বগুড়ার ধুনট থানার এক নারী সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) অস্বাভাবিক
মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, দাম্পত্য কলহের জের ধরে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট
খেয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন।
মারা যাওয়া এএসআইয়ের নাম রোজিনা খাতুন (৩২)। গতকাল মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোহাম্মদ সালেহ জানান, রোজিনা খাতুন বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেটের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পোকামাকড় দমনে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড গ্রুপের একধরনের ট্যাবলেট বাজারে পাওয়া যায়। এটাকে স্থানীয়ভাবে গ্যাস ট্যাবলেট বলা হয়ে থাকে।
মারা যাওয়া এএসআইয়ের নাম রোজিনা খাতুন (৩২)। গতকাল মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোহাম্মদ সালেহ জানান, রোজিনা খাতুন বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেটের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পোকামাকড় দমনে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড গ্রুপের একধরনের ট্যাবলেট বাজারে পাওয়া যায়। এটাকে স্থানীয়ভাবে গ্যাস ট্যাবলেট বলা হয়ে থাকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর
গ্রামের নান্নু মিয়ার একমাত্র মেয়ে রোজিনা খাতুন। তিনি ২০০৭ সালে পুলিশের
কনস্টেবল পদে চাকরি নেন। প্রশিক্ষণ শেষে ২০০৮ সালে একই এলাকার আবদুল লতিফ
মোল্লার ছেলে হাসান আলীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। রোজিনার স্বামী সিংড়া উপজেলার
দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক। রোজিনা-হাসান দম্পতির এক ছেলে ও এক
মেয়ে রয়েছে। রোজিনা খাতুন এএসআই পদে পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি
ধুনট থানায় যোগ দেন। ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ধুনট থানা ভবনের পাশে একটি বাসায়
ভাড়া থাকতেন রোজিনা। আর স্বামী হাসান আলী চাকরির সুবাদে গ্রামের বাড়িতে
থাকেন।
রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, ঘটনার সময় তিনি ও তাঁর স্ত্রী রোজিনার
বাসায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, পাঁচ–ছয় বছর ধরে জামাতার সঙ্গে তাঁর মেয়ের
কোনো একটা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার জামাতা হাসান আলী ওই
বাসায় আসেন। দুদিন থেকে গত শনিবার গ্রামের বাড়িতে চলে যান জামাতা। এরপর
থেকেই রোজিনা মনমরা হয়ে ছিলেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে রোজিনা গ্যাস
ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁরা প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্স নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত ১১টার দিকে রোজিনা মারা যান।
রোজিনার স্বামী হাসান আলী দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে স্ত্রীর কোনো বিরোধ ছিল
না। কেন রোজিনা বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করলেন, তা তাঁর জানা নেই।
ধুনট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায়
অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে রোজিনার লাশ
পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া
হবে বলে তিনি জানান।
/প্রথম আলো!
0 মন্তব্যসমূহ