বাঁশখালীতে অধিকাংশ নলকূপ অকেজো বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট


বাঁশখালী উপজেলার পশ্চিমাংশের অধিকাংশ নলকূপে পানি না উঠায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে উপজেলার ছনুয়া, শেখেরখীল, গন্ডামারা, সরল, পুঁইছড়ি, কাথরিয়া, বাহারছড়া, খানখানাবাদ, শীলকূপের পশ্চিমাংশ মনকিচর, বৈলছড়ির পশ্চিমাংশ ও কালীপুরের পশ্চিমাংশসহ বেশ কিছু এলাকায় মোটর, সাবমারসিবল পাম্প ছাড়া পানি তোলা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এসব এলাকায় সংকট বিরাজ করছে। এদিকে সংকটের অন্যতম কারণ হিসাবে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া, বৈদ্যুতিক মোটর ও সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে পানি তোলার কারণে এসব সমস্যা হচ্ছে বলে জানান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।
বর্তমানে বাঁশখালীতে প্রায় ১০ হাজার একর জমিতে বোরো চাষ হচ্ছে। এতে প্রচুর পরিমাণ পানি সরবরাহ করতে হচ্ছে। ফলে বাঁশখালীর অধিকাংশ এলাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
ছনুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. হারুনুর রশিদ বলেন, আমার এলাকায় কয়েকশ নলকূপ থাকলেও বর্তমানে বেশিরভাগ নলকূপে পানি না উঠার কারণে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ত পানি থাকার কারণে এখানকার জনগণের প্রচুর নলকূপের চাহিদা থাকলেও সরকারিভাবে সে অনুসারে পাওয়া যায় না। শেখেরখীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, আমার ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকায় কোনো নলকূপ নেই। সরকারিভাবে এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে কিছু নলকূপ পাওয়া গেলেও তা সংখ্যায় নগন্য।
একই কথা বললেন বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, খানখানাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট বদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী, চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কপিল উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি।
এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের বাঁশখালীর দায়িত্বরত উপ-প্রকৌশলী মো: মনিরুজ্জামান দেওয়ানজী বলেন, দিন দিন পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার ফলে আগের বসানো নলকূপগুলোতে এ মৌসুমে পানি উঠছে না। চাহিদা বেশি সরবরাহ কম। সব মিলিয়ে এ মৌসুমে বোরো চাষের কারণে পানির ঘাটতি থাকে বলেন জানান তিনি। বাঁশখালীর বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনে আরো বেশি গভীর নলকূপ স্থাপন করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

/আজাদী!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ