বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব টানেলের শুভ উদ্বোধন


মোহাম্মদ এরশাদ
প্রায় দশ হাজার কোটি টাকায় দেশের প্রথমবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল বোরিং কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করে টানেলের খনন কাজ পরিদর্শন করেন।


শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকালে সরাসরি তিনি পতেঙ্গার পৌঁছেন।

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকায় ৩ হাজার ৫ মিটার দীর্ঘ এ টানেল নির্মিত হচ্ছে।২০২২ সালের মধ্যে এ টানেলটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের আন্তর্জাতিক সমীক্ষাতেও বলা হয়েছে- গভীর সমুদ্রবন্দর, মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনাল, বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র সহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিপুল সম্ভাবনার বেশিরভাগই টানেলকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠবে। টানেলকে ঘিরে গত দুই বছর ধরে বাড়ছে সরকারি- বেসরকারি বিনিয়োগ। সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ইয়ংওয়ান কর্তৃপক্ষ তাদের কোরিয়ান এঙপোর্ট প্রসেসিং জোনে (কেইপিজেড) বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। বর্তমানে এই ইকোনমিক জোনে ১৩টি কারখানায় কাজ করছে ২৩ হাজার কর্মী। আগামী কয়েক বছরে বর্তমান ১৩টি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও আরো ৩টি বড় প্রতিষ্ঠান এভারটপ প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি, গায়া প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি ও ডেই-গু প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি বড় ধরনের বিনিয়োগের লক্ষ্য নিয়ে তাদের ইউনিট স্থাপন করতে যাচ্ছে। রপ্তানীমুখী জুতা, গার্মেন্টস ও টেক্সটাইলে এসব বিনিয়োগ হবে। সব মিলেয়ে   ৩ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে।  প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম শহরকে বাইপাস করে সরাসরি কক্সবাজারের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ফলে কমে যাবে চট্টগ্রাম শহরের যানজট, গত কয়েক বছরে এখানে ২০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। আগামী ৫ বছরে এর দ্বিগুণ উন্নয়ন হবে। টানেল ও চায়না ইকনোমিক জোন সহ মেগা প্রকল্প গুলোর বাস্তবায়ন কাজ শেষ হলে এর সুফল পাবে সারা দেশের মানুষ। টানেল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আনোয়ারা- বাঁশখালী কর্ণফুলীসহ পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রাম এমনকি কক্সবাজার পর্যন্ত শিল্প
খারখানা তৈরি সম্ভাবনা হবে এবং দেশি বিদেশি অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ