আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জামায়াত এখনো ক্ষমা চায়নি। তারা ক্ষমা চাওয়ার আগে কোনো মন্তব্য করা সমীচীন নয়। তবে জামায়াত ক্ষমা চাইলেও মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ হবে না।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে সদ্য পদত্যাগ করা দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, জামায়াত নেতার পদত্যাগ তার ব্যক্তিগত বিষয়। এটা তাদের দলের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। জামায়াত বিভক্ত হতে যাচ্ছে এ খবর প্রকাশের পর দলের ভেতরে যারা আছে তারা কেউ কেউ সরে যেতে পারেন। দলটির নেতাদের ইনটেনশন এখনো ক্লিয়ার না। ইনটেনশনটা আগে ক্লিয়ার হোক, তারপর মন্তব্য করা যাবে।
জামায়াত যদি নতুন নামে আসে, তাহলে তাদের বিষয়ে কী হবে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নতুন নামে জামায়াত। নতুন বোতলে পুরনো মদ যদি আসে, তাহলে পার্থক্যটা আর কী? নতুন নামে পুরনো আদর্শই যদি থাকে, তাহলে তো একই কথা।
জামায়াত ৭১ এর জন্য ক্ষমা চাইলে কতটুকু দায়মুক্ত হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি এতকিছু বুঝি না, আমার বক্তব্য হচ্ছে এখনো তারা ক্ষমা চায়নি। এখনো তারা এটা অফিসিয়ালি এপোলোজাইজ করেনি। আমি গতকাল বলেছি, তারা এপোলোজাইজ করার আগে আমাদের কোনো মন্তব্য করা সমীচীন নয়।এপোলোজাইজ করার পর মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ হবে না।
জামায়াত নতুন নামে আসলে আওয়ামী লীগ তাদেরকে স্বাগত জানাবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। নানা কথা মিডিয়ায় আসছে। এগুলো জামায়াতের কৌশলও হতে পারে। এগুলো আগে পরিষ্কার হওয়া দরকার, তার আগে আমরা কেন মন্তব্য করতে যাব?
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর প্রমুখ।
/ভোরের কাগজ!
0 মন্তব্যসমূহ