বাঁশখালীতে সালিশি বৈঠকে বিবাদীর মৃত্যু

বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র কার্যালয়ে সালিশি বৈঠক চলাকালে মৌলানা নজির আহমদ (৬৮) নামে এক বিবাদীর আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি সরল ইউনিয়নের পাইরাং এলাকার মৃত হাজী ছমি উদ্দিনের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
তবে মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের দাবি, বাদি পক্ষের হুমকি ও বিচার চলাকালে বাক-বিতন্ডায় আতঙ্কিত হয়ে স্ট্রোক করে মারা যান নজির আহমদ। গতকাল শুক্রবার সকালে তার লাশ দাফন করা হয়।
নজির আহমদের পুত্র বোরহান উদ্দিন পূর্বদেশকে বলেন, ‘পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে ২৬ শতক জায়গা ক্রয় করি। এ নিয়ে রাশেদ নামে এক ব্যক্তির সাথে বিরোধ চলছিল। রাশেদ আমার বাবাসহ আরও একজনকে বিবাদী করে পৌর মেয়রের কাছে অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিচারের নির্ধারিত সময় দুই পক্ষ উপস্থিত হই। বিচার শুরু হওয়ার এক পর্যায়ে পৌর মেয়রের সামনেই হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আমার বাবা। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মারা গেছেন বলে জানান। বাদি পক্ষের হুমকি ও বিচার চলাকালে বাক-বিতন্ডা য় আতঙ্কিত হয়ে উনি মারা গেছেন। অথচ ৫ মিনিট আগেও আমার সাথে কথা বলেছেন।’
আরেক বিবাদী মোহাম্মদ হারুন বলেন, ‘এক বছর আগেও কয়েকজন কাউন্সিলর বিষয়টি সমাধান করে দেন। আবারও বাদী রাশেদ বিচার দিয়ে হয়রানি করেছেন। বিচারে যাওয়ার আগে নজির আহমদকে রাস্তায় আটকিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। যে কারণে উনি আতঙ্কিত হয়ে স্ট্রোক করেন।’
বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী পূর্বদেশকে বলেন, ‘আমি কাউন্সিলরদেরকে বিচারের দায়িত্ব দিয়ে পাশের কক্ষে যাই। এ সময় হঠাৎ শুনি বিবাদী মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন। তাৎক্ষণিক চৌকিদারদের দিয়ে তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। আমার সামনে কোন ধরনের বাক-বিতণ্ডার ঘটনা ঘটেনি।’
/পূর্বদেশ!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ