আব্দুল আলীম নোবেলঃ
দক্ষিণ বনবিভাগের কক্সবাজার রেঞ্জ কর্মকর্তা তারিকুর রহমান ফরেষ্টারের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ ওঠেছে। এ রেঞ্জকর্মকর্তার কর্তব্যকর্মে অবহেলা, ওদাসীন্যতা ও সরকারী সম্পদ রক্ষনাবেক্ষনে সীমাহীন আনাড়ি পনায় এ রেঞ্জে অচলাবস্থারও উদ্ভব হয়েছে। তার নিয়ন্ত্রিত ৪টি বিটে চলমান নতুন বনায়ন কর্মসূচীতেও পুকুর চুরি হচ্ছে অভিযোগ সচেতন মহলের।
বনায়ন কাজে বিভাগীয় নীতিমালার কোন বালাই নেই। রেঞ্জ কর্তা তারিকুর বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মানসে যেন তেনভাবে বনায়ন করছে। এ বনায়নে সরকারী নির্দেশের কিছুই পালন হচ্ছে না। নিম্মমানের চারা উৎপাদন করে বনকর্তা তারিকুর বিভাগীয় আদেশ কেন বা উপক্ষো করছেন তাও প্রশ্ন সকলের। জানা যায়, প্রতিদিন কক্সবাজার শহর ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে বনকর্মীরা বিভিন্ন রকমের পরিবহণ আটক করলেও পরে তার নির্দেশে বুঝা পড়ার মাধ্যমে ছেড়ে দেয় সহকারী বনকর্মী মিন্টু গোপ। বিনিময়ে চোরাই কাঠ পরিবহণকারী অসাধুদের কাছ থেকে নগদ নজরানা নেয় তারা। সূত্র জানায়, বিভাগীয় শাস্তিতে জরিমানার পরিমান তেমন উল্লেখ যোগ্য না হলেও রেঞ্জ কর্তা তারিকুর চেয়ে বসেন তার চৌদ্দ গুন। অন্যথায় ওই পরিবহন আটক ও মামলার ভয় দেখান তিনি। আটক চোরাই কাঠের মালিকরা আড়ালে থাকলেও পরিবহণের চালকদের নানাভাবে হয়রানি করেন তিনি। এক সময় তারিকুরের চাহিদার কাছে হার মেনে ওই চালক তার অমুল্য সম্পদটি ছাড়িয়ে নিতে বাধ্য হয়। এইভাবে সামারী বাণিজ্য চালিয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা অর্জনে ব্যতিব্যস্ত ফরেষ্টর তারিকুর অফিস ফাঁকিতেও পটু। তিনি কর্ম ঘন্টার প্রায় সময় বাহিরে থাকেন। যদিও তিনি অন্য বিট পরিদর্শেনের বাহানা দেন উর্ধ্বতনদের । অতচ তিনি এই সময়ে পর্যটন স্পট দরিয়া নগরের ইজারাদাদের সাথে খোশ-গল্পে মত্ত থাকেন। দরিয়া নগরের ইজারাদার কর্তৃক এর ব্যবস্থাপনায় প্রচুর সমস্যা থাকলেও এসব কিছু দেখেন না তিনি। ফলে দেশীবিদেশী পর্যটকরা বনবিভাগের ওই স্পটে গিয়ে পর্যাপ্ত ও আরামদায়ক চিত্ত বিনোদনের সুযোগ পান না। ওই পার্কের বিভিন্ন স্থাপনায় নিম্মমানের সামগ্রী দেয়া হলেও এর দেখভালকারী হিসাবে তিনি একেবারেই নিশ্চুপ। তিনি প্রকৃত কাঠ ব্যবসায়ীদেরও পদে পদে হয়রানি করেন। একই সাথে নিলাম গ্রহণকারী কাঠ ব্যবসায়ীরাও তার অতিরিক্ত খায়েশ পূরন না করে কাঠ লোড করতে পারেন না বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি নানা অযুহাত দেখিয়ে চলাচল পাশ টিপির লিখিত সময় অতিক্রম করান। এতে করে কাঠ ব্যবসায়ীরা গন্তব্যস্থলে কাঠ পৌছাতে গিয়ে বিপাকে পড়েন। ফরেষ্টার তারিকুর প্রকৃত কাঠ ব্যবসায়ীদের হয়রানি করলেও অসাধু চক্রের সাথে তার সম্পর্ক গভীর । এ সুবাধে কলাতলী, হিমছড়ি, লিংক রোড ও চাইন্দা বিটের অবশিষ্ট বাগান সাবাড় করার সুযোগ পাচ্ছেন তারা। সেই সাথে অনেকটা বাগান শূন্য বন জমিতে ফ্রী স্টাইলে নতুন নতুন স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। রেঞ্জ কর্তা তারিকুরের সাথে ওই এলাকার প্রভাবশালী এক মেম্বারের সম্পর্ক অতিমধুর। কাঠ পাচারে আলোচিত ওই মেম্বার হরদম বিভিন্ন পরিবহনে চোরাই কাঠ পাচার করছে লিংক রোড চেক ষ্টেশন দিয়ে। তবে বিষয়টি তেমন সঠিক নয় বলে জানান স্টেশন কর্তা হান্নানুজ্জামান। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ফরেষ্টার তারিকুর খবরের শিরোনাম হন ওই ফাঁড়ির এসও থাকাকালে ৩ বছর পূর্বে। সেবার তাকে তিরস্কার করেন স্বয়ং ডিএফও (দক্ষিণ)ও। ফরেষ্টার তারিকুরের সহযোগিতা পেয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী ও হিমছড়ির পরিবেশ প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় অনেক প্রভাবশালী স্থাপনা গেঁড়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করছে প্রতিনিয়ত। তিনি আস্থাভাজন বনকর্মীদের সমন্বয়ে এ রেঞ্জে একটি সিন্ডিকেট ও গঠন করেছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে ফোন দেয়া হলেও তিনি সেটি রিসিভ করেননি। পরে তার খোঁজে অফিসে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে উপস্থিত বনকর্মীরা জানান, দরিয়া নগরের টিকেট ঝামেলায় ব্যস্ত আছেন তিনি।
দক্ষিণ বনবিভাগের কক্সবাজার রেঞ্জ কর্মকর্তা তারিকুর রহমান ফরেষ্টারের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ ওঠেছে। এ রেঞ্জকর্মকর্তার কর্তব্যকর্মে অবহেলা, ওদাসীন্যতা ও সরকারী সম্পদ রক্ষনাবেক্ষনে সীমাহীন আনাড়ি পনায় এ রেঞ্জে অচলাবস্থারও উদ্ভব হয়েছে। তার নিয়ন্ত্রিত ৪টি বিটে চলমান নতুন বনায়ন কর্মসূচীতেও পুকুর চুরি হচ্ছে অভিযোগ সচেতন মহলের।
বনায়ন কাজে বিভাগীয় নীতিমালার কোন বালাই নেই। রেঞ্জ কর্তা তারিকুর বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মানসে যেন তেনভাবে বনায়ন করছে। এ বনায়নে সরকারী নির্দেশের কিছুই পালন হচ্ছে না। নিম্মমানের চারা উৎপাদন করে বনকর্তা তারিকুর বিভাগীয় আদেশ কেন বা উপক্ষো করছেন তাও প্রশ্ন সকলের। জানা যায়, প্রতিদিন কক্সবাজার শহর ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে বনকর্মীরা বিভিন্ন রকমের পরিবহণ আটক করলেও পরে তার নির্দেশে বুঝা পড়ার মাধ্যমে ছেড়ে দেয় সহকারী বনকর্মী মিন্টু গোপ। বিনিময়ে চোরাই কাঠ পরিবহণকারী অসাধুদের কাছ থেকে নগদ নজরানা নেয় তারা। সূত্র জানায়, বিভাগীয় শাস্তিতে জরিমানার পরিমান তেমন উল্লেখ যোগ্য না হলেও রেঞ্জ কর্তা তারিকুর চেয়ে বসেন তার চৌদ্দ গুন। অন্যথায় ওই পরিবহন আটক ও মামলার ভয় দেখান তিনি। আটক চোরাই কাঠের মালিকরা আড়ালে থাকলেও পরিবহণের চালকদের নানাভাবে হয়রানি করেন তিনি। এক সময় তারিকুরের চাহিদার কাছে হার মেনে ওই চালক তার অমুল্য সম্পদটি ছাড়িয়ে নিতে বাধ্য হয়। এইভাবে সামারী বাণিজ্য চালিয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা অর্জনে ব্যতিব্যস্ত ফরেষ্টর তারিকুর অফিস ফাঁকিতেও পটু। তিনি কর্ম ঘন্টার প্রায় সময় বাহিরে থাকেন। যদিও তিনি অন্য বিট পরিদর্শেনের বাহানা দেন উর্ধ্বতনদের । অতচ তিনি এই সময়ে পর্যটন স্পট দরিয়া নগরের ইজারাদাদের সাথে খোশ-গল্পে মত্ত থাকেন। দরিয়া নগরের ইজারাদার কর্তৃক এর ব্যবস্থাপনায় প্রচুর সমস্যা থাকলেও এসব কিছু দেখেন না তিনি। ফলে দেশীবিদেশী পর্যটকরা বনবিভাগের ওই স্পটে গিয়ে পর্যাপ্ত ও আরামদায়ক চিত্ত বিনোদনের সুযোগ পান না। ওই পার্কের বিভিন্ন স্থাপনায় নিম্মমানের সামগ্রী দেয়া হলেও এর দেখভালকারী হিসাবে তিনি একেবারেই নিশ্চুপ। তিনি প্রকৃত কাঠ ব্যবসায়ীদেরও পদে পদে হয়রানি করেন। একই সাথে নিলাম গ্রহণকারী কাঠ ব্যবসায়ীরাও তার অতিরিক্ত খায়েশ পূরন না করে কাঠ লোড করতে পারেন না বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি নানা অযুহাত দেখিয়ে চলাচল পাশ টিপির লিখিত সময় অতিক্রম করান। এতে করে কাঠ ব্যবসায়ীরা গন্তব্যস্থলে কাঠ পৌছাতে গিয়ে বিপাকে পড়েন। ফরেষ্টার তারিকুর প্রকৃত কাঠ ব্যবসায়ীদের হয়রানি করলেও অসাধু চক্রের সাথে তার সম্পর্ক গভীর । এ সুবাধে কলাতলী, হিমছড়ি, লিংক রোড ও চাইন্দা বিটের অবশিষ্ট বাগান সাবাড় করার সুযোগ পাচ্ছেন তারা। সেই সাথে অনেকটা বাগান শূন্য বন জমিতে ফ্রী স্টাইলে নতুন নতুন স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। রেঞ্জ কর্তা তারিকুরের সাথে ওই এলাকার প্রভাবশালী এক মেম্বারের সম্পর্ক অতিমধুর। কাঠ পাচারে আলোচিত ওই মেম্বার হরদম বিভিন্ন পরিবহনে চোরাই কাঠ পাচার করছে লিংক রোড চেক ষ্টেশন দিয়ে। তবে বিষয়টি তেমন সঠিক নয় বলে জানান স্টেশন কর্তা হান্নানুজ্জামান। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ফরেষ্টার তারিকুর খবরের শিরোনাম হন ওই ফাঁড়ির এসও থাকাকালে ৩ বছর পূর্বে। সেবার তাকে তিরস্কার করেন স্বয়ং ডিএফও (দক্ষিণ)ও। ফরেষ্টার তারিকুরের সহযোগিতা পেয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী ও হিমছড়ির পরিবেশ প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় অনেক প্রভাবশালী স্থাপনা গেঁড়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করছে প্রতিনিয়ত। তিনি আস্থাভাজন বনকর্মীদের সমন্বয়ে এ রেঞ্জে একটি সিন্ডিকেট ও গঠন করেছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে ফোন দেয়া হলেও তিনি সেটি রিসিভ করেননি। পরে তার খোঁজে অফিসে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে উপস্থিত বনকর্মীরা জানান, দরিয়া নগরের টিকেট ঝামেলায় ব্যস্ত আছেন তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ