার জানান, একজন প্রতিবন্ধীকে ফরম পূরণের জন্য স্বাক্ষর করা হয়েছে, তার বয়স ১২/১৩ হবে। প্রতিবন্ধীদের জন্য ২১ নং একটি কক্ষ রয়েছে। ওখান থেকেই সব কিছু হয়ে থাকে। প্রতিবন্ধী মো. সোহেলের ফরমে স্বাক্ষর করা হয়নি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসপাতালের ৩জন চিকিৎসকের মধ্যে যে কোন একজন স্বাক্ষর করলেই হয়। ঐ প্রতিবন্ধী যুবকের মা কার কাছে গেলেন আমি জানি না। আপনি দয়া করে আমার কাছে পাঠিয়ে দিবেন।
পূর্ব পালেগ্রাম ৫নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মোহাম্মদ ইউনুস জানান, এই শিশুটির প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য অনেক দিন থেকে তালিকা করেও পাওয়া যাচ্ছে না। আজকে সোমবার শুধু একজন চিকিৎসকের স্বাক্ষরের জন্য এসেও স্বাক্ষর না পাওয়ায় সোহেলকে তার মা বাড়িতে নিয়ে গেছে।
বাঁশখালী সমাজ সেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, কালিপুর ইউনিয়নে অনেক প্রতিবন্ধীকে ভাতা দেয়া হয়ে থাকে। ফরম পূরণে চিকিৎসকের স্বাক্ষর নিয়ে ফরম জমা দিলেই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে তালিকাভুক্ত হয়ে মাসিকভাতা পান।
সুত্রঃ দৈনিক পূর্বকোণ
0 মন্তব্যসমূহ